(ক্রিয়েটিভ রাইটিং) গল্প //মাঠে ধান লাগানোর গল্প

in hive-129948 •  9 months ago 

হ্যালো.......
আছসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২৪-০২-২০২৪)

harvesting-1822493_1280 (1).jpg

Source

আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি (ক্রিয়েটিভ রাইটিং) গল্প // মাঠে ধান লাগানোর গল্প। গতকাল সকাল থেকে সারাদিন বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছিলাম। কালকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে বাড়ির কাজের জন্য একটু বাইরে গিয়েছিলাম। বাড়িতে ফিরতে প্রায় বিকেল হয়ে গিয়েছিল। বিকেলবেলা বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে দুপুর বেলার খাওয়া দাওয়া করে আমার এক চাচার সাথে একটু বাইরে বের হয়েছিলাম। বাড়িতে আসতে আবারও প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছিল। বাড়িতে এসে জানতে পারি আমার এক ছোট ভাই বাইকে অ্যাক্সিডেন্ট করেছে আবারও সেখানে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে বাড়িতে আসতে প্রায় রাত ৯ টা বেজে গিয়েছিল। বাড়িতে এসে আবারো রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য বসে ছিলাম। কিন্তু সার্ভারের প্রবলেম এর কারনে কালকে কোন পোস্ট করতে পারেনি। তাই আপনাদের মাঝে আজকে সকাল সকাল চলে আসলাম পোস্ট শেয়ার করার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট শেয়ার করা যাক.......


আসলে আমরা গ্রামের মানুষ বেশিরভাগ চাষাবাদের উপরে নির্ভর করে থাকি। আমাদের পরিবারের সকলে চাষাবাদের উপরে নির্ভরশীল। কয়েকদিন আগে আমাদের মাঠের জমিতে আমরা ধান লাগাতে গিয়েছিলাম। আসলে ধান লাগানোর জন্য আমরা বেশ কয়েকজন শ্রমিক নিয়েছিলাম। আসলে আমাদের মাঠে প্রায় ৬ বিঘা ধান আবাদ করা হয় প্রত্যেকবার। আসলে এত জমিতে ধান পরিবারের কয়েকজন মিলে লাগানো সম্ভব না। তাই চলুন আপনাদের মাঝে আজকের পোস্টের বিস্তারিত শেয়ার করা যাক।

human-efforts-92262_1280.jpg

Source

আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ধান লাগানোর জন্য প্রথমে যে ছবিটা প্রয়োজন আমি সেই ছবিটা পিএক্সবে থেকে নিয়ে এসে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে ধান লাগানোর জন্য প্রথমে জমিতে সেলো দিয়ে পানি দিতে হয়। তারপরে সেই জমিতে অনেক সুন্দর ভাবে কাঁদা করতে হয়। জমিতে কাঁদা করার জন্য বাড়ি থেকে আমি এবং আমার মেজ আব্বা গিয়েছিলাম। কাঁদা করার জন্য আমরা তেমন কোন মেশিন পেয়েছিলাম না মাঠে। পরবর্তীতে বাড়িতে এসে আমাদের বাড়ির পাশ থেকে এক আঙ্কেলকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলাম তারপরে সে আঙ্কেলের মেশিন দিয়ে আমরা জমিতে কাঁদা করেছিলাম। আসলে আমাদের অনেক জমি হওয়ার কারণে কাঁদা করতে প্রায় অনেক সময় লেগে গিয়েছিল। যখন বেলা ২ টা বেজেছিল তখন আমি আমার মেজ আব্বাকে বললাম আমি বাড়ি থেকে খাওয়া দাওয়া করে আসি আপনি এখানে থাকেন। তারপর আমার মেজ আব্বা বলল আমার জন্য অল্প একটু খাওয়া নিয়ে আসবে মাঠে। তারপর আমি বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে মেজ আব্বুর জন্য খাওয়া নিয়ে গিয়েছিলাম। আসলে কৃষিকাজ অনেক পরিশ্রমের।

rice-828540_1280.jpg

Source

আমরা সেই দিনটাই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমিতে মেশিন দিয়ে কাঁদা করেছিলাম। জমিতে কাঁদা করার পরে জমিতে পানি দিয়ে প্রায় দুই থেকে তিন দিন ফেলে রাখতে হয়। কারণ সে জমির মধ্যে যদি ছোট ছোট কোন ঘাস থাকে সেই গাছগুলো মারা যায়। আসলে জমিতে কাঁদা করার পরে আমরা জমিতে ঘাস মারা বিষ দিয়েছিলাম। যদি ঘাস গুলো মারা যায় তাহলে ধান লাগানোর পরে আর তেমন জমিতে আগাছা জন্মাবে না। তার তিনদিন পরে আমরা পরিবারের সকলে মিলে এবং আট জন শ্রমিক নিয়েছিলাম ধান লাগানোর জন্য। আমরা ধানের জমিতে দড়ি ধরে ধানগুলো অনেক সুন্দর ভাবে লাইন করে লাগাই। আসলে ধানগুলো লাইন করে লাগালে দেখতে বেশ ভালো লাগে। আসলে ধান গাছ লাগানোর কয়েকদিন পরে জমিতে সার দেওয়া হয়। আসলে এভাবে পর্যায়ক্রমে ধান গাছ থেকে ধান উৎপন্ন করে থাকে আমরা। আসলে এত ধান আমাদের দরকার হয় না প্রায় প্রত্যেক বছর আমরা অর্ধেক ধানের বেশি এ বিক্রয় করে থাকি। আসলে লেখাপড়ার পাশাপাশি বাবাকে মাঠের কাজে সাহায্য করতে নিজের কাছেও বেশ ভালো লাগে।

agriculture-1552390_1280.jpg

Source

আমাদের প্রায় মাঠে জমিতে ধান লাগানো হয়েছে আজ থেকে ১১ দিন আগে। আসলে ধান লাগানোর সময় কৃষকরা বেশ ব্যস্ত সময় পার করে। আসলেই কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তাদের পরিশ্রম দিয়ে অর্জিত সফল উৎপাদন করে মাঠের জমিতে। সেই ফসলগুলো যদি যেকোনো ভাবে নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সত্যি বেশ কষ্ট হয়। আসলে আমরা আশাবাদী এবার প্রায় ৬ বিঘা জমিতে। আমাদের প্রায় ১৪০ মন ধান উৎপন্ন হবে। আসলে এত ধান আমাদের প্রয়োজন না হওয়ার কারণে আমরা প্রায় অর্ধেকের বেশি বাজারে বিক্রয় করে থাকি অন্য মানুষের চাহিদা পূরণ করার জন্য তারা আবারও কিনে নিয়ে যায়। আসলে পরিবার সৎ পথের মাধ্যমে কৃষি কাজ করে অর্থ উপার্জন করছে এই বিষয়ে আমার কাছে সত্যি বেশ ভালো লাগে। আমি কোন সময় কোন কাজকে ছোট মনে করি না সেই কাজটা সৎ উপায় হতে হবে এটাই সব থেকে বড় কথা আমার কাছে। আশা করি এ বছরও আমরা আমাদের জমি থেকে প্রত্যেকবারের তুলনায় ভালো ধান পাব। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
✨💞আমার নিজের পরিচয়💞✨


IMG_20240213_153009.jpg

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )

banner-abb3.png

Logo.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Steem_Pro.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাইয়া আপনি ধান চাষের পদ্ধতি খুব সুন্দরভাবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। ধান রোপন করা দেখেছি কিন্তু এত সুন্দরভাবে রোপন করা হয় তা কখনো জানা ছিল না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে ধান চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ঠিক বলেছেন ভাইয়া পরিবারে লোকজন যদি সৎ কাজ করে অর্থ উপার্জন করে তাহলে নিজের কাছেও খুব ভালো লাগে। তবে কোন কাজই ছোট নয়, মানুষের মন মানসিকতাই সবচেয়ে বড় বিষয়। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। তাছাড়া আপনি পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে আপনার বাবাকে কাজে সাহায্য করেন জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি ব্লগ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

ঠিক বলেছেন আপু আপনি আসলে পরিবারের লোকজন সৎকাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করলেন নিজের কাছেও বেশ ভালো লাগে।