নমস্কার বন্ধুরা,
পুজোর সময় বাড়ি আসবো না, সেটা তো হয় না। পুজোতে বাড়ি আসার জন্য আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল, তবে কবে আসবো সেটা ঠিক ছিল না। সেই জন্য ট্রেনের টিকিট কিংবা বাসের টিকিট কিছুই কাটা ছিল না। ভেবে রেখেছিলাম যখন পুজোর সময় আসবে তখন দিন ঠিক হলে তৎকাল টিকিট কেটে নেবো। পুজোর দু'চারটা দিন বাড়িতে থাকার মধ্যে যে প্রশান্তি রয়েছে সেটা অন্য কিছুতে নেই। সে কারনেই পুজোর সময়ের টিকিটের চাহিদা সবচাইতে বেশি থাকে। অনেকে তো তিন মাস আগে থেকেই টিকিট কেটে রাখে। আমি দুদিন চেষ্টা করার পর টিকিট কাটতে সক্ষম হলাম। প্রথমে পঞ্চমীর রাতের টিকিট কাটতে পারিনি, তারপর বুদ্ধি খাটিয়ে ষষ্ঠী রাতের টিকিট কেটে ফেলতে সক্ষম হলাম। সোমবার টিকিট না পাওয়া থেকে শিক্ষা নিয়ে আমি একটু প্রস্তুতি নিয়েই মঙ্গলবার এগারোটা বাজার আগেই অ্যাপে ঢুকে পড়লাম। মাত্র দু মিনিটের মধ্যে পুরোটা শেষ করে ফেলতে পারলাম।
মঙ্গলবার দিনটা পুরো হাতে পাওয়ায় একদিক থেকে ভালই হলো। সেদিন অনেক গুলো পুজো মণ্ডপ ঘুরে নিতে পারলাম। ধীরে ধীরে সেগুলো পুজো পরিক্রমা ২০২৪ আকারে পোস্ট করব। আমি বুধবার সকাল বেলাতেই বেরিয়ে পরলাম কিছু কাজকর্মগুলো সেরে নিতে। দুপুরের খাবার খেতে বেরিয়ে লক্ষ্য করলাম মানুষ জনের রাস্তায় ঢল নামা শুরু হয়েছে। মনে শঙ্কা হলো রাতে বাড়ি ফিরে আবার স্টেশন যেতে পারবো কিনা। সেই ভয় থেকে কিছুটা আগে বেরিয়ে পড়লাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। সেখান থেকে আবার স্টেশন যাওয়া।
আমার ট্রেন ছিল রাত্রি সাড়ে দশটার সময়। আমি জ্যামের কথা মাথায় রেখে রাত্রি আটটার সময় বেরিয়ে পড়লাম। যে রাস্তায় বাস চললো সেটা তুলনামূলক ফাঁকা পেলাম। ঘন্টাখানেকের রাস্তা মাত্র দেড় ঘন্টা লাগলো বটে তবে এটা মহাষষ্ঠীর দিনে ফাকাই বলা চলে। ট্রেনের সময়ের অনেকটা আগেই স্টেশন পৌঁছে গিয়েছিলাম তাই আধ ঘণ্টা স্টেশনে বসে থাকলাম। নির্ধারিত সময়ে ট্রেন চলা শুরু হল।
ইদানিং কেন জানি ট্রেনে আমার ঘুম আসতে চায়না। অনেক চেষ্টা করলাম কিছুতেই ভালো ঘুম হলো না। বারবার ঘুম ভেঙে গেলো, সকাল বেলা অল্প চোখ লাগবে লাগবে করছে বাইরে তাকিয়ে দেখি আমার গন্তব্য স্টেশনের আগের স্টেশন দাঁড়িয়েছে। কি আর করার নেমে পড়লাম সিট থেকে। কলকাতাতে যেখানে রীতিমতো এখনো ভ্যাপসা গরম রয়েছে সেখানে এখানে বাইরে থেকে তাকিয়ে দেখি হালকা কুয়াশার আস্তরণে ধান ক্ষেত জড়িয়ে আছে। ট্রেনের দরজার সামনে কিছুক্ষণ হালকা ঠান্ডা হওয়া গায়ে লাগিয়ে নির্ধারিত স্টেশনে নেমে পড়লাম। হোম সুইট হোম।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao #TronMemeSeason $PUSS
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Hi @kingporos,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন দাদা ছুটিতে বাড়ি থাকার আনন্দটা আলাদা। বাড়িতে এলে যেন মনে প্রশান্তি নেমে আসে। তবে এই আনন্দঘন মূহুর্ত সহজে শেষ হয়ে যায়। পূঁজোতে বেশ ভালো সময় কাটাবেন।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পূজার সময় বাড়িতে না গেলে তো আপনার পরিবারের সবার মন খারাপ হয়ে যেতো। যাইহোক অবশেষে ট্রেনের টিকেট পেয়েছেন এবং ঠিকমতো বাসায় পৌঁছাতে পেরেছেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো দাদা। পূজা পরিক্রমা ২০২৪ দেখার অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের এখানে ট্রেনের টিকিট না যে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয় অনলাইনে সেটা বলার বাইরে দাদা। উৎসবের সময় বাড়ি না গেলে আসল আনন্দ টা যেন পাওয়া যায় না। আর জার্নির সময় তো কখনোই আমার ঘুম আসে না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit