নাটক রিভিউ:)- রুপকথা।

নাটক রিভিউ:)- রুপকথা। "নাটক প্রেমিকদের কে স্বাগতম"

_{"ছবিটি ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেয়া"}

শুভ সকাল 🌅

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। প্রথমেই সবাইকে আমার সালাম ও আদাব। কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমার মেয়ে জান্নাতুল লিয়া অসুস্থ তাই তেমন একটা ভালো নেই। বাচ্চারা অসুস্থ হলে কোন কিছুই ভালো লাগে না। আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো নাটক রিভিউ। নাটক রিভিউ:)- রুপকথা। অনেক দিন পরে নাটক রিভিউ করছি আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

নাটকটির কিছু তথ্য:-

নাটক:	রূপকথা।
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা:	জাকারিয়া শোখিন।
প্রাথমিক সম্পাদনা:	আরমান আরিয়ান।
সম্পাদনা ও রঙ:	রাশেদ রাব্বি।
অভিনয়ে:	তৌসিফ মাহমুদ, কেয়া পায়েল,আর অনেকেই।
প্রযোজক:	এসকে শাহেদ আলী পাপ্পু।
প্রযোজনা করেছেন:	সেন্ট্রাল মিউজিক অ্যান্ড ভিডিও (সিএমভি)

নাটকটির সংক্ষিপ্ত কাহিনী:-

তৌসিফ মাহমুদ বাইক নিয়ে রাস্তা দিয়ে বন্ধুদের সাথে যাচ্ছে। হঠাৎ করে তৌসিফ মাহমুদ এর বাইকের সামনে কেয়া পায়েল এবং তার বান্ধবী চলে আসে। তখন কেয়া পায়েল এর সাথে তৌসিফ মাহমুদ এর দেখা হয়। এর আগে কখনো দেখা হয়নি কারন কেয়া পায়েল এলাকায় নতুন এসেছে। কেয়া পায়েল কে দেখে তো তৌসিফ মাহমুদ প্রেমে পড়ে যায়। এর পরে তৌসিফ মাহমুদ এর বন্ধুরা বিভিন্ন ভাবে কেয়া পায়েল এর নাম্বার এনে দেয়।

কেয়া পায়েল এর ইচ্ছে ছিলো তাকে সত্যিই এমন একজন ভালোবাসবে যেটা সে মনে মনে ভেবেছে। এসব কথা গুলো তৌসিফ মাহমুদ এর বন্ধুরা শুনতে পায়। এর পরে তৌসিফ মাহমুদ প্লান করে কেয়া পায়েল এর সাথে প্রতিনিয়ত কথা বলে অন্য পরিচয় দিয়ে। যদিও এদিকে আবার কেয়া পায়েল তৌসিফ মাহমুদ কে পছন্দ করতো না। তাদের মধ্যে ফোনের মধ্যে ভালোবাসা শুরু হয়ে যায়। তৌসিফ মাহমুদ কেয়া পায়েল কে ভিন্ন রকম ভাবে ভালোবাসার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

দুজনের মধ্যে এভাবে চলতে থাকে। এর পরে হঠাৎ করে তো কেয়া পায়েল এর বাবা বলেন তাকে বিয়ে দিয়ে দিবে। এর পরে কেয়া পায়েল ফোনে যে ছেলেটার সাথে কথা বলেন ওকে দেখা করতে বলে। এবার তৌসিফ মাহমুদ কি করবে ভেবে পায় না। সাহস করে দেখা করতে যায়। দেখা করার পর তো কেয়া পায়েল সেখানে থেকে চলে যায়। কারন হচ্ছে কেয়া পায়েল তো তৌসিফ মাহমুদ কে পছন্দ করে না। এর পরে কেয়া পায়েল এর সাথে যে ছেলের বিয়ে ঠিক হয়। সে অনেক টাকা যৌতুক চায়। কেয়া পায়েল সিদ্ধান্ত নেয় তৌসিফ মাহমুদ তো আমাকে অনেক ভালোবাসে আমি ওকেই বিয়ে করবো। এর পরে তারা বিয়ে করে।

এবার তারা বিয়ে করে। বাসর রাতে কেয়া পায়েল এর থেকে পাওয়া অনেক জুতা ছিলো সেগুলো তৌসিফ মাহমুদ কেয়া পায়েল কে দেখায়। তৌসিফ মাহমুদ কেয়া পায়েল কে প্রতিনিয়ত প্রেমের কথা বলতো এবং বন্ধুরাও ভাবি বলতো। আর এদিকে কেয়া পায়েল জুতা ছুড়ে মারতো। এসব তৌসিফ মাহমুদ জমিয়ে রেখেছিলো। তাদের মধ্যে সুন্দর সংসার শুরু হয়। তৌসিফ মাহমুদ নতুন জীবন ফিরে আসে। সব কিছু ছেড়ে দিয়ে সাধারণ মানুষের মতো কাজ কাম করেন। তবে বন্ধুদের সাথে নেশা করার কারনে কেয়া পায়েল ভীষণ কষ্ট পায়। এর পরে কেয়া পায়েল রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যায়।

তৌসিফ মাহমুদ এর সাথে কেয়া পায়েল যোগাযোগ করে না। এর পরে তৌসিফ মাহমুদ রাগ করে বাসায় থেকে চলে যায়। তার পরে বেশ কিছুদিন পরে বাসায় আসলে একটা চিঠি পায়। সেখানে লেখা ছিলো তৌসিফ মাহমুদ এর জন্য কেয়া পায়েল অপেক্ষা করেছিলো। এর পরে তৌসিফ মাহমুদ কেয়া পায়েল এর বাসায় ছুটে যায়। এর পরে জানতে পারে কেয়া পায়েল আর দুনিয়াতে নেই। তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়েছে। এর পরে তৌসিফ মাহমুদ তার সন্তান কে নিয়ে কেয়া পায়েল এর কবরে চলে যান। আর এখানেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়।

ব্যাক্তিগত মতামত:-

পরিচালক জাকারিয়া শোখিন এর নাটক গুলো দেখতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। কারনে হচ্ছে নাটকের গল্প গুলো সব সময়ই ভিন্ন রকম থাকে এবং এক কথায় অসাধারণ থাকে। নাটকটিতে সবাই চমৎকার অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে তৌসিফ মাহমুদ নাটকটিতে অভিনয়ের মাধ্যমে নাটকটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন। ফ্রি সময় পেলে মাঝে মধ্যে নাটক দেখা হয়। আমার দেখা সুন্দর একটি নাটক। ইউটিউব এ নাটকটি নতুন এসেছে। তৌসিফ মাহমুদ প্রথম দিকে অনেক খারাপ ছিলো। তার পরে তার জীবনে সব কিছু চলে আসে। এবং তার জীবন বেশ সুন্দর চলতে থাকে। এর পরে তো সে কোন ভাবেই নেশা ছাড়তে পারতো না। আর এসব এর কারনে কেয়া পায়েল মন খারাপ করতো। এবং শেষ মেশ তো কেয়া পায়েল তার বাবার বাড়িতেই চলে যায়। অবশেষে তৌসিফ মাহমুদ আর কেয়া পায়েল কে পায় না। তাদের মেয়েকে পায় যার নাম রাখা হয় রুপকথা। নাটকটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনারা যারা নাটক প্রেমিক রয়েছেন। অবশ্যই নাটকটি দেখবেন আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। আমি আমার মতো করে নাটকটির রিভিউ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কোন ধরনের ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময়ই এই কামনাই করি।

ব্যাক্তিগত রেটিং:-১০%৯.৫%