মোয়ার টানে জয়নগর: রাজপুরের তৃপ্তি ফাস্ট ফুড

in hive-129948 •  29 days ago 

নমস্কার বন্ধুরা,

রাজপুর বিপত্তারিণী চণ্ডী মায়ের মন্দির থেকে বেরোতেই পেটের খিদেটা ফের চাগিয়ে উঠলো। আসলে রাজপুর আসার পথেই প্রচণ্ড খিদে পেয়ে গেছিলো যেটা আমি মায়ের মন্দির পর্যন্ত চেপে রেখেছিলাম। মন্দির থেকে বেরোতে সেটাই মাথা চাগা দিয়ে দিলো। সকাল নটার সময় বেরিয়েছি আর যখন মন্দির থেকে বেরোলাম ঘড়িতে তখন সাড়ে দশটা। সকালবেলা শুধুমাত্র গরম জল পান করে বেরিয়েছি স্বভাবতই বেশ খিদে পেয়ে গিয়েছিল। পেটে প্রায় ইঁদুর দৌড়ানোর মতন অবস্থা। মাথায় ছিলো মন্দির থেকে বেরিয়ে কিছু খেয়ে নেবো। সেই সময়েই নজরে পড়ল মন্দিরের বাইরে থাকা একটা ছোট্ট দোকানের ভীড়ের উপরে। দোকান ছোট হলে কি হবে, ভিড় উপচে পড়েছে। বুঝলাম সুপরিচিত খাবারের দোকান।

1000090660.jpg

দোকানের সামনে গিয়ে দেখলাম গরম গরম কচুরি ভাজা হচ্ছে। সেই সাথে গরমা গরম জিলাপি। যদিও সকাল বেলায় ভাজাপোড়া খাওয়া উচিত না তবুও মন্দিরের কাছে কচুরির দোকানে ভিড় দেখে সেটাতে না যাওয়া পাপ। দোকানের ভেতরে মোটেই জায়গা ছিলো না, তাই খানিকটা বাইরে দাঁড়িয়ে কচুরি ভাজা দেখলাম। কচুরি বেলার গতি আমাকে অবাক করলো। মিনিট দুয়েকের মধ্যে কমপক্ষে ১০-১৫ খানা কচুরি বেলা হলো, সেই সাথে ঝপাঝপা তেলের মধ্যে পড়ে হালকা ফুলকো হয়ে উঠলো। ভেতরে অল্প ফাঁকা হলে আমিও জায়গা দেখে বসে পড়লাম। কিছুটা সময় বসলাম কিন্তু কেউ কাছে এসে অর্ডার নেয় না। আমার টেবিলে বসে থাকা এক ব্যক্তিই আমার হয়ে হাত দেখিয়ে ডেকে অর্ডার করে দিলেন। বুঝলাম উনি স্থানীয়, মাঝে মধ্যেই আসেন।

1000090661.jpg

1000090663.jpg

পাতে পেলাম চারখানা কচুরি এবং ফের হাত দিয়ে ডাকার পর আরেকজন এসে ঘন মটর ডাল দিয়ে গেলো। ডাল ও কচুরি মিলেমিশে একাকার হয়ে গেলো। খিদে পেয়েছিল তবুও কচুরি খুবই গরম থাকার জন্য একটু ধীরে সুস্থে ছিঁড়তে হলো। তারপর অল্প ডালের মধ্যে লেপ্টে মুখে পুরলাম। আহা! হালকা নোনতা কচুরি আর মিষ্টি মুগের ডাল, দুটোর কম্বিনেশন মুখের মধ্যে জমে উঠলো। শুরুটা ধীরে হলেও চারটে কচুরি আমি নিমেষে উড়িয়ে দিলাম। এমনকি যিনি অর্ডারে সাহায্য করেছিলেন তার আগেই খাওয়া শেষ 🤪।

1000090662.jpg

কচুরি খেয়ে ক্ষান্ত, জিলাপির দিকে পা বাড়াইনি। চারটে কচুরি আর অনেকটা ডাল, দাম মেটালাম মাত্র ২৪ টাকা। টাকা মিটিয়ে দিয়ে ফের মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে রওনা দিলাম। অনেকটা পথ বাকি...


"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা

"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা


X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao $PUSS




IMG_20220926_174120.png

Vote bangla.witness

Or

Set @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আসলে জয়নগরে এসে এই পোষ্টের মাধ্যমে কিন্তু আমরা জানতে পারলাম না যে মোয়ার টেস্ট কেমন ছিল। আসলে আমাদের এই পুরো পশ্চিমবাংলায় এই জয়নগরের মোয়া বলে পুরো রাজ্যে মোয়া বিক্রি হয়। তাই আমারও ইচ্ছা আছে জয়নগরে গিয়ে এই মোয়া খাওয়ার। আসলে গরম গরম কচুরি খেতে কিন্তু আমার খুব ভালো লাগে।

রাজপুর এই আমাদের আদি বাড়ি। তাই এই গ্রামের সঙ্গে আমার যেন নাড়ির টান লেগে আছে। আর বিপত্তারিণী মন্দির তো সেখানকার বিখ্যাত একটি মন্দির। আপনি সেই মন্দিরে গিয়েছেন শুনে আমার খুব ভালো লাগলো। আমি আসলে দক্ষিণেরই মানুষ। তবে বহুদিন কাজের জন্য কলকাতার আশেপাশে থাকি। আপনার এই ব্লগ পড়ে ভালো লাগলো।

মাত্র ২৪ টাকা দিয়ে তো বেশ তৃপ্তি সহকারে খাবার খেয়েছেন দাদা। ৪ টা কচুরি খাওয়ার পর পেটে তো আর জায়গা থাকার কথা না হা হা হা। শীতকালে তেলেভাজা খাবারগুলো খেতে দারুণ লাগে। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।