নাটক রিভিউ:-বড় ছেলে(জনপ্রিয় একটি নাটক) ১০% @shy-fox এর জন্য

💖আসসালামু-আলাইকুম💖

---

---

🌺সবাইকে স্বাগতম🌺

আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন।

আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো নাটক রিভিউ:-একটি জনপ্রিয় নাটক বড় ছেলে। বড় ছেলে নাটকটি আমার ভিশন পছন্দের একটি নাটক। তাই আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম বড় ছেলে নাটক রিভিউ নিয়ে। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।

---

---

"ছবিটি ইউটিউব থেকে স্কিনশট নেওয়া"

নাটকটির কিছু তথ্য:-

নাটক	বড় ছেলে।
পরিচালক	মিজানুর রহমান আরিয়ান।
লেখক	মিজানুর রহমান আরিয়ান।
অভিনয়ে	জিয়াউল ফারুক অপূর্ব,মেহজাবিন চৌধুরী,খালেকুজ্জামান,শেলী আহসান।
সঙ্গীত	সাজিদ সরকার।
চলচ্চিত্র শিল্প	কামরুল ইসলাম শুভ্র।
সম্পাদনা	তৌফিকুল ইসলাম,মোঃ ইমতিয়াজ।
প্রযোজনা সংস্থা	দৃক সিডি চয়েজ।
দেশ	বাংলাদেশ 🇧🇩।
ধরন	পারিবারিক নাট্য, শিক্ষা মূলক।
বিতরণ	সিডি চয়েজ নির্মিত।
ভাষা	বাংলা।
মুক্তির তারিখ	সেপ্টেম্বর ২০১৭।
দৈর্ঘ্য	৬০ মিনিট।
রিভিউ	@limon88।

---

নাটকটির সংক্ষেপে কাহিনী:-

মধ্যবিত্ত পরিবারে বসবাস করেন অপুর্ব তার বাবা স্কুল শিক্ষক। তার মা আর ছোট ভাই। এই পরিবারের মেয়েটি তার কন্যাকে নিয়ে থাকে এই পরিবারেই। এক পর্যায়ে অপুর্ব বাবা অবসর নেবার সময় চলে আসে। এভাবেই তার বাবাকে এক পর্যায়ে গিয়ে অবসর নিতে হয়।

এই পরিবারের আয়ের উৎস হিসেবে কাজ করেন অপুর্ব নাটকটিতে যায় নাম রাশেদ। অপুর্ব পরিবারের হাল ধরেন। অপূর্ব ছাত্র ছাত্রীদের বাসায় গিয়ে পড়াতেন আর সেই টাকা দিয়ে তার পরিবার চলতে থাকে।

অপূর্ব ভালোবাসাতো মেহজাবিন চৌধুরীকে নাটকটিতে যায় নাম রিয়া। সে অপুর্ব কে মাঝে মাঝে ফোন দিয়ে খোঁজ খবর নেন। সে কি করছে,নাস্তা করছে কি না এসব।

প্রতিদিন রাশেদ অনেক আশা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়, সারাদিন টিউশনি, চাকরির জন্য ছোটাছুটি মাঝে মাঝে ভালোবাসার মানুষটির সাথে দেখা করা।

রিয়ার বাদাম অনেক পছন্দ করে। আর রাশেদ রিয়ার জন্য ১০টাকার করে বাদাম নিয়ে যেতো। আর রিয়া অনেক খুশি হতো। পরে দিন শেষে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা মাথায় রাতে বাড়ি ফিরা। এতো কিছুর পড়েও রাশেদ কাউকে কিছু বলে না বা বলতেও পারে না। কেনো পাড়েনা সে সবাই জানে।

রাশেদ তার বাবার কথামতো তার স্কুল ছাত্রের অফিসে যায়। একজন ভালো মানের রেজাল্ট ভালো করা ছেলেটা মোটা টাকা এবং মামা খালু না থাকায় কারনে একটা সামান্য চাকরিও সে জোগাড় করতে পারে না। বেকার জীবন যে কত কষ্টকয় সে বুঝতে থাকে।

আর এদিকে রিয়ার বাবা বারে বারে রিয়ার বিয়ের জন্য বলতে থাকে। তখন রিয়া আর রাশেদ দেখা করে।

তারা দু'জনে ভাবতে থাকে কি করা যায়। রিয়া বলে পালিয়ে যাবে। কিন্তু রাশেদ তা মানে না। রাশেদ জানিয়ে দেয় তারা দুজন আজকে থেকে আলাদা হয়ে যাবে।

রিয়া এ কথা শুনে কাঁদতে থাকে। পরে রাশেদ চলে যায়। রিয়ার বিয়ের ঠিক হয়ে যায়। একদিন ফোন করে রিয়া রাশেদ এর কাছে একদিন চায় তা মতো করে।

রিয়ার দেওয়া শার্ট পড়ে আস্তে বলে রাশেদ কে। রাশেদ বাদাম নিয়ে আসে। আজকেই তাদের দুজনের শেষ দেখা।

রিয়া রাশেদ এর জন্য রান্না করে নিয়ে আসে। গাড়িতে বসে রাশেদ কে খাইয়ে দেয়। আর রিয়া রাশেদ এর জন কিছু গিফট নিয়ে আসে।

গিফট দিয়ে রিয়া চলে যায়।রাশেদ গিফট নিয়ে ঝরিয়ে ধরে কাঁদতে থাকে।

এদিকে গাড়িতে চলে যায় রিয়া কাঁদতে কাঁদতে। এভাবেই তারা তাদের ভালোবাসাকে সম্মান করে আগলে রাখে। চোখ মুছতে মুছতে বাসায় ফিরে যায় রাশেদ। তার পরিবারের সবার মুখে হাসি ফুটানোর জন্য।

নাটকটি থেকে শিক্ষা:-

নাটকটি আমার ভিশন ভালো লেগেছে। ভালোবাসা হচ্ছে একটি অমূল্য সম্পদ। যা সবার কপালে জুটেনা। আবারও কেউ পেলেও তার সঠিক মর্যাদা দিতে পারেনা। বড় ছেলে নাটকটিতে রাশেদ দেখিয়েছে কিভাবে ভালোবাসতে হয়। কিভাবে ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। রাশেদ চাইলেই তাকে কোর্ট ম্যারেজ করে বিয়ে করতেও পারতো কিন্তু সে তা করেনি। কারন জীবন থেকে কেউ পালিয়ে বেরাতে পারবেনা এটা সম্ভব না। নিজেকে বলিদান দিয়ে রাশেদ এর মতো অনেকেই বাঁচিয়ে রেখেছে তার পরিবার ও ভালোবাসে কে।

ব্যক্তিগত মতামত:-

অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই পরিচালক মিজানুর রহমান আরিয়ান স্যারকে। আমাদের এত সুন্দর একটি নাটক উপহার দেওয়ার জন্য। পরিচালক পরিবারের বড় ছেলেদের কে নিয়ে এই নাটকটি তৈরীর করেছেন। এই নাটকটি দেখে সবার মন জয় করে নিয়েছেন। সবার কাছে অনুরোধ কেউ যদি বড় ছেলে নাটকটি না দেখে থাকেন তাহলে তাড়াতাড়ি নাটকটি দেখুন।

ব্যক্তিগত রেটিং:-১০/১০%