০৬ আষাঢ় , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।
স্মৃতি মায়া ভালোবাসা এই তিনটি খুব অদ্ভুত। স্মৃতিগুলো ইচ্ছে করলেই কখনো ভুলে যাওয়া যায় না। যত সময় অতিবাহিত হবে তত ঘুরে ফিরে মনে আসবে। বিশেষ কোন দিনে বিশেষ কোনো কথায় বা বিশেষ কোন মুহূর্তে দেখবেন আপনাকে খুব ভাবিয়ে তুলবে এবং অতীতে ফিরে যেতে বাধ্য করবে। আর মায়া এবং ভালোবাসা যা ইচ্ছা করলেই একজনের উপর তৈরি করা যায় না আবার কিছু মানুষের উপর মনের অজান্তেই সৃষ্টি হয়ে যায় যা আমরণ থেকে যায় ইচ্ছা করলেও কখনো ভুলে থাকা যায় না। কিছু কিছু মুখ কিছু কিছু কথা আর কিছু কিছু জায়গার কিন্তু আমরা সব সময় মায়ায় পড়ে যাই। সেটা হতে পারে যে কোন পরিস্থিতিতে। উপরের ফটোটা দেখে হয়তো আপনারা কিছু হলেও আন্দাজ করতে পারছেন। এটা হল আমাদের গ্রামের ছোট বড় সবাই মিলে একটি গ্রুপ ফটো যেটা আমরা ঈদের আগের দিন ফুটবল ম্যাচ শুরু করার আগে তুলেছিলাম। এই মুখগুলো কত আপন এটা আসলে বলে বোঝাতে পারবো না। যদিও বর্তমানে জীবিকার তাগিদে সবাই আলাদা আলাদা থাকা হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবুও কখনো যদি কারো সাথে দেখা হয় বা সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে কথা হয় মনে হয় যেন আগের মত এখনো পাশাপাশি রয়েছে। আমরা সবাই চেষ্টা করেছি যখন বাড়িতে ছিলাম সবাই একসাথে যে কোন কাজ সম্পন্ন করা। নিজেদের পাশাপাশি অন্যের সুখে-দুখে পাশে গিয়ে দাঁড়ানো সাধ্যমত সহায়তা করা। যদিও এখন সবাই সবার মত ইচ্ছে করলেও আর আগের মতো এক হইতে পারি না। তবুও বছরে দুই দিন ঈদের তখন চেষ্টা করি সবাই একত্র হওয়া আমাদের সেই স্মৃতি বিজড়িত খেলার মাঠে। এবার বেশ ধুমধাম করেই ঈদের আগের দিন আমরা ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেছিলাম। এবং এর পরিকল্পনা একমাস ধরে আমাদের একটা গ্রুপ আছে এই গ্রুপে সব রকম ভাবে আলোচনা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত আমরা যারা ছিলাম সবাই দু ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি ফুটবল টীম গঠন করে। এর মধ্যে সিনিয়র এবং জুনিয়র ফুটবল টিম। তবে এতদিনের রেকর্ডে কখনো বড়রা ছোটদের কাছে হারেনি সবসময়ই জিতেছে। তবে এবার দেখার পালা খেলাটা কেমন হয় এবং কোন দল জেতে। যাই হোক আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সবাই চারটার মধ্যে মাঠে উপস্থিত হয়ে যাই। এবং সবাই সবার সাথে কুশল বিনিময় করতে থাকি সেই সাথে ফটো তো রয়েছেই। আলাদা আলাদা ভাবে সবার অনেক ফটো তুলেছিলাম সেই সাথে গ্রুপ ফটোগুলো রেখে দিয়েছি স্মৃতির পাতায়। এবং গ্রুপে এই ছবিগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। সেই সাথে চিন্তা করলাম দুটি পোস্টের মাধ্যমে আলাদা আলাদা ভাবে কথাগুলো এবং ছবিগুলো ব্লগে রেখে দেই পরবর্তীতে কোনদিন যদি মনে পড়ে প্রয়োজন হয় সেদিন এগুলো দেখে নিব।
তবে এবার বড়দের চেয়ে ছোটরা অনেক বেশি মজা করেছে সব বিষয়েই। এবং তারা অনেক আত্মবিশ্বাসী ছিল যে এবার তারা বিজয় লাভ করবে। তবে আমি আমার পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি যে দল ছোট ছিল আমরাও একসময় ছিলাম কখনই বড়দের সাথে জিততে পারেনি। এর সাথে ছোটদের টিমের একটি ফটোগ্রাফিও করে রাখি। এদিকে আমাদের বড় ভাই ট্রফি কেনার জন্য শহরে গিয়েছিল তার জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম। আসলে ট্রফিটা বড় কথা ছিল না এখানে সব থেকে বড় বিষয় ছিল সবাই সবার সাথে দেখা হবে কুশল বিনিময় হবে এবং প্রীতি ফুটবল ম্যাচের মাধ্যমে আমরা সবাই আমাদের ঈদের আনন্দটা আরো ভালোভাবে উপভোগ করব একসাথে। এর সাথে সাথে কিন্তু অনেক লোক খেলা দেখার জন্য মাঠের চারপাশ ভিড় করেছিল। আসলে এরকম একটি আয়োজন করতে পেরে আমাদেরও অনেক ভালো লাগছিল যে আমাদের এলাকার সবাই একত্র হয়েছি ছোট বড়। সবার সাথে কুশল বিনিময় হলো এবং ফুটবল খেলা হবে আরো বেশি মজা হবে।
তবে ছোটদের দল এবার খুব আত্মবিশ্বাসী তারা এবার বড়দের যেভাবেই হোক খেলার মাধ্যমে হারিয়ে দেবে। এজন্য তারা শুরু থেকেই মাঠে এসে প্র্যাকটিস করায় খুব ব্যস্ত ছিল ্ তাদের ওই মুহূর্তের কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম উপরে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। আসলে একটা এলাকা বা একটা গ্রামের যুব সমাজের মধ্যে যদি ভাতৃত্বের বন্ধন ঠিক থাকে তাহলে কিন্তু ওই অঞ্চলের মতো সুখী মানুষ আর হতে পারে না। যেখানে কোন মাদকের কারবার নেই নেই ভাই ভাই বিবাদ শুধুই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ। আমরাও কিন্তু এমনটি আশা করি যে সবাই মিলেমিশে একত্রে ভালোভাবে দিনগুলো পার করুক।
অবশেষে খেলার আগমুহূর্তে আমাদের ট্রফি চলে এসলো মাঠে। সেটা উন্মোচনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের দল গঠন করতে শুরু করলাম। যে প্লেয়ার গুলো ভালো খেলতে পারে তাদেরকে একটা ইউনিট তৈরি করে রাখলাম এবং প্রস্তুতি গ্রহণ করতে বলা হলো খেলার জন্য। সেই সাথে কাপ ধরে হাতে নিয়ে সবাই অনেক ভাবে মজার চলে ফটো নিল। আসলে ঈদের আগ মুহূর্তে আমাদের কাছে মনে হচ্ছিল এই দিনটি যেন ঈদের মতো। আর আমরা ঈদের আগে খেলার আয়োজন করেছিলাম এজন্যই যে ঈদের পরের দিন কাউকে তেমনভাবে পাওয়া যাবে না সবাই আত্মীয় বাড়ি এবং ঘোরাঘুরি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। আর ঈদের আগের দিন হওয়ায় সবাই অনেক ফ্রী সময় ছিল এজন্য সবাই উপস্থিত হতে পেরেছিল সেই সাথে দর্শকরাও ছিল খুব। আর আমরাও সবাই অনেক খুশি ছিলাম এবং আনন্দ করছিলাম অনেকভাবে। আসলে পুরস্কার বা কাপ এটা কিন্তু বড় কথা নয় সব থেকে বড় বিষয় হলো আমাদের মধ্যে থাকা ভাতৃত্বের বন্ধন। সবাই একত্র হওয়া আনন্দ করা সেই সাথে ফুটবল ম্যাচের মাধ্যমে আরো আনন্দটাকে বাড়িয়ে দেওয়া। যাই হোক খেলার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এই ছিল আপডেট। এই খেলার আপডেট টা ২ পর্বে বিভক্ত করেছি। আগামী পর্বে আরো কিছু ফটোগ্রাফি এবং খেলার খবর নিয়ে আজব আপনাদের মাঝে ততদিন ভালো থাকবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া ঈদের আগের দিন সবাই একটু হলেও ফ্রি থাকে। আর অনেক দিন পরে সবাই এক সাথে মিলিত হলে সত্যি ঈদের আনন্দকে ও হার মানায়। খেলায় হার জিত কোন বিষয় নয়, যেকোন খেলায় হার জিত থাকবেই। যাইহোক আপনারা বেশ বেশ ভালো আনন্দ করেছেন।পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি আমরা সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যেহেতু ছোটরা বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিল তাই ফুটবল ম্যাচের রেজাল্ট জানার আগ্রহ বেশি। পরবর্তী পর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করছি আসলে শুধু ফলাফলটা জানার অপেক্ষায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অলরেডি আরেকটি পোষ্টের মাধ্যমে ফলাফল জানিয়ে দিয়েছি পোস্টটা পড়ে দেখে নিও বললাম না কিন্তু কমেন্টে বললে মজা থাকবে না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit