নমস্কার বন্ধুরা,
কলকাতার খুবই সন্নিকটে এমন কিছু কিছু জায়গা রয়েছে যেগুলো খুব তাড়াতাড়ি পরিচিতির শিখরে পৌঁছে গেছে। তার মধ্যে বর্তির বিল একটি। আগে বহুবার দাদার পোস্ট থেকে আপনারা দেখেছিলেন সেখানকার সৌন্দর্যতা। পোস্টগুলো দেখে আমার নিজেরই খুব ভালো লেগেছিল, সেই সাথে যাওয়ার ইচ্ছে অনেকদিন ধরেই ছিল। কিন্তু কলকাতা থেকে বেশ কিছুটা দূরে হওয়ায় সেটা হচ্ছিলো না। এক শনিবার কিছুটা সময় হাতে করে বেরিয়ে পড়লাম সেই বর্তির বিলের উদ্দেশ্যে। বোনের স্কুটার কিছুদিন আগেই ঠিক করেছি সেটা নিয়েই পাড়ি দিয়েছিলাম।
শীতের দিনে খুব তাড়াতাড়ি বেলা গড়িয়ে যায় তাই দুপুর বেলায় বেরিয়েছিলাম। তবে ওই যে দুপুর হলেও শীত, টুক করে সূর্য উধাও হওয়া শুরু হলো। স্কুটারে যেতে যেতে ভর্তির বিল পৌঁছানোর আগেই অনেকটা বিকালে নেমে গিয়েছিল। কলকাতার পার্শ্ববর্তী হওয়ায় পাশাপাশি বিলে যাওয়ার যোগাযোগ ভাল ছিল। উপরি পাওনা সবুজে ভরপুর পথ ঘাট। ন্যাশনাল হাইওয়ে ৩৪ ধরে বারাসাত, সেখান থেকে আবার কিলোমিটার দশেক স্কুটার চালিয়ে পৌঁছে গেলাম বর্তির বিল। পুরো পথটাই বেশ ভালো সড়ক সংযোগ রয়েছে তবে বর্তির বিল ঢোকার মুখে কিলোমিটার দুয়েক রাস্তা রয়েছে যেটা এখনো পাকা হয়নি, সেটুকু নেচে নেচে পেরোতে হলো 😂। রাস্তাটা পেটের ভাত হজম করতে সাহায্য করলো আরকি।
যখন পৌছালাম তখন সূর্য দেবতা অনেকটাই পশ্চিমে ঢলে পড়েছেন। গোধূলিতে পুরো জায়গাটাকে এত সুন্দর লাগছিল। আমার মতোই প্রচুর মানুষের ভিড় সেখানে এসেছে। অনেকেই যে ঘুরতে আসেন সেটা বোঝা গেল। মূলত জায়গাটা দেখে যা বুঝলাম বর্ষার সময় হলে আরো সুন্দর লাগতো বলেই মনে হচ্ছে। পুরোটাই বিল এর মতন বেশ নিচু জায়গাতে তবে চাষযোগ্য জায়গা। পাটের কিছু কিছু গাছ চোখে পরছিলো। বিলের প্রধান আকর্ষণ অর্থাৎ জল না থাকায় একটু কষ্ট পেলুম বটে তবে শীতের সূর্য সেটা কাটিয়ে দিলো।
গোধূলি বেলায় এবং আশেপাশের ফাঁকা জায়গার অসাধারণ মেলবন্ধন হয়েছিল সেটা যথেষ্ট ছিল মন ভালো করে দেওয়ার জন্য। আশপাশে প্রচুর মানুষ জন থাকলেও খুব একটা আওয়াজ পাচ্ছিলাম না সেজন্যই জায়গাটা লাগছিল আরো মনোমুগ্ধকর। সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সূর্য অস্ত যাওয়া দেখলাম। সূর্য অস্ত যেতেই বেরিয়ে পড়লাম, ঘরে ফিরতে হবে যে। ওহ! ফিরতি পথের দারুন চা খেলুম বটে, যা পরের বার যাওয়ার জন্য আশা
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao $PUSS
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অবশেষে তাহলে বর্তির বিল ঘোরা হলো, বাহ্ দারুণ উপভোগ করলাম প্রকৃতির ছবি গুলো। স্কুটার থাকাতে কিছুটা সুবিধাই হয়েছে। জীবন হোক আনন্দময়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এভাবে নাচানাচি করলে তো পেটের ভাত হজম হবেই হা হা হা। আর হজম হলেই তো ভালো, আবারও বেশি বেশি খেতে পারবেন। যাইহোক বর্তির বিল নিয়ে আগেও অনেক পোস্ট দেখেছি। তবে সেখানে পানি থাকলে নিঃসন্দেহে আরও বেশি ভালো লাগতো দাদা। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কলকাতা শহরের যানজটে ধুলো আর মানুষের ভিড়ে ২৪ ঘন্টা বেরোনোর আগেই আমার কেমন দম বন্ধ হয়ে আসে। হা হা হা। আপনারা তো সব দিনই থাকেন তাই মনে হয় মাঝে মাঝে এমন আউটিং খুব দরকার, যেখানে একটু খোলা বাতাস পাওয়া যাবে। উদ্দেশ্য গুলো খুব ভালো লাগলো। ভাঁড়ে চায়ের রংটা কিন্তু দারুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ বর্তির বিল যাওয়ার ভেতরের রাস্তাটি খুব খারাপ। আমি কয়েক বছর আগে একবার গিয়েছিলাম। তবে বিলের চারপাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ করে দেয়। আর সব থেকে ভালো লাগে যদি নৌকায় চড়ে শালুক বনের কাছে যাওয়া যায়। দুর্দান্ত একটি জায়গা বটে। আপনার পোস্ট ভালো লাগলো। কিন্তু বিলের কিছু ছবি দিলে আরো ভালো হতো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোট দাদা এবং বড় দাদার পোস্টে বেশ কয়েকবার পড়েছিলাম এই বর্তির বিল নিয়ে। জায়গাটা বেশ দারুণ। একেবারে মাটির কাছাকাছি ফিরে যাওয়া যায়। চমৎকার লাগল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। শেষ বিকেলে গিয়ে সময় টা বেশ দারুণ কাটিয়েছেন আপনি দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit