১০অগ্রায়ন , ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
২৫নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
১০জমাদিউস সানি ১৪৪৫ হিজরী
শনিবার।
হেমন্তকাল।
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি
🥗
আইসা গিয়েছে শীতকাল তবে সেটা কিন্তু গ্রাম কেন্দ্রিক। শহরে আদেও এ বছরে শীত পৌছাবে কিনা সেটা বলতে পারছি না। গতবার তো শহরে থেকে শীতের ভাবটাই বুঝতে পারলাম না কিভাবে যে শীতকালটা পার হয়ে গেল। গ্রামের সবুজ শ্যামল পরিবেশ এই পরিবেশে ঠান্ডার আবহাওয়াটা ভালোই বুঝতে পারছি। দ্বিধা ছাড়াই বলতে পারি আমাদের কুষ্টিয়া কিন্তু এখন পুরোপুরিভাবে শীতের আবহওয়াটা উপভোগ করছে। শীতের আমেদের চারিদিক অন্যরকম একটি উৎসব এর ঘনাঘাটা চলছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন পার্কে বিভিন্ন ধরনের পিঠা উৎসব চলছে।। শুধুমাত্র শীতকাল এলেই এই ধরনের পিঠা উৎসবগুলো হয়ে থাকে। আজ আমি নতুন ধরনের পিঠার কথা এবং ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব। হয়তো অনেকেরই পরিচিত আবার কেউ হয়তো নামও শোনেননি। এই পিঠাকে আমাদের গ্রাম্য ভাষায় কালাই পিঠা বলে। এই পিঠা সম্পন্ন কালাইয়ের ডাল দিয়ে প্রস্তুত করা হয়। খাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় বেগুন ভর্তা ,আলু ভর্তা ,শুকনা মরিচ ভর্তা ,ধনিয়া পাতা ভর্তা, সরিষা ভর্তা ,আমের চাটনি, এছাড়াও অনেক ধরনের লোভনীয় ভর্তা থাকে।
🥗
আমি বাহিরের খাবার খুবই কম খেয়ে থাকি। আর খোলামেলা পরিবেশ হলে ভুলেও সেই খাবার কখনো মুখে তুলি না। অল্পতেই আমার বড় ধরনের সমস্যা হয়ে যায় এজন্য।। তবে বেশ কিছুদিন ধরে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে নদীর পাড়ে নতুন এক আয়োজন দেখি। যেহেতু কলা খাবার এজন্য দেখেই চলে যায় কখনো খাওয়া হয় না। তবে বেশ কয়েকদিন আগে আমার কলিগের সাথে বাসায় ফিরছিলাম হঠাৎ সে জোর করে আমাকে বসালো এই মজাদার খাবার খাওয়ার জন্য। তবে এর পূর্বে এই খাবার সম্পর্কে তার মুখ থেকে অনেক প্রশংসা শুনেছি। শুনে লাভ হয়েছে কিন্তু খোলা মেলা পরিবেশ এই জন্য খাবার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করিনি। তবে আমার কলিগ এদিন আর আমাকে ছাড়লো না জোর করে বসালো খাওয়ার জন্য। তবে যেরকমটা ভেবেছিলাম তেমন না পরিবেশটা মোটামুটি সুন্দর ছিল। উপরের ফটোগ্রাফিতে আপনাদেরকে পিঠাপস্তুতের দৃশ্যগুলো দেখিয়েছি। তবে মজার একটি বিষয় হাতের উপরে খামের নিয়ে অনেক সময় ধরে এই পিঠা তৈরি করে তিন স্টেপে আগুনে পোড়ানো হয়।
🥗🥗
আমি ভেবেছিলাম হয়তো তেমনভাবে এই পিঠা মানুষ খায় না। কিন্তু খেতে গিয়ে নতুন এক অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম। ছোট থেকে বড় সবাই এসে ভিড় জমায় পিঠা খাওয়ার জন্য এখানে সিরিয়াল দিয়ে বসে থাকতে হয়।। একজন কারিগর তিনজন ম্যাচিআর দিয়ে ছোট্ট এই দোকানটা পরিচালনা করা হয়। তবে খুব সুন্দর সুঘ্রান এবং লোভনীয় ভর্তা দেখলে মন চাইবে একটা খেয়েই যায়। প্রায় ৪০ মিনিট বসে থাকার পরে আসলো আমাদের কালাই এর রুটি এবং বিভিন্ন ধরনের ভর্তা। উপরের ফটোগ্রাফি গুলোতে আপনাদের সাথে সব ধরনের ভর্তার ফটোগ্রাফি শেয়ার করে নিয়েছি। প্রথমে রুটি দিল পরে ভর্তা দেওয়ার সময় জিজ্ঞাস করে নিল ঝাল কম না বেশি। আমি আবার বলেই ফেললাম ভাই ঝাল একটু করা হবে। এমন করা দিয়েছে খেতে গিয়ে চোখ দিয়ে পানি এসে গেছে। বলেছিলাম সব ধরনের ভর্তা একটু একটু করে দিতে। তারপরে এই ভর্তা সব একসাথে মিশ্রণ করে নিয়ে রুটি খেতে শুরু করলাম। প্রথম অবস্থায় খুব ভালো লাগছিল এবং মনে মনে কল্পনা করছিলাম আগামীকাল থেকে প্রতিদিন একটা করে খেতে হবে এত মজা কেন।
🥗🥗
তবে মজাটা বেশি সময় উপভোগ করতে পারেনি এত পরিমান ঝাল ছিল যে শসাতে শুসাতে মাথা পর্যন্ত ঘুরে যাচ্ছিল। তবে খাবারটা খেয়ে খুবই মজা পেয়েছি এত মজাদার খাবার এর আগে হয়তো ভর্তা দিয়ে আমার খাওয়ায় হয়নি। তবে ভিন্ন ধরনের খাবার এবং ভিন্ন ধরনের আয়োজন দেখে ভালোই লাগছিল আমার। তবে সবথেকে বড় কথা হলো এই পিঠার ক্রেতা অধিক পরিমাণে। সবার অনেক প্রিয় গরম গরম বিভিন্ন ধরনের ভর্তা দিয়ে খেতে সত্যি অনেক মজা লাগছিল। একটা পিঠার দাম ভর্তা সহ ৩০ টাকা তারপরেও মানুষের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এটি খাওয়ার প্রতি। কুষ্টিয়া মিরপুর শহরে এসে এই ভিন্ন ধরনের খাবারটি খেতে পেরে সত্যি আমারও অনেক ভালো লেগেছে। অন্য কোথাও এরকম আয়োজন হয় কিনা জানিনা। তবে এখানে এরকম ভিন্ন ধরনের পিঠা শীতের শুরু থেকে শেষ অব্দি চলতে থাকে। যাইহোক ভিন্ন ধরনের এই খাবারের স্বাদ নিতে হয়তো আপনারও মন চাইবে কেননা খুবই সুস্বাদু। শেষ করছি আজ এখানেই লোভনীয় খাবারের রেসিপি পোস্ট পরবর্তীতে দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে।
লোকেশন:
ডিভাইসঃ Redmi Note 5
VOTE @bangla.witness as witness OR
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই খাবারটা না খেলে ও এই খাবারটির সাথে আমি বেশ পরিচিত।আমি রংপুরের একটি ব্লগে এই কালাইয়ের রুটি ও নানান রকম ভর্তার ব্যাপারে জানতে পারি। এই খাবারটি ভীষণ মজার হয় শুনেছি।আপনার ফটোগ্রাফির ভর্তা দেখে তো আমার এখনই খেতে ইচ্ছে করছে।ঝাল ঝাল ভর্তা দেখলে লোভ সামলানো দায়।আপনার মতো আমিও বাইরের খাবার খাইনা।তবে আপনি খাবারের এতো প্রশংসা করলেন।তবে বুঝলাম খাবারটি খুব মজার।ধন্যবাদ আপনাকে ফুড রিভিউ পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই খাবারটি আসলেও অনেক সুস্বাদ। খুব মজা পেয়েছিলাম খাবারটি খেয়ে। ।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তবে ভাই আসল কালাইয়ের রুটি পাওয়া কঠিন। কারণ এরা ওর মধ্যে আটা মেশায়। আমাদের কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের পাশে বেশ কয়েকটি দোকানে কালাই রুটি বিভিন্ন ধরনের ভর্তা এটা বিক্রি করে। একবার খেয়েছিলাম। লেগেছিল বেশ দারুণ। আপনার আজকের কালাই রুটি খাওয়ার পোস্ট টা দেখে সেটা মনে পড়ে গেল। ভর্তা দিয়ে কালাই রুটি বেশ সুস্বাদু লাগে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসল কালাইয়া রুটি কিনা জানিনা তবে খেতে খুব সুস্বাদু ছিল। । ধন্যবাদ আপনাকে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শীতের সকালে বা বিকেলে শীতের সময় এরকম গরম গরম কালাইয়ের রুটি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি বিভিন্ন ধরনের ভর্তার সঙ্গে এটি খেয়েছেন। তবে ঝাল ভর্তা করে এই রুটি টা খেলে বেশ মজা লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া এরকম খাবার শীতের বিকেলে খেতে সত্যি অনেক মজা হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit