আছসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০১-০২-২০২৪)
আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের পঞ্চম পর্ব। আজকে সকাল বেলা থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আপনারা সবাই জানেন কিছুদিন আগে থেকে আমার কলেজে পরীক্ষা শুরু হয়েছে তাই সব থেকে বেশি ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। আর মাত্র একটি পরীক্ষা আছে তাহলেই কলেজে পরীক্ষা শেষ। সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পরে অল্প কিছু সময় লেখাপড়ার জন্য টেবিল চেয়ারে বসে ছিলাম। তারপরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে একটু বাইরে বের হয়েছিলাম বাইক নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। বন্ধুদের সাথে বেশ কিছু সময় ঘোরাফেরা করে দুপুরবেলার দিকে আবারো বাড়িতে চলে এসেছিলাম। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবারো বসে গেলাম আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আপুর বিয়েতে অনেক সুন্দর ভাবে ক্ষীর খাওয়ানো অনুষ্ঠান যখন শুরু হয়েছিল তখন আমি কিছু ছবি সংগ্রহ করে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে।
আপুর বিয়েতে যখন ক্ষীর খাওয়ানো অনুষ্ঠান প্রথম দিকে শুরু হয়েছিল তখন আপু এসে যখন ক্ষীরের আসনে বসেছিল তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। কিছু সময় পরে একে একে অনেকেই এসে আপুর পাশে বসে ছিল তখনও আমি ছবি তুলে রেখেছিলাম। আসলে আপুর পাশে যারা বসেছিল সবাই প্রায় একই শাড়িতে সেজেছিল বলে দেখতে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছিল। আপুর বিয়েতে ক্ষীর খাওয়ানো অনুষ্ঠানে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা বেশ মজা করেছিলাম। এর আগে আমি এত মজা হয়তো কারো বিয়ে তেই করেছিলাম না।
এবার আপনার ওপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আপুকে সবাই একে একে অনেক সুন্দরভাবে ক্ষীর খাওয়াতে ছিল। তখন আমি ছবিগুলো আমার মোবাইলে সংগ্রহ করে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আপুর ছোট কাকি এবং আপুর ছোট মামা ক্ষীর দিয়েছিল আপুকে মাঝের সময়। আসলে পাশে বসে থাকা তখন অনেক মানুষ ছবি ওঠার জন্য সবাই ক্যামেরাম্যানকে অনেক অনুরোধ জানাই। ক্যামেরাম্যান সকলের ছবি অনেক সুন্দর ভাবে ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে তুলে দিয়েছিল সেই দিন। অবশেষে আপুর ছোট মামা আপুকে ক্ষীর দিয়ে মাত্র এক টাকার একটি নোট দিয়েছিল সবাই তখন বেশ হাসাহাসি করছিল সেখানে। এই বিষয় নিয়ে আমরা সকলেই বেশ মজা করেছিলাম।
আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আপু আমাকে অনেক সুন্দর ভাবে ক্ষীর খাওয়ে দিয়েছিল। আমি প্রথমে আপুকে খের খাইয়ে দিয়েছিলাম আপু ক্ষীর খাওয়া শেষে আমার হাত থেকে চামচ নিয়ে আমাকে আবারও ক্ষীর খাওয়ে দিয়েছিল। সত্যি আমাদের ভাই বোনের বেশ মধুর সম্পর্ক। আপু আমার বয়সে মাত্র ২৩ দিনের বড়। আপু যখন আমাকে ক্ষীর খাওয়ে দিয়েছিল আর যখন ছবি তুলছিল তখন আমার বেশ হাসি পাচ্ছিল। খাওয়া শেষে আপু বলল তুমি আমার পাশে বসো এখন যেসব মানুষ ক্ষীর দিতে আসবে আমার বদলে তুমি সব খাবে। আমি আমি তখন বেশ সুন্দরভাবে আপুর পাশে বসে গিয়েছিলাম ক্ষীর খাওয়ার জন্য।
আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ক্ষীর খাওয়া শেষে আপুকে সাথে নিয়ে অনেকেই ছবি তোলার জন্য বেশ ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। ক্ষীর খাওয়ান অনুষ্ঠানে আপুর বেশ কয়েকজন বান্ধবী এসেছিল আমরা সকলেই সত্যি বেশ মজা করেছিলাম। আপুর বান্ধবীদের সাথে ছবি তোলা শেষ হলে আপু আমাদের সকলকে ডেকে নিয়ে আমাদের সাথেও বেশ সুন্দরভাবে ছবি উঠেছিল। আজকের পোস্ট লেখা এখানেই শেষ করছি। আশা করি আজকের পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার আপুর বিয়েতে বেশ মজা করেছেন ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে।আসলে বিয়ে বাড়িতে একটু বেশিই মজা হয়ে থাকে।কেননা অনেক গেস্ট আসে।আপনার আপুর বান্ধবীরা ছবি তুলল তারপর আবার আপনারা সবাই মিলে ছবি তুললেন।কিউট লাগছে সবাইকে হলুদের সাজে।আপনার আপুর জন্য শুভকামনা আগামী জীবন সুন্দর হোক।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন আপু আপনি হলুদের সাজে সবাইকে দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ইতোমধ্যে এই বিষয়ে আপনি অনেকগুলো পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালো লাগলো এক এক পর্বের মাধ্যমে এ বিবাহ উপলক্ষে অনেক তথ্য জানতে পেরে। খুব সুন্দর ভাবে আপনি আজকের পোস্ট সাজিয়েছেন। আশা করি এই দিনটাই খুব আনন্দ করেছেন আপনি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ মামা আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/GKibreay/status/1754066606504992772?s=20
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit