জান্নাতুল লিয়া মনির জন্মদিনের সুন্দর মহূর্ত।

হ্যালো বন্ধুরা 💞

আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। প্রথমেই সবাইকে আমার সালাম ও। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের আয়োজন শুরু করছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো জান্নাতুল লিয়া মনির জন্মদিনের সুন্দর মহূর্ত। আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক।

জান্নাতুল লিয়া মনির জন্মদিনে আয়োজন ছিলো শুক্রবার জুমার দিন। তাই যেহেতু জুমার দিন সময় কম পাওয়া যাবে। এজন্য আমি বৃহস্পতিবার রাতেই সব কিছু কেনাকাটা করে রেখেছিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘর সাজানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করলাম। আসলে আমি ছিলাম একা আর এজন্য একটু সময় নিয়ে কাজ গুলো করার চেষ্টা করলাম। এক ঘন্টার মধ্যে আমি ঘর সাজানোর কাজ শেষ করলাম। যদিও বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। যে গুলো তুলেছিলাম সেগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।

এর পরে রান্নার আয়োজন এর কাজ শুরু করলাম। আমার যেগুলো প্রতিবেশী রয়েছে সবাইকে দাওয়াত করেছিলাম। আর হুজুর সাহেব কে ও দাওয়াত করেছিলাম নামাজের পর যেনো আমার বাসায় আসেন। আমি যে নতুন বাসায় উঠেছি সেই বাসার বাড়িওয়ালি এবং বাড়িওয়ালা ভদ্রলোক খুবই ভালো। আমরা সব কিছু আয়োজন করে দিয়েছি তারা দুজন মিলে রান্নার কাজ শেষ করেছেন। এর পরে দুপুরের নামাজ আদায় করে বাসায় আসলাম। তার পরে লোকজন আসা শুরু করলো এবং হুজুর সাহেব ও চলে এসেছেন। এর পরে দোয়া প্রার্থনা করা হলো। তার পরে সবাইকে সুন্দর ভাবে খাবার পরিবেশন করা হলো।

আমার পরিচিত কিছু লোকজন অনেক দুর থেকে এসেছেন। এজন্য আমি সবাইকে নিয়ে মেয়ের জন্মদিনের কেক কাটতে চেয়েছিলাম। এজন্য বিকেল এর পরে সবাই মিলে একসাথে হলাম। এর পরে টেবিলের মধ্যে কেক রেডি করতে লাগলাম। তার পরে তো সবাই মিলে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আসলে সবাই মিলে আনন্দ উপভোগ করার মজাই আলাদা। আমার ভাগ্নি জান্নাতুল ফারিয়া তো ভীষণ খুশি। ছোটদের ফটোগ্রাফি করা খুব কষ্টকর। এর পরে অনেক কষ্ট করে আমি আমার ভাগ্নির ফটোগ্রাফি করলাম।

এর পরে মোমবাতি জ্বালিয়ে দিলাম। এবার লিয়া মনির আম্মু ছোটদের কে সাথে নিয়ে কেক কাটলো। তার পরে সবাইকে কেক খাইয়ে দিলো। ভ্যানিলা ক্রিম কেক খেতে অনেক বেশি মজাদার ছিলো। সবাই খেয়ে বারবার বলছিলো। সত্যি এর পরে আমি যখন খেলাম খেয়ে তো ভীষণ ভালো লাগলো। আমার মেয়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন। আম্মু তুমি অনেক বড় হও এবং সুস্থ মন মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠো এই কামনাই করি। আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি। নিচে ছোট একটি ভিডিও লিংক শেয়ার করলাম। অবশ্যই দেখবেন এবং আপনাদের সবার কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আল্লাহ হাফেজ 💞

ভিডিও লিংক:)-