রেসিপি🍜 রাত বারোটায় নুডুলস পিনিক।

in hive-129948 •  3 months ago 

২৫জৈষ্ঠ্য , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।



শুভ রাত্রি ❤️ আজ আবার আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসলাম নতুন একটি পোস্ট। আজকের পোস্টটা সম্পূর্ণই আলাদা এবং অন্যরকম এক অনুভূতি নিয়ে উপস্থাপন করব। আসলে ম্যাচ লাইফে থাকাটা যে কতটা আনন্দের এবং মজাদার যারা থেকেছেন তারা হয়তো বিষয়টা খুব ভালোভাবেই বোঝেন। যখন যা ইচ্ছা যখন যে খাবার খেতে মন চায় ঠিক সেরকম হয় প্রস্তুত করে খাওয়া যায়। গতকাল রাতে আমাদের ম্যাচের সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম আমার রুমে। তখন রাত সাড়ে বারোটা। হঠাৎ করে এক ভাই বলে উঠলো কিছু একটা খেলে মনে হয় ভালো হতো। তো যে কথা সেই কাজ সবার মতামত নিয়ে নুডুলস প্রস্তুত করার কথা বলা হল। কিন্তু এত রাতে নুডুলস কই পাবো সেই ভাবনায় আর কিছু সময় পার হয়ে গেল। হঠাৎ মনে হল যে বাস টার্মিনালে গেলে একটা দোকান সবসময় খোলা পাওয়া যায় সেখানে যাওয়া যাক। এত রাতে বাইক নিয়ে চলে গেলাম সেখানে নুডুলস প্রস্তুত এর জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো কেনার জন্য। গিয়ে দেখি দোকানটা আসলেই খোলা রয়েছে। তো তখন নুডুলস প্রস্তুত করার জন্য সব জিনিস গুলো কিনে নিয়ে রুমে চলে আসলাম। এবং পর্যায়ক্রমে সবাই মিলে সেটা প্রস্তুত করে ফেললাম। আসলে এই যে এত রাতে সবাই মিলে একসাথে বলতে পারেন ঢাক ঢোল পিটিয়ে নুডুলস এর রেসিপি প্রস্তুত করে খাওয়া আসলে কতটা আনন্দদায়ক যারা এরকম পরিস্থিতি ফেস করেছেন তারাই একমাত্র বলতে পারবেন। আমার তো এরকম ভাবে খুব ভালো লেগেছিল। আসলে সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেছি এবং খাবারটা খেয়েছি। আসলে আমাদের ম্যাচে কিছু বড় ভাই আছে তারা খুবই ভালো লোক। সব সময় হাসিখুশি এবং ভালো কথার মাঝে থাকতে অনেক পছন্দ করে সেই সাথে আমাদেরকে ভালো রাখে। এরকম ম্যাচ পার্টনার গুলো পেয়ে আমিও সত্যি অনেক খুশি। যাই হোক বরাবরি রেসিপি প্রস্তুত এর কারিগর হিসেবে আমাকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সবাই সবকিছু প্রস্তুত করে দিয়েছে আমি জাস্ট প্রস্তুত করেছি রেসিপিটি। এখন পর্যায়ক্রমে রেসিপি প্রস্তুত প্রণালী আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব আশা করছি ভালো লাগবে।


প্রয়োজনীয় উপাদান।

১. নুডুলস
২.পেঁয়াজ
৩.মরিচ
৪.তেল
৫.ডিম।

মূলত নুডুলস এর রেসিপি প্রস্তুত করতে হাতেগোনা কয়েকটি উপাদান প্রয়োজন হয়। এবং এই রেসিপিটা খুব সহজেই প্রস্তুত করা যায়। উপরে আপনারা রেসিপি প্রস্তুতের প্রয়োজনীয় উপাদান এর ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন।



প্রথম একটি করাইতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিয়েছি গরম হওয়ার জন্য। এবং কিছু পরিমাণ লবণ দিয়েছি পানির মধ্যে। এবার পানিটি পুরোপুরি ভাবে গরম করে নিয়ে তার মধ্যে নুডুলস এর চিপস গুলো ছেড়ে দিয়েছি। এবং এগুলো গরম পানির সাথে ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিয়েছি। নুডুলস সিদ্ধ করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হয় যেন বেশি না হয় আবার কমও না হয়। কম হলেও খেতে ভালো লাগে না আর বেশি হলে তো পায়েস হয়ে যাবে।



নুডুলস ভালো ভাবে সিদ্ধ করা হয়ে গেলে এবার একটি ঝুরির মধ্যে সেগুলো ঢেলে নেই। এবং পরবর্তীতে ঠান্ডা পানি ঢেলে সেটা খুব ভালোভাবে ঠান্ডা করে নেই। এবং হাত দিয়ে বারবার ঝাকাতে থাকি যেন সবগুলো একসাথে এঁটে না যায়।


যেহেতু আমরা ম্যাচে একসাথে ছয় জন থাকি। এজন্য ৬ প্যাকেট নুডুলস ছ টা ডিম নিয়ে এসেছিলাম। এবার ডিম গুলো একটি পাত্রে ভেঙে নেই। এবং পরবর্তীতে চামচ দিয়ে খুব ভালোভাবে মিশ্রণ করে নেই ডিমের দুইটা অংশ। উপরের ফটোগ্রাফিতে লক্ষ্য করলে এটি দেখতে পাবেন।


এবার করাইতে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল দিয়ে পূর্বে প্রস্তুত করে রাখা মসলাগুলো তার মধ্যে ছেড়ে দেই। এবং তেলের উপরে মসলাগুলো খুব ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে এবার। এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণ এর মধ্যে দিয়ে মসলাগুলো খুব ভালোভাবে ভেজে নেই। মসলা বাধা হয়ে গেলে পূর্বে প্রস্তুত করে রাখা ডিম এর মধ্যে দিয়ে দিয়েছিলাম। মসলা এবং ডিম একত্রে খুব সুন্দর করে ভেজে নিয়েছিলাম।



মসলা ভালোভাবে প্রস্তুত করা হয়ে গেলে পূর্বে প্রস্তুত করে রাখা নুডুলস গুলো এবার কড়াইতে একে একে দিতে থাকি। এবং সাবধানে নাড়তে থাকি। এবং সবগুলো নুডুলস মসলার সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নেই। এখন খুব ভালোভাবে অল্প তাপমাত্রায় নাড়তে থাকি। কেননা এই ধাপ যত ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারব নুডুলসের রেসিপি খেতে ঠিক ততটাই সুস্বাদু হবে। এবং শেষমেশ লবণের পরিমাণ টা দেখে নিয়ে খুব ভালোভাবে এই ধাপটা সম্পন্ন করেছিলাম। প্রস্তুত করা হয়ে গেলে এবার চুলা থেকে নামিয়ে ছয়টা প্লেটে পরিবেশন করা হয়।


এরই মধ্যে দিয়ে রেসিপি প্রস্তুত প্রণালী শেষ করি। এবং সবাই মিলে একত্রে বসে খেতে শুরু করি। দেখতে পাচ্ছেন আমার প্লেটের উপরে সস দিয়ে সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম। খেতেও খুব সুস্বাদু হয়েছিল খুব মজা করে সবাই মিলে খেয়েছি। আসলে এত রাতে সবাই মিলে নুডুলস প্রস্তুত করে খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম ছিল। যদিও আগে যখন ম্যাচে থাকতাম তখন প্রতি সপ্তাহে এরকম একটি আয়োজন হতো। তবে চাকরি জীবনে এসে যে এত ভালো ম্যাচ মেট পাবো আর এরকম আয়োজন হবে ভাবতে কেমন যেন খুশি খুশি লাগছিল। যাইহোক একটু ঝাল হয়েছিল এজন্যই খেতে একটু বেশি মজা হয়েছিল। আশা করছি নুডুলস প্রস্তুত প্রণালী আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আসলে খাবারের থেকে সবাই মিলে একসাথে মজাটাই অনেক বেশি করেছি।



ডিভাইসঃ Redmi Note 5



break .png

Banner.png

|| [আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে]

standard_Discord_Zip.gif

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Witness Banner 2.png


সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ধন্যবাদ

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

মেসে থাকা আসলেই আনন্দের। আমিও মেসে থাকি এই আনন্দটা আমিও উপভোগ করি। মাঝে মাঝে রাত বারোটা একটা কিছু খেতে ইচ্ছে করে ঠিক সেই মুহূর্তে ঝটপট বানিয়ে ফেলি সহজ রেসিপি নুডুলস।

ধন্যবাদ ভাইয়া নুডুলস রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আসলে আপনার মত আমারও একই অবস্থা যখন কোন কিছু খেতে ইচ্ছা করে রাত গিয়ে দিন দেখার কোন সুযোগ থাকে না। আপনারা রাত বারোটার সময় মোটরসাইকেল নিয়ে চলে গিয়েছেন নুডুলস তৈরি করার উপকরণ কিনতে এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো। যেহেতু নুডুলস আমার কাছে খুবই ভালো লাগে তাই আপনাদের তৈরি করুন নুডুলস দেখে খেতে ইচ্ছা করছে।

আসলে খাওয়ার পিনিক উঠলে ১২ টা বা ৩ টা কোনো ব্যাপার না।এটের ছুচো যদি একবার উঠে পরে হাহাহা।খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন শুভ কামনা রইলো।

ম্যাচে কখনো থাকা হয়নি তাই এই অভিজ্ঞতাগুলো অর্জন করা হয়নি। তবে আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম আপনারা বেশ মজাই করেছিলেন এবং সবাই মিলে ম্যাচে বেশ আনন্দের সাথে থাকেন। আর আপনার ম্যাচ পার্টনার গুলো ভালোর জেনে ভালো লাগলো। যাইহোক নুডলস পিকনিক করার মাধ্যমে নিশ্চয়ই খুব সুন্দর কিছু সময় উপভোগ করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টের মাধ্যমে সেই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝেও শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।

আসলে এই ধরনের আড্ডায় যদি কিছু স্নাক্স জাতীয় খাবার হয় তাহলে সে আড্ডাটা জমে যায়। আপনারা তো দেখি খুব আনন্দ করেন এবং এই রাত বারোটার সময় সেই বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে নুডুলস কিনে আনার অনুভূতিটি মনে হচ্ছে চরম ছিল। আসলে আমার মনে হচ্ছে যে আপনি এখানে পিনিক বলতে নুডুলসের নেশার কথা বলেছেন। যাইহোক আজকে আপনার এত সুন্দর একটা পোস্ট পড়ে খুব আনন্দ পেলাম এবং ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপনি ভালো রেসিপি তৈরি করতে পারেন এই জন্য বরাবর আপনাকেই রেসিপির কারিগর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় হা হা হা। অনেক লোভনীয় লাগছে ভাইয়া সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

আপনার পোস্ট দেখে হোস্টেল লাইফের কথা মনে পড়ে গেল ভাইয়া। মাঝে মাঝে আমরাও এরকম করতাম। অনেক রাতে ক্ষুধা লেগে গেলেই নুডুলস তৈরি করে ফেলতাম। আপনার পোস্ট দেখে আমার পুরোনো অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল।