আছসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১০-০২-২০২৪)
আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের ৬ তম পর্ব। আজকে সকাল বেলা থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে নাস্তা না খেয়ে কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আসলে অনেক সকালে কোচিংয়ে যেতে হয় তাই বাড়িতে খাওয়া হয় না বেশিরভাগ সময় কোচিং শেষে হোটেলে খাওয়া হয়। আজকে প্রাইভেটে গিয়ে প্রাইভেট শেষ করার পরে ছোট্ট খালামনির জন্য গাইড কিনতে গিয়েছিলাম লাইব্রেরীতে। গাইড কেনার জন্য আমরা তিন বন্ধু হাঁটতে হাঁটতে গিয়েছিলাম বেশ অনেক দূরে। বাড়ি ফেরার পথে একটি মোবাইলের দোকানে ঢুকেছিলাম আমার এক বন্ধুর মোবাইল সারানোর জন্য। সেখান থেকে বাড়িতে এসে মাঠে গিয়েছিলাম ছাগলের জন্য ঘাস আনতে। তারপরে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বসে গেলাম আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......
আপনারা প্রথমে উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আপু অনেক সুন্দর ভাবে ক্ষীর খাওয়ান স্টেজে যখন বসেছিল তখন থেকে আমি অনেক সুন্দর ভাবে ছবি তোলা শুরু করেছিলাম। প্রথমে আমার আপুকে ক্ষীর দিয়েছিল আপুর দাদা আপনারা ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। তার পরবর্তীতে ক্ষীর দিয়েছিল আপুর মামী। এভাবে আমি সেখানে পুরো সময় দাঁড়িয়ে থেকে নিজের হাতে অনেক ছবি তুলেছিলাম। চেষ্টা করি সেগুলো প্রত্যেক সপ্তাহে আপনাদের মাঝে ধারাবাহিকভাবে পর্ব আকারে শেয়ার করার জন্য। আসলে আপুর বিয়েতে আমি বেশ মজা করেছিলাম। বিয়ের তিন দিন আগে আপুদের বাসাতে গিয়েছিলাম বিয়ে খাওয়ার উদ্দেশ্যে এবং বিয়ের তিন দিন পরে এসেছে মোট ছয় দিন ছিলাম আপুদের বাসাতে। এভাবে আমরা সকলে বেশ আনন্দ উদযাপনে মেতে উঠেছিলাম।
আপনার উপরের ছবির দিকে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন যখন আপুর ক্ষীর খাওয়ানো শেষ হয়েছিল। আপু পাশ থেকে আমাকে ডেকে কিছু ছবি তোলার জন্য বলেছিল। আসলে ক্ষীর খাওয়ার অনুষ্ঠানে ডিএসএলআর ক্যামেরা সহ ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়েছিল। তখন আমি বেশ কয়েকটি ছবি তুলে দিয়েছিলাম আপুদের কে এবং আমার মোবাইল ফোন দিয়েও আমি বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম। তখন মনে মনে ভেবেছিলাম এই ছবিগুলো আপনাদের সাথে পরে শেয়ার করা যাবে। তবে আমি এর আগে কখনো এভাবে রাতে ক্ষীরের অনুষ্ঠান করতে দেখিনি। প্রথমবার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েই সত্যি বেশ মজা পেয়েছিলাম।
আপুকে বেশ কিছু ছবি তুলে দেওয়ার পরে আপু আমাকে বলছে ভাইয়া তোমার সাথে আমি একটা ছবি তুলব। তারপরে আমি আপুর পাশে গিয়ে বসে পড়লাম ছবি তোলার জন্য। আমার মোবাইল ফোন দিয়ে বেশ কিছু ছবি তুলে দিয়েছিল সেখানে থাকা কিছু ছেলে মেয়েরা। আসলে মূলত আমি আর আপু বেশ ফ্রি দুজনের মধ্যে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। মূলত আপু আমার বয়সে অল্প কিছু দিনের বড়। তাই দুজনের মধ্যে এত মিল। পরবর্তীতে আমি আপুকে বেশ কিছু স্টাইল শিখিয়ে দিয়েছিলাম ছবি তোলার জন্য। তবে এই বিয়েতে হাসির একটা কাহিনী রয়েছে আপনাদেরকে পরবর্তী পর্বে বলব সেই কাহিনী। আশা করি আজকের পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
দেখতে দেখতে আপনার আপুর বিয়ের অনুষ্ঠানের ছয় তম পর্ব শেষ হলো। আজকের পর্বটি ও আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। তবে আপনি পোষ্টের মধ্যে বলেছেন পরবর্তীতে একটা হাসির কাহিনী আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজকের পর্বটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জানতে পেরে বেশ খুশি হলাম । ধন্যবাদ মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপুর বিয়েতে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভাই। বিয়ের এই মুহূর্ত গুলো স্মৃতি হয়ে থেকে যাবে সারা জীবন। বেশ চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। আজকের পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো নিশ্চয়ই আগামী পর্বে হাসির কাহিনী পড়বো। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ভাই আপুর বিয়েতে বেশ দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম ভুলবার নয় কখনো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/GKibreay/status/1756963462108852721?s=20
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit