১২চৈত্র , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৬মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৫রমজান ১৪৪৫ হিজরী
মঙ্গলবার।
বসন্তকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
🇧🇩🇧🇩
গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযোদ্ধে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে এই বাংলাকে স্বাধীন করে দেওয়া মহান ব্যক্তিদের। তাদের আত্মত্যাগ এবং জীবনের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। পেয়েছি আমাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। পেয়েছি আমাদের একটি স্বাধীন ভূখন্ড।সেই সাথে স্মরণ করছি কাল রাত্রি হিসেবে ক্যালেন্ডারের পাতায় ২৫ শে মার্চের শহীদ হওয়া ঘুমন্ত নিরস্ত্র বীর বাঙ্গালীদের কে। সেই সাথে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক যার একটা ভাষণ আমন্ত্রণের বিনিময়ে লাখো বাঙালি একত্র হয়ে এই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। বীর বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। হয়তো আমরা আজও অন্যের অধীনে থাকতাম গোলাম এর মত। এবং বংশ পরম্পরায় গুনতে থাকতাম আমার দাদা আমার বাবা সবাই গোলামী করছি পাকিস্তানি পাক হানাদার বাহিনীদেরকে। হয়তো আমাদের নিজস্ব বলতে কিছু থাকতো না। তাদের দিকে চেয়ে থাকতাম একটু খাবার আসবে আর খেয়ে পেটের ক্ষুধা মিটাবো। হয়তো এই বাংলা শিক্ষা দীক্ষা উন্নয়নের সবদিক থেকে পিছিয়ে থাকতো। হয়তো দুমুঠো খাবারের জন্য হাহাকার পড়ে যেত সারা বাংলা জুড়ে। এতগুলো কথা কেন বললাম জানেন?? শুধু গভীর শ্রদ্ধার সাথে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়ে যাওয়া সেই ব্যক্তিদের স্মরণে স্মরণে.।যারা আমাদেরকে এনে দিয়েছে লাল-সবুজের একটি স্বাধীন ভূকণ্ড স্বাধীন পতাকা। সৃষ্টিকর্তার কাছে আজকের এই মহান বিজয় দিবসে মন খুলে দোয়া করে যেন তাদেরকে শান্তিতে রাখেন।
🇧🇩
আমার দাদীর বয়স প্রায় ১৩০ বছর। এবং আমার বড় চাচার বয়স প্রায় ৯০ বছর। তাদের মুখে এখনো শুনি সেই অগ্নিকাণ্ডের কথা। এবং সেই দুর্দিনের ঘটনাগুলো। যখন নিরস্ত্র বাঙালির উপর তারা অন্যায় অত্যাচার এবং জুলুম করত। বাঙালির অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত করত। এই বাংলায় উৎপাদন করা খাবারগুলো তাদের দেশে নিয়ে গিয়ে খেত। এবং এই বাংলার মানুষের অনাহারে দিন কাটাতে হতো। এই বাংলার মানুষদের হতো না কোন সরকারি চাকরি সহজে। আমি যেটা শুনতে পেরেছি বয়গোষ্ঠদের মুখ থেকে তারা প্রায় সময়ই একটি কথা বলে যে আমাদেরকে তারা চাকুর ভেবে রাখত। আমরা যে মানুষ আমাদের যে অধিকার রয়েছে এটা আমরা ভুলতেই বসে ছিলাম। তাহলে সেই সময়টা কত ভয়াবহ ছিল। আজ আমরা মুক্ত স্বাধীন পাখির মত উড়তে পারছি মন খুলে নিশ্বাস নিতে পারছি। কতইনা ভালো এখন আমরা রয়েছি আমাদের অধিকারগুলো নিয়ে। কিন্তু আগের কথা শুনতে এবং ভাবতেই গায়ের লোম শিহরিয়ে ওঠে। তারা কত কষ্ট করেছে এবং শেষ পর্যন্ত কষ্ট সহ্য না করতে পেরে যুদ্ধে নেমেছে এই বাংলাকে স্বাধীন করার জন্য।
🇧🇩
প্রতিবছর গভীর শ্রদ্ধার সাথে এই দিনটা আমরা পালন করে থাকি এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া প্রতিটা লোকের আত্মত্যাগের কথা আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না। এজন্যই তো কবি বলেছেন যতদিন থাকবে পদ্মা মেঘনা যমুনার অববাহিকা ততদিনই স্মরণে থাকবে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে এই বাংলাকে স্বাধীন করা ব্যক্তিগুলো। আসলে দেশপ্রেম কাকে বলে?? মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন কাহিনী এবং রণক্ষেত্রে তাদের সাথে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে এগুলো পড়লেই আমরা বুঝতে পারি। এমনও অনেক ঘটনা ঘটেছে এবং শুনেছি যে জীবন চলে যাচ্ছে তবুও যুদ্ধের ময়দান থেকে কখনো পিছপা হয়নি। নিজের জীবনের কথা কখনো চিন্তা করেনি শুধু দেশ এবং দেশের মানুষকে নিয়ে ভেবেই নিজের জীবনটা হাসিমুখে উৎসর্গ করে দিয়েছে। সত্যি তাদেরও অবদান তাদের ত্যাগ যতদিন এই বাংলা থাকবে এই বাংলার মানচিত্র থাকবে এই ভূখণ্ড থাকবে ততদিন কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। কেননা এই ভূখণ্ডটাই তো আমরা পেয়েছি তাদের জীবনের বিনিময়ে। এজন্যই তো শিল্পীরা বারবার গানের মধ্যে বলছে এ মাটি অঙ্গে মাখলেও অন্যরকম একটা অনুভূতি জেগে ওঠে হৃদয় মাঝারে। এদেশের মাটি আমাদের মায়ের সমান। কেননা তাজা রক্তের বিনিময়ে কিনে নেওয়া এই দেশের মাটি।
🇧🇩🇧🇩
আজকে আমাদের ছুটির দিন ছিল। তার পরেও বাইরে বের হয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরেছি। এবং মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন আয়োজন দেখেছি। সবাই অনেক গভীর শ্রদ্ধার সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ হয়ে যাওয়া আত্মত্যাগী মানুষদেরকে স্মরণ করছে বিভিন্নভাবে। আসলে তারা আমাদের জন্য যে আত্মত্যাগটা করেছে ঋণ কখনোই শোধ করতে পারবোনা।
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা জরুরী।
দেশতো স্বাধীন হয়েছে অনেক বছর হল। স্বাধীন হওয়ার দেশে এখন স্বাধীনতা রক্ষা করাটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যদিও দেশে এখনো স্বাধীনতা বিরোধী লোকের সংখ্যা অনেকই রয়েছে। অনেক মানুষই এখনো চায়না যে আমরা স্বাধীন ভাবে বাঁচি। এবং দেশটা ভালোভাবে চলুক। অনেকে আছে মুখে স্বাধীনতার গান গাইলে ও বুকে অন্য কিছু ভেবে রাখে। যারা তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমাদেরকে স্বাধীন করেছে আমাদের উচিত তাদের শ্রদ্ধায় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। এবং সেই সাথে সোনার বাংলা যেটা বঙ্গবন্ধু বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল সেই লক্ষ্যে আমাদেরকে এগিয়ে যাওয়া।যাইহোক আশা করছি আপনারা ও আপনাদের জায়গা থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়ে যাওয়া প্রত্যেকটা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন। পরিশেষে সৃষ্টিকর্তার কাছে আবারো প্রার্থনা করি তিনি যেন আত্মত্যাগী শহীদদেরকে শান্তিতে রাখেন।
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি সেই বাঙালির বীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরকে যারা এই সোনার বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে। তাদের মাগফিরাত কামনা করছি। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে যে অবস্থা তারা যদি বেঁচে থাকত তাহলে তারা শুধু আফসোস করত। তারা বলতো হায় কেন আমরা এই দেশকে স্বাধীন করেছি? যারা বুকে তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করেছে আজ সেই দেশ হয়েছে নরকের দেশ। বর্তমান দেশের অবস্থা যাই হোক না কেন তাদেরকে সত্যিই শ্রদ্ধা করে আবারও স্মরণ করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তাদের জন্য মন থেকে দোয়া করি কিন্তু বর্তমানে যারা আছে এদের জন্য ঘৃণা জন্মায় মন থেকে।
তারা থাকলে হয়তো বলত যে দেশটা স্বাধীন করে ভুল হয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমরা সকলে মহান স্বাধীনতা দিবসকে শ্রদ্ধা করি এবং এই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আমাদেরকে অনেকটাই কষ্ট করতে হয়েছে৷ এদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন বিলিয়ে দিয়েছে এই দেশকে স্বাধীন করার জন্য৷ তারা যেভাবে এই দেশকে স্বাধীন করার জন্য কষ্ট করেছে তার থেকেও বেশি কষ্টের বিষয় কিভাবে এই দেশকে স্বাধীনভাবে টিকিয়ে রাখা যায়৷ যা আমরা কোনভাবেই রাখতে পারছি না৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোস্টট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের তরুণ প্রজন্মের সব থেকে গুরু দায়িত্ব হবে স্বাধীনতাকে টিকিয়ে রাখা। দুর্নীতিকে না বলা দেশটা যেন ভালোভাবে সমৃদ্ধি এগিয়ে যায় সেই অনুযায়ী কাজ করা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit