এলোমেলো ফটোগ্রাফিক 📸

০৫ আষাঢ় , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।

শুভরাত্রি ❤️ আশা করছি সবাই ভালো আছেন সুস্থ আছেন এবং ঈদ পরবর্তী সময় টা খুব ভালই উপভোগ করছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি সুস্থভাবে কর্মস্থলে ফিরে এসেছি। সব মিলিয়ে কার্যক্রম খুব ভালোই চলছে। যাইহোক প্রতিদিনের মতো আজ আমার হাজির হয়েছি নতুন একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে। ফটোগ্রাফি করতে যেমন ভালো লাগে অন্যের ফটোগ্রাফি দেখে সৌন্দর্য উপভোগ করে ফটোগ্রাফি ভালো করার আরো নতুন টেকনিক শিখতে আরো বেশি ভালো লাগে। আজকের ফটোগ্রাফির মধ্যে কিছু ফুল এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। আসলে আমি একজন প্রকৃতি প্রেমিক মানুষ। সবসময়ই ভালো সময় অতিবাহিত করে থাকি নদীর পাড়ে। আর নদীর পাড় হচ্ছে আমার সবথেকে প্রিয় জায়গা। ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে পদ্মা নদীর পাড়ে। এখনো সময় পেলে বন্ধুদের সাথে চেষ্টা করি সেখানে গিয়ে ভালো সময় অতিবাহিত করার। যাইহোক সবমিলিয়ে আজ কিছু সৌন্দর্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

ছোটবেলায় বইতে পড়েছিলাম বর্ষাকালে কোন কোন ফুল ফোটে এমন কিছু পড়া। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল কদম কেয়া বেলী শিউলি ইত্যাদি। উপরের ফটোগ্রাফিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একগুচ্ছ কদম ফুল। আসলে আমার প্রিয় ফুলের তালিকায় কদম ফুল অন্যতম। কদমফুলের সুগন্ধী ও খুব ভালো লাগে বিশেষ করে এর গঠনগত সৌন্দর্য আমাকে বারবার মুগ্ধ করে। এখন তো বর্ষার মৌসুম গাছে গাছে কদম ফুল ফুটেছে। বিশেষ করে আমাদের গ্রামে বেশ কিছু বড় বড় এবং ছোট কদম গাছ রয়েছে রাস্তার ধার দিয়ে। সেখানে গেলেই বোঝা যায় কদম ফুলের সৌন্দর্য কতটা মনমুগ্ধকর। সবুজ পাতার ভেতর ফুটে রয়েছে হাজারো কদম ফুল। আশা করছি এই ফটোগ্রাফিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

জবাব জবাব হয়তো আমাদের সবারই প্রিয়। আমার কাছে কিন্তু জবা ফুল খুব ভালো লাগে আমার ফুল বাগানে পাঁচ রকমের জবা ফুল রয়েছে। এর মধ্যে লাল জবা সাদা জবা মিষ্টি জবা হলুদ জবা অন্যতম। আজকের ফটোগ্রাফিতে একটি সাদা জমা ও একটি রক্ত জবা ফুলের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। গতকালকে হালকা বৃষ্টি হয়েছিল সেই বৃষ্টিতে ধুয়ে যাওয়া ময়লা এবং ধুলাবালি পরে ফুলের সৌন্দর্য দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। এজন্যই সৌন্দর্য দুটি ফ্রেম বন্দি করেছিলাম।

হাসনাহেনা ফুল সুগন্ধীর জন্য বিখ্যাত। সন্ধ্যা থেকে নিয়ে ভোরবেলা পর্যন্ত সুগন্ধি ছড়িয়ে মানুষকে মাতিয়ে তোলে। আমার ফুলবাগানের বর্তমানে অন্যতম আকর্ষণ হল এই হাসনাহেনা ফুল। যা সুগন্ধি শুধু ফুলবাগান নয় আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে সন্ধ্যার পর থেকে। আর হাসনাহেনা ফুলের সুগন্ধি আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। গতকালকে এই ফটোগ্রাফিতে করেছিলাম। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

উপরের ফটোগ্রাফিতে দুটি ফুলের সৌন্দর্য দেখতে পাচ্ছেন। একটি হলো সিজনাল ফসল তিল ফুলের ফটোগ্রাফি। যা সবুজ পাতার আড়ালে সুন্দর গঠনশৈলীর মাধ্যমে ফুটে রয়েছে। অনেক সময় ধরে চেষ্টা করছিলাম যে মৌমাছি সহ এই ফুলের সৌন্দর্য ফ্রেমবন্দি করব। তবে ব্যর্থ হয়েছি শেষ পর্যন্ত মৌমাছিসহ ফুলের সৌন্দর্য ফ্রেম বন্দি করতে। এবং উপর একটি ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন এটি হল একটি ঔষধি গাছ যেগুলো নদী পাড়ে হয়ে থাকে। গত পরশুদিন নদী পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন এই সৌন্দর্যটি ফ্রেমবন্দি করা।

উপরে যে ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন গোধূলির আলোয় পশ্চিমা আকাশ রক্তিম আভায় আলোকিত করে রয়েছে। আজ বিকেলে বেশ বৃষ্টি হয়েছে বৃষ্টির পরে আবার মেঘ ফেটে উজ্জ্বল সূর্য জ্বলে উঠেছে। কুয়াশা কুয়াশা আবহাওয়া সূর্যের আলো যেন অন্যরকম এক সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিচ্ছিল। আমার মেসেজ হাত থেকে অন্য একটি বাসার ছাদের উপরে তৈরি করা ছাতার মধ্য দিয়ে দেখতে খুব সুন্দর দেখাচ্ছিল। সেই সাথে আকাশের সৌন্দর্যটা দারুন ভাবে দেখাচ্ছিল। এমন সৌন্দর্য দেখে সত্যি আমি মুগ্ধ হয়েছি কেননা গোধূলি বিকেল আমার কাছে খুব প্রিয়। ঠিক তখনই এই সৌন্দর্যটি ফ্রেমবন্দি করা। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। যাইহোক এরই মধ্যে দিয়ে আমার ফটোগ্রাফি পোস্টের ইতি টানছি। আশা করছি আজকের পোষ্টের সবগুলো ফটোগ্রাফি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।