১৪মাঘ , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

২৯ জানুয়ারী ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৬রজব ১৪৪৫ হিজরী

সোমবার ❤️

শীতকাল।

---

---

আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি

---

---

🌫️

প্রতিদিনের মতো আজো আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমার আজকের পোস্টটি শেয়ার করে নেব আপনাদের সাথে ছোট্ট একটি ভ্রমণ কাহিনী এবং সেই সাথে খুব সকালে কনকনে ঠান্ডার মাঝে খেজুরের রস খাওয়ার অনুভূতি। এ বছরে বেশ কয়েকবার খেজুরের রস খেয়েছি তবে গত শুক্রবার একটা ছিল সবথেকে বেশি আনন্দদায়ক সময়। মাঝে মাঝেই আমরা খেজুরের রস খেয়ে থাকি বিভিন্ন জায়গা থেকে তবে এরকম ভাবে এ বছরে প্রথম খেলাম। আগে থেকেই প্ল্যান করে রেখেছিলাম ছুটির দিনে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে যেখানে খেজুরের রস পাওয়া যায় সেখানে গিয়ে গাছ থেকে পেড়ে খাব। যদিও এর আগে কয়েকবার করে প্লান করা হয়েছে তবে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে যাওয়া হয়নি। আমি বর্তমানে মিরপুর শহরে থাকি। মিরপুর থেকে এক কিলোমিটার দূরে বিজিবি ক্যাম্প। বিজিবি ক্যাম্পের পিছন দিয়ে মাঠের মাছ দিয়ে রাস্তা আর রাস্তার দুধহার দিয়ে ফসলের জমি এবং হাজারো খেজুরের গাছ রোপন করা রয়েছে। খেজুরের রসের সৃজন এলে এখানে প্রতিদিন সকালে অনেক লোকের আনাগোনা হয়। গাছীরা খেজুরের গাছ কেটে রস বের করে এবং সেই রস দিয়ে গুড় অথবা পাটানি বানায় বিক্রি করে। তাদের এই কাজগুলো দেখার জন্য অথবা সেখান থেকে অরিজিনাল গুড়পাটারী অথবা রস পাওয়ার জন্য মানুষ এখানে প্রতিদিনই ভিড় জমায়। ঠিক আমরাও তেমনি ভাবে গিয়েছিলাম অরিজিনাল খেজুরের রস এবং পাটানি খাওয়ার জন্য।

---

🌫️

খুব সকাল সকাল আমরা বাসা থেকে বের হয়ে যাই দুজনা তবে এত পরিমাণ শীত এবং কুয়াশা ছিল অল্প একটু সামনে কি বস্তু রয়েছে সেটা দেখা যাচ্ছিল না। আমরা সূর্য উঠার আগে আগেই খেজুর বাগানে পৌঁছে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি গাছিরা গাছ থেকে খেজুরের রস নামাচ্ছে। আবার কাউকে দেখলাম রস নামিয়ে চুলায় দিয়ে অলরেডি গুড় বানানোর জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। কেননা এর উপরেই চলে তাদের জীবিকা। মূলত এই রস গাছে ধরা হয় মাটির কলসি দিয়ে। উপরের ফটোগ্রাফিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন অনেকগুলো রস ভর্তি মাটির কলসি একত্রে রাখা আছে। আর সকালের আবহাওয়াটা তো দেখতেই পাচ্ছেন ফটোগ্রাফিতে কোন কোন শীত সেই সাথে ঘন কুয়াশা।

---

উনারা গাছ থেকে রস নামিয়ে বড় চুলার উপর করাই বসিয়ে তার ওপর দিয়ে জ্বালাতে শুরু করে। নির্দিষ্ট সময় পরে গৌর এবং পাটানিতে রূপান্তরিত হয়। ফটোগ্রাফি তে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন একজন চাষী বড় একটি চুলায় খেজুরের রস দিয়ে আগুন দিয়ে জ্বালাতে শুরু করেছে। তবে এখান থেকে যে গরম রসটা পাওয়া যায় সেটা খেতেও খুব সুস্বাদু। বলতে পারেন দুইটার দু'রকম মজা কনকনে শীতে ঠান্ডাটা খেলে আরও বেশি কনকনে শীত শুরু হয়ে যাবে শরীরের মধ্যে। এটা অন্যরকম অনুভূতি এবং গরম রস খেলে শরীরের মধ্যে উষ্ণতা হয়ে যাবে এটা আরেকরকম।

---

আমরা প্রথমেই গিয়ে এক কলসি রস কিনে বোতলে ভরে নিই। এবং সেখান থেকে দুজন যতদূর পেয়েছি খেয়েছি। খালি পেটে অবশ্য এটা বেশি খাওয়া যায় না। আর এখানে এলে সব সময় অরিজিনাল রস পাওয়া যায় এজন্য খুব মিষ্টি হয়। আর বেশি মিষ্টি হওয়ার কারণে ও অল্প খেলেই তৃপ্তি মিটে যায়। আমরা খেয়েছি এবং আমাদের অধীনস্থ যারা রয়েছে তাদের খাওয়ানোর জন্য পাঁচ কেজির দু বোতল এনেছিলাম বাসায়। আসলে এই শীতে অনেক রকমের খাবার আমরা খেয়ে থাকি এর মধ্যে কিন্তু খেজুরের রস অন্যতম। যাইহোক সকাল-সকাল একটু হাঁটাহাঁটি করা হয়ে গিয়েছিল এবং সেই সাথে খেজুরের খাওয়াও হয়েছিল। খুব মজা হয়েছিল এদিন তবে বর্তমানে ঠান্ডায় জর্জরিত হয়ে গিয়েছে। তবে একটা জিনিস ভেবে দেখলাম এরা প্রতিদিন খুব ঠান্ডায় উঠে কাজ করে এদের কোন সমস্যা হয় না। অথচ আমি একদিন খুব ভোরে উঠে এরকম ভাবে হেঁটে গিয়েছি এসেছি এবং ঠান্ডা রস খেয়েছি এতে আমি প্রচন্ড ঠান্ডায় পড়ে গিয়েছে। যাহোক এই ছিল আমার আজকের ভ্রমন পোস্ট আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

---

লোকেশন:

---

ডিভাইসঃ Redmi Note 5

---

---

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ধন্যবাদ

_{Posted using SteemPro Mobile}