জেনারেল রাইটিং ✍️ বিদ্যায় ত্রুটি জাতির ধ্বংস।

২২ শ্রাবণ , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।

Source

শুভ রাত্রি। আশা করছি সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। অসুস্থতার এবং ব্যক্তিগত কিছু কারণে বেশ কিছুদিন যাবত আমার বাংলা মূলক পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম। তবে এই দিনগুলো আমার মোটেও ভালো কাটেনি। আজ সব ধরনের প্রতিকূল পরিবেশ থেকে মোটামুটি একটু বিরত হয়ে চলে আসলাম আবার নিয়মিত আপনাদের সাথে নতুন নতুন ব্লগ শেয়ার করার জন্য। তবে মনে হচ্ছে এই কয়দিনে অনেক কিছু মিস করেছি । অনেক অনেক ভালো সময় হারিয়ে ফেলেছি। তবে চেষ্টা করব এখন থেকে প্রতিনিয়ত পোস্ট করে কমেন্ট করে এবং ডিস্কোড এ থেকে সবার সাথে ভালো সময় অতিবাহিত করার জন্য। আজ আপনাদের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করব। আর আজকের লেখনীর বিষয় "বিদ্যায় ত্রুটি জাতির ধ্বংস" একটি জাতি একটি সম্প্রদায় বা একটা দেশের জন্য শিক্ষাটা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হয়তো আমরা সবাই জানি। কিন্তু শিক্ষিত জাতি যখন অশিক্ষিতর মত কাজ করে তখন সেই জাতির ধ্বংস সন্নিকটে চলে আসে। আর সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলে কখনোই সেই জাতি কখনো ধ্বংস হবে না। এমনকি সব ধরনের আক্রমণ থেকে এরা মুক্ত থাকবে। যাইহোক চেষ্টা করছি আজকে আমার এই ছোট্ট জ্ঞান থেকে কিছু কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ।আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেকটা মানুষকেই কিছু না কিছু প্রতিভা দিয়ে পৃথিবীতে সৃষ্টি করেছেন। আমার কিছু প্রতিভা মানুষের মধ্যে লুকায়িত রেখেছেন। যেগুলো মানুষ তার প্রচেষ্টার মাধ্যমে আল্লাহর অনুগ্রহে অর্জন করতে পারেন। তবে সৃষ্টিকর্তা বারবার বলেছেন চেষ্টায় সফলতা। যে যত বেশি চেষ্টা করবে পরিশ্রম করবে সে তত বেশি সফল হতে পারবে। সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেকটা বিষয়ে তার কাছে চাওয়ার কথা বলেছেন তেমনি জ্ঞান অন্যতম। কেননা পৃথিবী কে ভালো রাখতে হলে সমাজকে ভালো রাখতে হলে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হলে নিজের জীবনকে ভালোভাবে পরিচালিত করতে হলে অবশ্যই জ্ঞান প্রয়োজন রয়েছে। আর জ্ঞানী ব্যক্তি সবসময়ই সুখী হয়। কেননা তার চিন্তাধারা এবং কাজকর্ম সবসময়ই সাধ্যের মধ্যে রেখে পারিপার্শ্বিক বিষয়গুলো চিন্তাভাবনার মাধ্যমে হয়ে থাকে। একটি দেশের মূল কাঠামোর মধ্যে শিক্ষা অন্যতম। আর যে দেশের শিক্ষিত জাতি রাষ্ট্র পরিচালনা করবে সেই রাষ্ট্র কখনোই ভঙ্গুর অবস্থায় থাকবে না।

