সারস (শামুক ভাঙ্গা)🦅🦅 পাখির সৌন্দর্য উপভোগ।🦅

in hive-129948 •  2 years ago 

১৭পৌষ , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

০১ জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
৭জমাদিউল সানি, , ১৪৪৪ হিজরী
রবিবার।
শীতকাল।


আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি


🦅

1672541198086.jpg

আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য এবং মঙ্গল কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। প্রতিটা শ্বাস-প্রশ্বাস, প্রতিটা সেকেন্ড, প্রতিটা মিনিট ,প্রতিটা ঘন্টা ,প্রতিটা দিন, প্রতিটা মাস বছর আমাদের জীবনকে সংকীর্ণ করে তুলছে। সবাই বলে বয়স বাড়ে কিন্তু একটু ভাবুন তো বয়স বাড়ে, না একটি দিন পার হওয়ার সাথে সাথে আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যায় কিছু সময় কমে যায় আমাদের জীবনের আয়ু কাল। মনে হলো সেদিন ২০২২ সালকে বরণ করে নিলাম। দেখতে দেখতে হাজারো কষ্ট গ্লানি এবং কিছু সুখের স্মৃতির মাঝ দিয়ে পার হয়ে গেল পদার্পণ করলাম ২০২৩ সালে। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যদিও ২০২৩ সাল আমাদের জন্য এতটাও কল্যাণের নয়। বেড়েছে ঠান্ডার প্রকোপ । ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। করোনা ভাইরাসের আক্রমণ আবারও বেড়ে চলছে ।বিশেষ করে চীনে আজ কয়েক দিনের বেশ কিছু লোক মারা গেছে। তারপরেও আমাদেরকে মেনে নিতে হবে এরকম পরিবেশ পরিস্থিতি এবং বরণ করে নিতে হবে ২০২৩ সালকে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছে ২০২৩ সাল হতে পারে ১৯৭৬ সালের মতো দুর্ভিক্ষ। যাহোক আমরা কখনো দুর্ভিক্ষের আশা করি না সৃষ্টি করতে যেন আমাদের উপর রহম করেন। তাকে সব কথা ২০২৩ সালের শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে আমার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্ট শুরু করছি আজকের ফটোগ্রাফির মধ্যে আপনাদেরকে দেখানোর চেষ্টা করেছি আশ্চর্য ধরনের এক বড় বড় পাখি ।আমাদের অঞ্চলে এই পাখির নাম সারস বা শামুক ভাঙ্গা নামে পরিচিত।


🦅🦅

IMG_20230101_084256.jpg

শীতে নেই আমাদের পদ্মা তীরবর্তী অঞ্চলের শাখা নদী গুলোতে পানি কমে যায়। এবং চর জাগতে শুরু করে। তখনই দেখা মেলে বিভিন্ন ধরনের অতিথি পাখির। এই অতিথি পাখির মধ্যে সারস বা শামুক ভাঙ্গা পাখি সব থেকে বড়। এই পাখিগুলো সব থেকে বড় হলেও সব থেকে বেশি ভীতু। পড়তে শুরু করেছে ভারি শীত এরই মধ্যে অতিথি পাখি এসে সাড়া ফেলেছে আমাদের অঞ্চলের নদীগুলোতে। প্রতিদিনই বিকেল হলে সবাই ভিড় জমায় এই অতিথি পাখি দেখা এবং ফটোগ্রাফি করার জন্য। বেশ কয়েকদিন আগে আমিও গিয়েছিলাম এই আনন্দটা উপভোগ করতে। তখনই এই ফটোগ্রাফি গুলা ক্যামেরাবন্দি করেছি।


🦅🦅

IMG_20230101_084256.jpg

IMG_20230101_084213.jpg

IMG_20230101_084141.jpg

এই পাখিগুলোর বৈশিষ্ট্য হলো সাদা বক থেকেও লম্বা লম্বা পা আকারে অনেক বড় পানির ধারে বসে থাকে। যেহেতু প্রাণের পরিমাণ নদীতে খুবই কম এজন্য চড়তে গেছে এবং শ্যাওলা ভেসে উঠেছে। শ্যাওলার মধ্যে থাকা মাছ এবং শামুক এদের প্রধান খাবার। এই পাখির মূলত নাম হচ্ছে সারস পাখি। কিন্তু আমাদের স্থানীয় ভাষায় এই পাখিকে শামুক ভাঙ্গা বলা হয়। কেননা এই পাখির প্রধান খাবারই হচ্ছে শামুক। এই পাখির লম্বা লম্বা ঠোঁট এবং ঠোঁটে খুব শক্তি বহন করে ঠোঁট দিয়ে শামুক ভেঙ্গে খায় যার জন্য শামুক ভাঙ্গা বলা হয়। উপরের ফটোগ্রাফিতে একসাথে বসে থাকা অনেকগুলো সারস পাখির ফটোগ্রাফি আপনাদেরকে দেখিয়েছি।


🦅🦅

IMG_20230101_084110.jpg

IMG_20230101_084030.jpg

আগেই বলেছি এই পাখি অনেক ভীতু, তাই ফটোগ্রাফি করতে হয় অনেক সাবধানে। আমি জুম লেন্স দিয়ে অনেক ফাঁকে থেকেই কিছু ছবি উঠিয়ে একটু কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। একটু কাছে যেতেই পাখিগুলা উড়াল দিল আমিও ঠিক সেই সুযোগেই উড়ন্ত পাখির কিছু দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে ফেলি যেগুলো আপনারা উপরের ফটোতে দেখতে পাচ্ছেন। এই পাখিগুলোর একটি বৈশিষ্ট্য হলো যদি একদল পাখি থেকে দু তিনটা পাখি উড়াল দেয় তাহলে সবগুলো পাখি একসাথে উড়াল দিয়ে চলে যায়।


