জেনারেল রাইটিং = আমার বাংলা ব্লগের দ্বিতীয় বর্ষ উপলক্ষে আমার নিজের কিছু অনুভূতি।

আসলামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের দ্বিতীয় বর্ষ উপলক্ষে আমার নিজের কিছু অনুভূতি। গতকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আপনারা সবাই জানেন কয়েকদিন আগে আমার ভাইয়া মারা গিয়েছে। গতকাল বাড়িতে ভাইয়ার দোয়ার অনুষ্ঠান ছিল এর জন্য খুবই ব্যস্ত ছিলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম পোস্টটি কালকে করব কিন্তু কালকে এই পোস্ট শেয়ার করে উঠতে পারিনি। আজকে ভেবেছিলাম সকালবেলায় এই পোস্ট করব। কিন্তু সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে লেখাপড়া শেষ করে খাওয়া দাওয়া করে পরীক্ষা দিতে যাই। পরীক্ষা শেষ করে রুমে ফিরে এসে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে নামাজ শেষ করে আপনাদের সাথে যুক্ত হয়েছি। অল্প একটু ফোন টিপাটিপি করেছিলাম। আসলে কয়েকদিন ধরে মন অনেকটাই খারাপ ভাইয়ের কারণে। তাও চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত আপনাদের সাথে যুক্ত থাকার। তবে চলুন আজকের পোস্ট নিচে শেয়ার করা যাক.....

প্রথমে আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি স্টিমেটে আমার কিভাবে আসা এবং স্টিমেটে আমার কিভাবে পথ চলা। তবে চলুন আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক। আপনারা সবাই জানেন আমি আর মোস্তাফিজুর মামা দুজন মামা ভাগ্নে। আসলে মোস্তাফিজুর মামা আমার বয়সে অনেক বড় হলেও আমি ছোটবেলা থেকেই মামার সাথে চলাফেরা করি। মামা আমাকে অত্যন্ত ভালোবাসে। স্টিমেট কি এই জিনিসটা প্রথমে আমি বুঝতাম না। যেহেতু মোস্তাফিজুর মামার সাথে আমার পথ চলা। মোস্তাফিজুর মামার সাথে বিভিন্ন জায়গায় যেতাম মামা দেখতাম সেখান থেকে বিভিন্ন ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করত। তখন আমার মোবাইল ফোন ছিল না। মামাকে আমি বললাম মামা এখানে আমি কাজ করতে পারব। মামা বলছে এখানে কাজ করতে হলে প্রথমে একটা মোবাইল ফোন লাগবে তারপরে যা কিছু লাগে আমি তো আছি। তারপরে একদিন বিকেল বেলায় হঠাৎ মোস্তাফিজুর মামা আমাকে ডাকছে। আমি তখন ঘুমিয়ে ছিলাম রুমের মধ্যে। মুস্তাফিজুর মামা আমাকে বলল আজকে থেকে স্টিমেটে কাজ শুরু কর। আমি তখন বলেছিলাম আমি তো কিছুই জানি না কিভাবে কি করব। তারপরে মামা আমাকে একটা কাগজে পরিচয় পত্র পোস্ট এর ওয়াল পেপার লিখে দিল। আমি সেটা ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম এবং মোস্তাফিজুর মামা আমার ছবি তুলে দিয়েছিল। সেখান থেকে আমার স্টিমেটে পথ চলা শুরু।

এভাবে আমি প্রত্যেকটি ক্লাস অতিক্রম করে এখন আমার বাংলা ব্লগ কমিটির একজন ভেরিফাইড মেম্বার। আসলে এখন আমার কাছে মনে হয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি আমার একটা প্রাণের অংশ জুড়ে রয়েছে। আমার ভায়া মারা যাওয়ার সত্ত্বেও আমি আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত যুক্ত থাকার চেষ্টা করেছি। তবে আমার কাছে খুবই খারাপ লাগছিল কালকে আমি যখন হ্যাংআউটে জয়েন হতে পারিনি। আসলে কালকে ভাইয়ের দুয়ার অনুষ্ঠান ছিল এই কারণে আমি আপনাদের সাথে জয়েন হতে পেরেছিলাম না। আজকে সকাল বেলায় আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে ইউটিউব একটা পোস্ট দেখলাম। সেই পোস্টটিতে আমার বাংলা ব্লগ উপলক্ষে একটি গান রয়েছে আসলে গানটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। গানটি যে আমার কাছে এত ভালো লেগেছে বলার ভাষায় আমি খুজে পাচ্ছি না। আশা করি এভাবে আমরা প্রত্যেকটি বছর অতিক্রম করব। চেষ্টা করব সব সময় আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সাথে থাকার জন্য।

আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি যেদিন থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন করেছি হিসাব করে তার একটি স্ক্রিনশট মেরে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছে। আমি আমার বাংলা ব্লক কমিটিতে জয়েন করেছিলাম ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখে। আজকের এই দিন দিয়ে এই কমিউনিটিতে আমার পথ চলার ১ বছর ৫ মাস ৭ দিন। আশা করি এই প্ল্যাটফর্মে যতদিন থাকবে আমরা। আমার বাংলা ব্লগ এই কমিউনিটির সাথে থাকার চেষ্টা করব। আশা করি পোস্টে আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।