এজন্য জ্ঞানীরা বলে থাকেন কোন জাতিকে যদি ধ্বংস করতে চাও তাহলে তাদেরকে বিদ্যা শূন্য করে দাও। যত সময় মানুষ জ্ঞানবুদ্ধি বিচার বিবেক দিয়ে করবে তত সময় তাদের মধ্যে সামদস্যতা থাকবে। আর যখনই মানুষ বিবেকবান হয়ে যাবে জ্ঞানহীন হয়ে যাবে তখন তার আচার-আচরণ কাজকর্ম হয়ে যাবে পশুর মত। যদি মানুষের বিদ্যায় ত্রুটি থাকে তাহলে সে ওই ত্রুটি নিয়ে যখন কোন দায়িত্ব পালন করতে যাবে তখন সে পদে পদে বাধাগ্রস্ত হবে। এবং তার মিথ্যাকে দেখতে গিয়ে সে হাজারো সত্যকে মিথ্যায় পরিণত করবে। আর বুদ্ধিহীন ব্যক্তি সবসময়ই লোভী হয়ে থাকে। আর লোভী ব্যক্তি গুলো সব সময় নিজের চিন্তায় ব্যস্ত থাকে। দেশ জাতি এর চিন্তা কখনোই সে করে না। এজন্য আমেরিকান একজন লেখক বলেছিলেন আমাকে একটা শিক্ষিত মা দেও আমি একটি শিক্ষিত জাতি দিব। আসলেই শিক্ষার যে কতটা গুরুত্ব আমরা সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। আর সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া একটি জাতি সবসময়ই মানবজাতির দেশ সমাজ সবকিছুর উন্নয়নের জন্য কাজ করে।

আল্লাহতালা বলছেন হে নবী আপনি বলুন যারা জ্ঞানী আর যারা জ্ঞানহীন তারা কি উভয় সমান?? নিশ্চয়ই জ্ঞানী ব্যক্তি উপদেশ গ্রহণ করে। এর মানে জ্ঞানী ব্যক্তি শুনে বেশি বলে কম। আর জ্ঞানহীনরা সবসময়ই বেশি কথা বলে আর চিল্লায়ে মার্কেট পাওয়ার চেষ্টা করে। জ্ঞানহীন ব্যক্তি সারাদিন ধরে যেটা বলবে দেখবেন জ্ঞানী ব্যক্তি সব কথা শুনে অল্প কথায় তার কথার উত্তর দিয়ে দেবে। যদি আমাদের বিদ্যায় ত্রুটি থাকে তাহলে কিন্তু কখনোই আমরা শিক্ষাকে জাতির মেরুদণ্ড হিসেবে বলতে পারবো না। কেননা শিক্ষা তো আমাদের গ্রহণ করতেই হবে আর সেই শিক্ষাটা যেন হয় সুশিক্ষা। সুশিক্ষা মানুষকে আলোর পথ দেখায় অবশ্যই। অন্ধকার এবং আলোর মধ্যে যেমন পার্থক্য ঠিক তেমনি জ্ঞানী এবং জ্ঞানহীন মানুষের মধ্যে তেমনি পার্থক্য।

যে মানুষ যত বেশি জানে সেই মানুষ কিন্তু তত বেশি মানে। এজন্য কিন্তু মানুষ বলে থাকে জ্ঞানহীন বন্ধুর চেয়ে জ্ঞানী শত্রু ও ভালো। এজন্য আসুন আমরা আমাদের আগামী প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করি। জ্ঞানহীন জাতি কাগজের ঘরের মতো। যে কোন সময় বাতাস বা বৃষ্টি এলে ধ্বংস হয়ে যাবে। আর জ্ঞানী ব্যক্তি সবসময়ই পাথরের পাহাড়ের মত শক্তিশালী হবে কেননা সেটার বিচার বুদ্ধি এবং বিবেক দিয়ে কাজ করবে। দেশকে গড়তে হলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সমাজকে ভালো রাখতে হলে অবশ্যই জ্ঞানী ব্যক্তির অবদান সবথেকে বেশি। আমাদের আগামী প্রজন্মকে আমরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত করি এর মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব অপরিশীম। একজন মানুষ তখনই পরিপূর্ণ জ্ঞানী হতে পারে যখন সে সব বিষয়ের পাশাপাশি ধর্মীয় জ্ঞানে বা ধর্মীয় শিক্ষায় পরিপূর্ণতা পায়। একজন মানুষ তখনই পরিপূর্ণ ভালো হতে পারে যখন সৃষ্টিকর্তার ভয় তার মধ্যে কাজ করে। জীবনকে সুন্দর করি অন্যকে সুন্দরভাবে চলতে সহায়তা করি সুশিক্ষায় শিক্ষিত হই। ত্রুটিপূর্ণ জ্ঞান সংশোধন করার চেষ্টা করি। নিজের মধ্যে থেকে ক্রোধকে দূর করে দিই সবাইকে ভাই এবং বন্ধুর মতো আলিঙ্গন করি। আজও পর্যন্তই দেখা হবে আগামীকাল নতুন কোন পোস্টে।