🦅🦅

IMG_20230101_083940.jpg

IMG_20230101_083908.jpg

তবে এই পাখি ধরে খাওয়ার জন্য অনেক মানুষই সব সময় প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। যার কারণেই পাখিগুলো এত ভীতু হয়েছে। কিছু লোক সব সময় থাকে এমন জঘন্য কাজ করার জন্য। যদিও এখানে মাঝে মাঝেই প্রশাসনের লোক এসে টহল মেরে যায় তারপরেও সন্ধ্যার পরে এই পাখিগুলো ধরার জন্য অনেকেই বিভিন্ন রকমের ফাঁদ পেতে থাকে। আসলে এখানে বুঝার বিষয় হলো এই পাখিগুলো আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য যেমন রক্ষা করছে তেমন সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে। বিকেল হলে যেমন এখানে হাজারো মানুষের আনাগোনা ঘটে সুন্দর এই মনোরম পরিবেশে সুন্দর দৃশ্য দেখার জন্য। তেমনি সন্ধার পরে একদল মানুষ তাদের প্রচেষ্টা চালাতে থাকে পাখিগুলো বন্দি করে খাওয়ার জন্য।


🦅🦅

IMG_20230101_083830.jpg

IMG_20230101_083756.jpg

আপনারা জানেন অজানাকে জানতে এবং ভালো ভালো ফটোগ্রাফি করতে প্রতিনিয়তই আমি ছুটে চলি দূর থেকে দূর দুরান্তে। আজ সারস বা সামুক ভাঙ্গা পাখি সম্পর্কে কিছু কথা এবং ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আশা করছি ভালো লাগবে। আমাদের অঞ্চলের আশেপাশে যারা আছেন তাদের কি আমন্ত্রণ রইল এই সুন্দর মনোরম পরিবেশে সুন্দর দৃশ্য গুলো দেখার জন্য। যদিও আজ আমি আমার ফটোগ্রাফিতে শুধু এক রকমের পাখি উপস্থাপন করেছি এখানে রয়েছে আরও তিন চার রকমের পাখি। তাহলে আজকের ফটোগ্রাফি পোস্ট এ পর্যন্তই সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে ততদিন।


লোকেশন:

ডিভাইসঃ Canon600d



standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Witness Banner 2.png


সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

আপনি তো দেখছি বেশ দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন। আমার কিন্তু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালোই লেগেছে। সেই পাখিগুলো আমার ভীষণ পছন্দের। আপনি ফটোগ্রাফি গুলো মনে হয় অনেক সাবধানে করেছিলেন। আমরা এই পাখিগুলোকে সারস পাখি বলেই জানি।পাখিগুলোর গায়ের রং আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে। যাইহোক শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাই কিন্তু আপনাকে।

এই পাখিগুলো প্রথম প্রথম দেখে আমিও আশ্চর্য হয়েছিলাম এত বড় পাখি প্রথমে তো আমি না আমি খুঁজে পাচ্ছিলাম না পরে মুরুব্বিদের কাছে জানতে পারলাম এর নাম।

ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফি অনেক কঠিন একটি কাজ।বিশেষ করে সারসের মত এত ভীতু পাখির ফটোগ্রাফি করা তো আরো কঠিন।প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফ অসাধারণ ছিল।আর ইনফরমশন গুলো থেকে অনেক কিছু নতুন জানতে পারলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া সারস পাখির সুন্দর ফটোগ্রাফ ও ইনফরমেশন যুক্ত পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

যদিও ফটোগ্রাফি গুলা অনেক দূর থেকে জুম করে কাছে এনে ক্যামেরাবন্দি করেছি তারপরও কিন্তু পাখি গুলা দেখে আমি নিজেও অনেক হতবাক এবং আনন্দ উপভোগ করেছি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম।।

এটা কিন্তু সত্যিই পাখিগুলো ধরে খাওয়ার জন্য বেশিরভাগ মানুষই প্রস্তুত হয়ে থাকে। আমার কিন্তু এই পাখিগুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আমি বিকেল বেলায় এরকম জায়গাগুলোতে যাই এবং বিভিন্ন পাখি দেখার জন্য। একসাথে এরকম অনেকগুলো পাখি দেখলে ভীষণ ভালো লাগে মনটা একেবারে ভরে যায়। আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি খুবই ভালো ছিল।আপনার কাটানো এত সুন্দর একটি মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

ঠিকই বলেছেন ভাইয়া একসাথে এরকম বড় বড় অনেক গুলা অতিথি পাখি দেখলে যে কারো ও অনেক ভালো লাগবে।। আমি তো অনেক আনন্দ উপভোগ করেছিলাম এজন্য আপনাদেরকে ও দেখার সুযোগ করে দিলাম আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম।।

ভাইয়া অনেক সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করলেন। এই পাখি গুলোর নাম যে সারস বা শামুক ভাঙ্গা পাখি সেটা আগে জানতাম না। আমি চিন্তা করতেছিলাম মোবাইল দিয়ে কিভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করলেন। পরে দেখলাম Canon দিয়ে করেছেন। অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

আসলে আমিও জানতাম না যে এই পাখিকেই সাহস বলে। ফটোগ্রাফি করার পরে যখন বাড়ি এনে দাদুকে দেখালাম তখন বললেন এটাকে শামুক ভাঙ্গা বলে।। করে গুগলে সার্চ করে দেখি এই পাখির নাম সারস পাখি। ফটোগ্রাফি গুলা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম ধন্যবাদ সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।।