নমস্কার বন্ধুরা,
পার্কিংলটে বিপত্তি: পর্ব ৭ এর পর....
রাতুলের প্রশ্নের পর সে নিজের গলার প্রতি ধ্বনি ছাড়া দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তির গলার আওয়াজ পেলো না। কিন্তু এতোটা ভুল কিভাবে হওয়া সম্ভব। সে স্পষ্ট দেখতে পেলো যে কোনো মানুষের ছায়া তার সামনে দিয়ে হেঁটে চলে গেলো। কিন্তু কোনো কিছুর কুলকিনারা করতে না পেরে অনুমান করলো যে হয়তো চোখে হঠাৎ আলো পড়েই তার এমনটা মনে হয়েছে। সেটা ভেবেই নিজেকে কিছুটা শান্ত করে লিফটের কাছে নেমে এলো। লিফটের কাছে পৌঁছে লিফটের বোতাম টিলো তবে বোতামের চিরাচরিত আলোটা জ্বললো না। বার কয়েক পরপর বোতাম টিপলো কিন্তু তারপরেও কোনো উচ্চ বাচ্য নেই। রাতুল বুঝলো যে পুরো বহুতলেই বিদ্যুৎ চলে গেছে।
রাতুলের মনে বেশ কিছুটা ভয় চেপে বসলো। আসলে সে এরম অদ্ভুত অবস্থার মধ্যে আগে কখনো পড়েছে কিনা সেটা খেয়াল নেই। লিফটে যাওয়ার উপায় নেই বুঝে ছটফট করে ফের সিঁড়ির দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো! উল্টো পাশে ঘুরে দরজার দিকে ধাক্কা মারছে এরই মধ্যেই রাতুল বেশ টের পেলো যে তার পেছনদিকে কেউ আবার দৌড়ে চলে গেলো।
প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ দৌড়ানোর মতো আওয়াজ নয়। বাচ্চারা আলতো পায়ে দৌড়ালে যেমন আওয়াজ হয় ঠিক তেমন। বিদ্যুৎ নেই, লিফট কাজ করছে না তার সাথে এরম আওয়াজ!! পরিস্থিতি বেগড়বাই বুঝতে পেরে রাতুল ওর মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকালো।
আদপে অনেকদিন আগে কথায় কথায় একটা দারোয়ানের ফোন নাম্বার সে নিয়েছিলো। তাকেই ফোন করবে বলে রাতুল ঠিক করলো। সত্যি কথা বলতে সেই দারোয়ানকে ফোন করা ছাড়া রাতুলের কাছে আর কোনো উপায় ছিলো না। ফোনটার ফ্লাশ লাইট জ্বালা অবস্থাতেই সেই দারোয়ানের ফোন নাম্বার খুঁজতে থাকলো। অনেক ঘেঁটে ঘুঁটে দারোয়ানের নাম্বার পেতেই রাতুল সরাসরি ফোন লাগিয়ে দিলো। কিন্তু সেখানেও ব্যার্থতা।
সে এতক্ষণ লক্ষ্যই করেনি তার মোবাইলে কোনো নেটওয়ার্ক নেই। মাটির বেশ কিছুটা নীচে থাকায় নেটওয়ার্ক কখন চলে গেছে এসবের মধ্যে রাতুল সেটা খেয়ালই করেনি। রাতুলের কপাল থেকে ঘাম বেরিয়ে এলো। রাতুল তার পরিস্থিতি কাউকে ফোন করে জানাবে সেটারও উপায় আর থাকলো না।
রাতুল যে পরিস্থিতিতে পরেছে, এমন পরিস্থিতিতে পরলে যে কেউ ভয় পাবে। একদিকে লিফট কাজ করছে না,আবার অপরদিকে সিঁড়ির দরজাও খুলছে না। শেষ ভরসা ছিলো দারোয়ানের ফোন নম্বর। কিন্তু রাতুলের মোবাইলে নেটওয়ার্ক নেই বিধায় সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হলো। এই মূহুর্তে রাতুলের কি বা করার আছে। পরবর্তী পর্ব পড়ার আগ্রহ অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব শেয়ার করবেন আমাদের সাথে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit