জেনারেল রাইটিং ✍️ দুশ্চিন্তা।

in hive-129948 •  7 months ago 

৫জৈষ্ঠ্য , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।



শুভ রাত্রি ❤️ প্রতিদিনের মতো আজ আবার আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমার আজকের পোষ্টের বিষয় দুশ্চিন্তা। এই বিষয়ের উপর বাস্তবতার সাথে মিল রেখে আর কিছু কথা শেয়ার করব। মুখে শুনেছি দুশ্চিন্তা নাকি একটি চক্র আকারে ঘোরে। যত দুশ্চিন্তা করবেন তত নাকি বাড়তে থাকে। আর দুশ্চিন্তা মানুষকে এমন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে মেন্টালি এতে মানুষ স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলতে পারে। এমনকি অ্যাটাক পর্যন্ত হয়ে মৃত্যুর দুয়ার পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। আর দুশ্চিন্তা নাকি সবসময়ই বিপদ ডেকে আনে এবং দুশ্চিন্তা গ্রস্ত ব্যক্তিকে নানা ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। এজন্য যেকোনো কাজ করার আগে সুক্ষ চিন্তাভাবনা করে নিতে হয়। কথায় বলে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের বাসা। দেখবেন মানুষ তখনই বেশি চিন্তা-ভাবনা করে যখন কাজ বাদ দিয়ে অকাজে ব্যস্ত থাকে। কাজের মধ্যে থাকলে তো সেই কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় অন্য কোন চিন্তা করার সময় থাকে না। তবে কিছু কিছু কারণে বা নিজের ভুলের কারণে অনেক সময় চিন্তা মাথা থেকে কখনো সরতে চায় না। অনেক রকম পরিকল্পনা করেও যখন সেই বিপদ থেকে রক্ষা হয় না তখন কিন্তু সেটা নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তা হয়। আরে দুশ্চিন্তা মানুষকে এমন ভাবে গ্রাস করে ফেলে যে মৃত্যু পর্যন্ত ঠেলে দিতে পারে।

মানুষ দুশ্চিন্তা কখন পড়ে যখন হঠাৎ কোনো বিপদে পড়ে যায় বা হাজার চেষ্টা করেও সেই বিপদ থেকে পরিত্রাণের রাস্তা খুঁজে না পায়। বা আর্থিকভাবে ভেঙে পড়ে। বিশেষ করে মানুষ সব থেকে বেশি দুশ্চিন্তা গ্রস্থ হয় আর্থিকভাবে। এজন্য লোকে বলে টাকার শোক নাকি বড় শোক। যে একবার আর্থিকভাবে বিপদগ্রস্ত হয়েছে একমাত্র এই বিষয়টা সেই ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারে। যেমন আমি বর্তমানে আর্থিকভাবে বড় ধরনের একটা বিপদের মধ্যে পড়ে রয়েছে যার কারণে এই বিষয়টা আমাকে সবসময় তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। আমি অনেক পরিকল্পনা করছি অনেক ভাবে এখান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছি পরিত্রাণের রাস্তা খুঁজছি কিন্তু কোনমতেই আশা অনুরূপ ফল পাচ্ছি না। জাস্ট আমার একটা ভুলের কারণে আমি এত বড় একটি বিপদে পড়ে গিয়েছি। মূলত খুব করে যখন দুশ্চিন্তায় পড়েই দিয়েছি এজন্যই আজকের এই পোস্টটি লেখা। এ দুশ্চিন্তা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না ঠিকমতো খেতে দেয় না কোন কাজে মন বসতে দেয় না। কেমন যেন একা করে তোলে। পরিবার-পরিজন বন্ধু-বান্ধব কোন কিছুই ভালো লাগেনা। এমনকি নিজের উপরে আত্মা হারিয়ে ফেলে উলটপালট অনেক কিছু করার পরিকল্পনাও মাথার মধ্যে এনে দেয়। আসলে আমি নিজের থেকে বুঝেছি দুশ্চিন্তা খুবই ভয়ানক একটি জিনিস। যা মানুষকে মৃত্যুর দুয়ার পর্যন্ত দিতে দ্বিধাবোধ করে না। এজন্য বাংলা ভাষায় আছে ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিও না। না ভেবে পরে কি হবে বাকি পরিনিতি ডেকে আনবে অবশ্যই এগুলা ভেবে কাজ করা উচিত। তবে অন্যের জন্য যারা বিপদে পড়ে তারা কখনো এই বিপদ থেকে পরিত্রাণ সহজে পায় না।আর অন্যের বিপদ যখন নিজের ঘাড়ে পরিপূর্ণ ভাবে চেপে পড়ে তখন তার জন্য দুশ্চিন্তা ডাবল হয়ে যায়। নিজের জন্য বিপদে পড়লে নিজেকে সান্তনা দেওয়া যায় কিন্তু অন্যের জন্য বড় বিপদে পড়লে সান্তনার পথ খুঁজে পাওয়া যায় না।

দুশ্চিন্তা মানুষকে আস্তে আস্তে অসুস্থ করে তোলে। বিশেষ করে এর ইফেক্ট স্বাস্থ্যের উপর এবং ব্রেনের উপর বেশি পড়ে। যার কারণে রাতের ঘুম এবং খাবারটা ঠিকঠাক মতো হতে চায় না। আর এই দুশ্চিন্তার মাঝে আপনি যে কোন কাজই করতে যান না কেন দেখবেন সহজে করতে পারছেন না। আপনি যে কাজটা সব সময় করেন কোন সময় ভুল হয় না দেখবেন সেই কাজটা আপনি বারবার ভুল করছেন। কেননা আপনার মাথায় অন্যরকম চিন্তাভাবনা রয়েছে। আপনাকে ক্লান্ত করে তুলছে পর্যায়ক্রমে। আর দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হলে কোন কাজে সফলতা অর্জন করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। আর আপনি যখনই বিপদে পড়বেন দুশ্চিন্তা করবেন দেখবেন অনেক কাছের মানুষ আপনজনও পর হয়ে যাবে। কেননা বিপদের সময় প্রকৃত বন্ধু খুঁজে পাওয়া আর পরশ পাথর খুঁজে পাওয়া সমান কথা।

আমরা জানি কোন সমস্যা থেকে বের হওয়ার প্রধান এবং প্রথম রাস্তা হল সেই সমস্যার কারণ খুঁজে বের করা। কিন্তু এমন কিছু সমস্যা আছে যে সমস্যাগুলোর কারণ খুঁজে বের করা সত্ত্বেও সেখান থেকে বের হওয়া সহজ ব্যাপার না। সেই ক্ষেত্রে মানুষের মাঝে দুশ্চিন্তা টা আরো বেড়ে যায়। তবে দুশ্চিন্তা থেকে পরিত্রাণের সব থেকে বড় রাস্তা হল সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চাওয়া। হয়তো কোন পাপের কারণে সৃষ্টিকর্তা আমার আপনার উপরে এই বিপদ টা অর্পিত করেছেন। এজন্য দিনশেষে যদি আমরা তার কাছ থেকে ক্ষমা ভিক্ষা করতে পারি এবং পরবর্তীতে সঠিক পথে চলতে পারি তাহলে দেখবেন দুশ্চিন্তা এবং বিপদ দুইটাই কেটে যাচ্ছে। তিনি যেহেতু আমাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদের লালন-পালন করতেন এজন্য আমাদের সমস্যার সমাধানও তিনিই করবেন এই ভরসা টুকু নিয়ে মনের মধ্যে থাকতে হবে। সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রেখে সঠিক পন্থায় কাজ করলে অবশ্যই যে কোন সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব। বেশি বেশি করে তার কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাইতে হবে। আর দুশ্চিন্তা করার থেকে বেশি খুঁজতে হবে সেখান থেকে বের হওয়ার পর। সেই অনুযায়ী এগিয়ে সেই পথে কাজ করা বুদ্ধিমানের পরিচয়। আসলে জীবন থাকলে সে মানুষের মধ্যে সমস্যা ও থাকবে আর তার সমাধানও আছে। যাই হোক চেষ্টা করলাম দুশ্চিন্তা ছোট্ট একটি বিষয়ের উপর কিছু আলোকপাত করার জন্য। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।


ডিভাইসঃ Redmi Note 5



break .png

Banner.png

|| [আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে]

standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Witness Banner 2.png


সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

ঠিক বলেছেন ভাই। সৃষ্টিকর্তা যেমন আমাদের জন্য সমস্যা দিয়েছেন, অন্যদিকে সেই সমস্যার জন্য পথও ঠিক করে দিয়েছেন। শুধু শুধু সমস্যা নিয়ে চিন্তা না করে সমস্যা সমাধানের পথ খুজেঁ আমাদের কে বের করতে হবে। চিন্তা করে করে অসুস্থ্য হওয়ার কোনই প্রয়োজন নেই।

কিছু কিছু দুশ্চিন্তা যেন স্থায়িত্ব লাভ করতে চায় অনেক সময় যার কারণে মানুষ অনেক ডিপ্রেনশনে চলে যায়।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

আপনি ঠিক বলছেন ভাইয়া যখন কোন বিপদে পড়ে যায় মানুষ তখন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। বিশেষ করে মানুষ যখন অলস সময় পার করেন তখন বিভিন্ন ধরনের দুশ্চিন্তা মাথায় আসে। দুশ্চিন্তা কিংবা বিপদে মানুষ তখনই পড়ে যখন অসাবধানতায় কাজ করে কিংবা বেকার সময় পার করেন। এছাড়া বিভিন্ন কারণে মানুষ দুশ্চিন্তার সম্মুখীন হয়। অনেক ভালো লাগলো আপনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পড়ে।

ধন্যবাদ আপনাকে পথটি পরে সুন্দর করে বুঝিয়ে মন্তব্য করার জন্য।

চিন্তা যখন অতিরিক্ত মাত্রায় নেতিবাচক হয় তখনই তা দুশ্চিন্তায় রূপ নেয়। মানুষ যখন কোন কিছুতে অনিশ্চয়তা দেখে তখন তার জন্য দ্বিধা কিংবা সংকটে ভোগে, এসব কিছুই উদ্বিগ্নতা সৃষ্টি করে।

তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে আমরা দুশ্চিন্তাকে এড়িয়ে যেতে পারবো না, তবে তার থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করতে হবে। নিজ মনেট ওপর দখল থাকলে তা সম্ভব।
আপনার আলোচ্য বিষয়বস্তু বাস্তবসম্মত ছিল। আমি মনে করি, কমবেশি সবাইই এ বিষয় থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি এবং তা বাস্তবে প্রয়োগ করতে পারি।

আসলে চিন্তা ছাড়া মানুষ হয় না।
দেখবেন আমাদের সাথে সব সময় একটা না একটা সমস্যা জড়িয়ে রয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

দুশ্চিন্তা খুবই খারাপ একটা জিনিস। এই দুশ্চিন্তা মানুষের অনেক ধরনের বড় ক্ষতিও করতে পারে। আমাদের সব সময় এই জিনিসগুলো থেকে সচেতন থাকা উচিত। যে কোন জিনিসের নেগেটিভ দিকটা না ভেবে পজিটিভলি সবকিছু নিতে পারলে মানুষের মাঝে এই দুশ্চিন্তা আসবেনা। যে কোন একটা সমস্যা হলে তার সমাধান অবশ্যই থাকবে তাই এটা নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তা করাই উচিত না। বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা লিখেছেন আপনি। লেখাগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো।

আসলেই দুশ্চিন্তা খুব খারাপ মানুষকে মৃত্যু পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে।
যতই আমরা বলি দুশ্চিন্তা করা উচিত নয় তবুও দেখবেন কিছু কিছু কারণ মানুষকে অনেক ভাবায়।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

দুশ্চিন্তা খুবই খারাপ একটি বিষয়। এই দুশ্চিন্তা বিভিন্ন কারণে আসতে পারে৷ সেই দুশ্চিন্তা কখনোই আমাদের জীবনে কোন ভাল কাজ নিয়ে আসবে না৷ এবং ভালো ফলাফল নিয়ে আসবে না৷ তাই আমাদেরকে সব সময় উচিত যে কোন ধরনের খারাপ কোনো চিন্তা থেকে বিরত থাকা। সব সময়ই সবকিছু ভালোভাবে করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া৷