নমস্কার বন্ধুরা,
জালিয়াতির কবলে ভারতের সাধারণ মানুষ!!! হঠাৎ নতুন এক জালিয়াতির আওতায় চলে এসেছেন ভারতবর্ষের ব্যাংক একাউন্ট সম্বলিত সব স্তরের মানুষ, বিশেষ করে যে একাউন্ট গুলির সাথে আধার কার্ড সংযুক্তি করণ রয়েছে। আধার কার্ড ভারতবর্ষের মানুষের অন্যতম পরিচয় পত্র, এটির বিশেষত্ব হলো এর সাথে নির্দিষ্ট সেই মানুষের দশটি হাতের আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের মনি সংরক্ষিত করা হয়। যা বিগত কয়েক বছরে আমাদের দেশে জালিয়াতির সংখ্যা অনেকটাই কমিয়ে ফেলতে সক্ষম করেছে। তার পাশাপাশি ভারতীয় ব্যাংক আধার কার্ডের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্তিকরণ করিয়ে AEPS বা আধার এনাবেল পেমেন্ট সিস্টেম নামক নতুন এক লেনদেনের ব্যবস্থা সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করেছে। যার সাহায্যে শুধুমাত্র আঙুলের ছাপ দিয়েই ওটিপি ছাড়াই ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত তোলা সম্ভব। যা প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের জন্য খুবই কার্যকরী। সুবিধা যেখানে সমস্যার সূত্রপাতটাও ঠিক সেখানেই।
বিগত সপ্তাহে হঠাৎই জানতে পারলাম যে কেউ/কারা আমার পিসির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা তুলে নিয়েছে। সেটা আবার AEPS এর মাধ্যমে। শুনে তো মাথায় বাজ ভেঙ্গে পড়ার অবস্থা কারণ আমাদের প্রত্যেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সাথে আধার কার্ড সংযুক্ত আছে আর এক্ষেত্রে কেউ যদি অজান্তে টাকা তুলে নেয় তাহলে কিছুই করার থাকবে না।
অল্প খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম অনেক মানুষেরই এভাবে একাউন্ট থেকে তাদের অজান্তেই বেশ কিছু টাকা খোয়া গেছে। অথচ যে পরিমাণ মানুষের টাকা খোয়া গেছে তার তুলনায় প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমে এটির সেভাবে প্রচারই নেই। যা পেলাম সবই লোকাল নিউজ পোর্টাল গুলিতে। ন্যাশনাল নিউজ পোর্টাল কিংবা রাজ্যের প্রথম সারির নিউজ পোর্টাল গুলিতে বিশেষ খবরই নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে একটি নামী বাংলা নিউজ চ্যানেলের কিছু খবর নজরে এলো।তারপরে অনেক রিসার্চ করে বুঝলাম আমার রাজ্যেরই প্রায় কয়েক হাজার মানুষের অ্যাকাউন্ট থেকে এরকম ১০,০০০ টাকা থেকে ২০,০০০ এমনকি ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খোয়া গেছে। সবচাইতে ভয়ের বিষয়টা বেশিরভাগ লক্ষ্য করা হয়েছে বয়স্ক নাগরিকদের।
উপায় না পেয়ে পরিচিত এক ব্যাংক কর্মীকে ফোন করে তাকে পুরো বিষয়টা বুঝিয়ে বললাম। উনি বায়োমেট্রিক লক করে রাখার পরামর্শ দিলেন। তারপর রীতিমতো যুদ্ধ কালীন তৎপরতা নিয়ে পরিচিত সকলের আঁধার বায়োমেট্রিক লক করিয়ে ফেললাম। আপাতত কিছুটা নিশ্চিন্ত হওয়া গেলো।
পরের পর্বে আঁধার বায়োমেট্রিক লক কিভাবে করা সম্ভব সেটা বিস্তারিত আপনাদের জানাবো। আপাতত বিদায় জানালাম।
ব্যাপারটা সত্যিই ভয়ের ব্যাপার। এভাবে সাধারণ মানুষের টাকা খোয়া গেলে খুব দুঃখজনক ব্যাপার এটা। আমার মতে এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো কঠিন করা দরকার। যাইহোক বায়োমেট্রিক লক করে ভালো করেছেন দাদা এবং পরিচিত সকলকে করিয়েছেন। আশাকরি এখন টাকা নিরাপদ থাকবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ওরে বাপরে এতো ভয়ংকর হুমকি স্বরূপ সকল একাউন্টের জন্য।আমি তো প্রথম ভেবেছিলাম আপনার পিসির ১০ হাজার টাকার মতো তুলে নিয়ে গিয়েছে। এখন দেখছি জনে জনে অনেকেরই টাকা নিয়ে গেছে। এটা হয়তো কোন বড় চক্র জালিয়াতি করতেছে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বায়োমেট্রিক লক করিয়ে আপাতত কিছুটা স্বস্তিতে আপনারা।আপনার পিসির একাউন্ট থেকে টাকা নিয়েছে জেনে খারাপ লাগলো। অধার কার্ড থেকে এই জালিয়াতি চক্রের হাত থেকে অনেকটা রক্ষা করতে পারে।সকল জায়গায় এরকম জালিয়াতি কিছু চক্র রয়েছে।তবে আপনাদের এই অধার কার্ডে বায়োমেট্রিক থাকতে অনেকটা সুবিধা হয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit