মোটরসাইকেল চালানোর অভিজ্ঞতা (পর্ব ১) // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে

in hive-129948 •  3 years ago 

নমস্কার,

সালটা ২০২২, করোনার প্রথম ঢেউ কাটিয়ে উঠে বাড়িতে বসে খুবই একঘেঁয়েমি বোধ করছি। টানা দুমাস বাড়িতে বসে থাকলে যা হয়! হাতে তেমন কোনো কাজকর্ম নেই যে সেদিকে ব্যস্ত থাকবো তাই নতুন কোনো স্কিল শেখার আগ্রহ জন্মালো। নতুন কিছু শেখার আগ্রহ থেকেই আমার স্কুটি চালানো শুরু করলাম। সেসব দু বছর আগের কথা। স্কুটিতে এখন হাত পাকিয়ে ফেললেও শিক্ষানবিশ লাইসেন্স (যেটার মেয়াদ শেষ) নিয়ে চালিয়ে বেড়াই।

"করছি করবো" করে লাইসেন্সটা করা হয়নি। আসলে এটার পেছনে লাইসেন্সের পেছনে দৌড়োদৌড়ি করাটাকেই আমি কারন ধরি (যদিও আমার আলসেমিতেই করা হয়নি, জ্ঞানপাপী 😆)।

তবে গত মাসের ২৭ তারিখে ঢিলেমির পরিবর্তন হলো যখন রাজ্যে নতুন মোটরগাড়ি আইন লাগু করা হলো সেটা অনুযায়ী বৈধ লাইসেন্সে গাড়ি চালাতে গিয়ে ধরা পড়লে ১০০ টাকার পরিবর্তে ৫০০০ টাকার ফাইন লাগবে। ফাইনের কথা ভেবেই লাইসেন্সটা করার তড়িঘড়ি পড়ে গেলো।

যদি স্কুটারের লাইসেন্স করতে চাইতাম তবে কয়েক সপ্তাহেই সেটা হয়ে যেতো কিন্তু মুশকিল হলো স্কুটারের লাইসেন্স নিয়ে বাইক চালানো যায় না। মোটর বাইকের লাইসেন্স দিয়ে যাবে দুটোই চালানো সম্ভব। নতুন ভাবে বাইক চালানো শিখতে হবে। খোঁজ শুরু করলাম মোটরবাইক শিক্ষকের। শিখিয়ে না দেওয়ার অনীহায় অনেকেই রাজি হয়নি তবে আশীষ কে বলা মাত্রই রাজি করাতে পেরেছি।

নির্দিষ্ট দিনে শুরু হলো জায়গা খোঁজা যেখানে বাইক চালানো যেতে পারে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে একটা রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে ফাঁকা পাওয়া গেলো। প্রথমে যদিও একটা গলির মধ্যেই চালানো শুরু করেছিলাম অতিরিক্ত গাড়ি চলাচলে বাধ্য হয়ে সেটা গলি থেকে বেরিয়ে স্টেশনে।

ফাঁকা জায়গা তাই বাইক চালাতে খুব একটা বেগ পেতে হলো না। গিয়ার যখন আয়ত্ত হয়ে গেলো তখন আমাকে আর পায় কে! গোল গোল করে ১৭ চক্কর লাগিয়ে দিলাম। শুধুমাত্র বাইক ঘোরাতেই যা সমস্যায় পড়লাম।

১৭ চক্কর মেরে বাইক চালানোয় ইতি টানলাম তবে অভিজ্ঞতাটা ছিলো একদমই অন্যরকম। স্কুটি চালানোর থেকে অনেকটাই ভিন্ন।





Support @heroism by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

মাঠে practice করবে আগে।

মাঠের খোঁজ চলছে! বাইক শিখতে গিয়ে আমার উপলব্ধি হলো কলকাতায় মাঠ খুবই দুর্লভ। তবে খোঁজ চলবে...

দাদা আপনার বাইক চালানোর গল্প পড়ে ভালো লাগলো ।
আসলে স্কুটি চালানোর অভিজ্ঞতা থেকে আপনি খুব সহজেই বাইক চালাতে পারবেন। আপনার চেষ্টা আশা করি সফল হয়েছে।ঞ 17 টি পাক মেরেছেন অনেক সময় ধরে গাড়ি চালিয়েছেন। তাড়াতাড়ি লাইসেন্স করে ফেলুন বিপদে পড়তে পারেন।

একবার আয়ত্তে এসে গেলে বাইক চালানো বেশ সহজ। আপনার নতুন বাইক চালানো শেখার অভিজ্ঞতাটি পড়তে পেরে ভালো লাগলো। তবে বাইক সাবধানে চালাবেন।

দাদা আপনার বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভাল লাগল। আসলে আমিও যখন প্রথমে বাইক চালানো শিখছিলাম তখনো আমারও এরকমই অনুভূতি হয়েছিল। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে বাইক চালানোর অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন, 17 চক্কর এর মাধ্যমে আপনার বাইক চালানো শিখা হয়ে গেল।আসলে বাইক চালানো শেখার পরে খুবই ভালো লাগে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

আপনি মোটরসাইকেল চালানোর দারুণ অভিজ্ঞতা আমার সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার উপস্থাপনা এই অভিজ্ঞতা নতুন করে শিখতে সাহায্য করবে। ধন্যবাদ রইলো শ্রদ্ধেয়।

১০০ টাকার পরিবর্তে ৫০০০ টাকা সত্যি এবার লাইসেন্স না করা বোকামি হবে। যেহুতু আপনি স্কুটি চালাতে পারেন তাই মোটরসাইকেলে চালানো শিখতে বেশি সময় লাগবে না। এবং দেখে মনে হচ্ছে শিখে গিয়েছেন। এখন শুধু অনুশীলন করতে হবে।

দাদা আপনার মুচকি হাসিটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনার মুচকি হাসের প্রেমে পড়ে গিয়েছি আমি। খুব ভালো লেগেছে।