২৩ ভাদ্র , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আসসালামু আলাইকুম,আমি মোঃআলী, আমার ইউজার নাম @litonali।আমি বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।
এই পৃথিবীতে জীবিত থাকা সমস্ত প্রাণীরই একদিন মৃত্যুর স্বাদ আর সাধন গ্রহণ করতে হবে। এমনকি আমি আপনিও এর মধ্যে রয়েছি। একদিন আমি আপনি সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে লুটিয়ে পড়বে এই দেহ মাটিতে। হয় সারে তিন হাত মাটির নিচে জায়গা হবে ,না হয় শ্মশানের ছাইয়ের মধ্যে খুজে পাওয়া যাবে আমার অস্তিত্ব। একটু ভেবে দেখুন তো দশ বছর পাঁচ বছর বা এক বছর আগে যারা আমাদের মধ্যে ছিল আমাদের ভাই তারা আজ কোথায়। তাদেরকে আমরা কে বা কজনায় মনে রেখেছি। অথচ তারা কিন্তু আমাদের মতো এই পৃথিবীতে এক সময় বিচরণ করত। সবাইকে একদিন এই পৃথিবীর মায়া ছেড়ে যেতে হবে আর এটাই চিরন্তন সত্য। শত চেষ্টার মাধ্যমেও যেখান থেকে পালায়ন করা যাবে না। সৃষ্টির সূচনা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত সবার গন্তব্য স্থান একটি জায়গায় এসে থেমে যাচ্ছেন তা হলো মৃত্যু নামক এক ভয়াবহ জিনিসের কাছে। আমরা হয়তো ভেবে রেখেছি আরো অনেক দিন বেঁচে থাকব অনেক কিছু করব কত পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের মধ্যে। কিন্তু এই মৃত্যু যে আমাদের যখন তখন থামিয়ে দিতে পারে সব কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এটা আমরা কেউ কখনো মনে রাখার চেষ্টা করি না। তবে মনে রাখি বা না রাখি গুরুত্ব দেই বা না দেই এটাই চিরন্তন সত্য এবং অনিবার্য সত্য।
আমরা যখন কোন গন্তব্য স্থানে যেতে শুরু করি প্রতিটা মুহূর্ত বা প্রতিটা কদম কিন্তু আমাদের পথ কমতে থাকে। ঠিক তেমনি প্রতিটা নিঃশ্বাস আমাদেরকে মৃত্যুর কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের পৃথিবীর যাত্রা পথ সংকীর্ণ হয়ে আসছে। এখন মূল কথা হলো আমাদেরকে কেন সৃষ্টি করা হয়েছে কেনই বা আমাদেরকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে। এটা তোমরা একদমই ভুলে গিয়েছি। সৃষ্টিকর্তা আমাদের এত সুন্দর পৃথিবী দান করেছেন এত নেয়ামত দিয়ে ঘিরে রেখেছেন আসলে এর পিছনে তার উদ্দেশ্য কি হয়েছে। আমাকে সৃষ্টি কর্তার দেয়া বিধান তার দেওয়া পথ অনুযায়ী চলতেছি। তার কথামতো জমিনে বিচরণ করছি। যে মালিকের খেয়ে মালিকের থেকে পৃথিবীতে আমরা সুখ বিলাস করছি তার কথা কি কখনো মনে পড়ে? কেন কি জন্য কি উদ্দেশ্যে আমাদের সৃষ্টি করা হলো সেই উদ্দেশ্য গুলো কি আমরা হাসিল করে এই দুনিয়ার হায়া ত শেষ করতে পারছি। আমার প্রতিটা নিশ্বাস প্রতিটা কর্ম কি বলছে আমি কি একজন সৎকর্মশীল ব্যক্তি? আমি কি আমার প্রভুকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছি? নাকি আমি অযথাই পৃথিবীতে সময়গুলো অপচয় করে পাপের বোঝা ভারী করে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে।
আফসোস!! বড় আফসোস হয় নিজের দিকে তাকালে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করছি। ভবিষ্যতের চিন্তায় নিজেকে মগ্ন রেখে দিন পার করছি। অথচ একটা নিশ্বাস ত্যাগ করছি পরেরটা টেনে তুলতে পারব কিনা এই ভরসা টুকুনি আমার নেই। তাহলে আমার কিসের ভবিষ্যৎ? মনে মনে ভাবছি আজ অসৎ পথে কিছু কামিয়ে নেই অন্যকে ঠকিয়ে সম্পদের মালিক হই। পরবর্তীতে সেখান থেকে গরিব দুঃখী মানুষের সহায়তা করে ভালো মানুষ হবো সমাজের বুকে। এটাতো নিতান্তই বোকামি যে উপরওয়ালার নিচে আমাদেরকে পাঠিয়েছেন তিনি কি সব কিছু দেখছেন না? যতই আমরা ভালো মানুষ সেজে পৃথিবীতে বসবাস করি আদৌ কি আমরা ভালো মানুষ? কি জবাব দিব সেদিন? যেদিন সৃষ্টি কর্তা আমাকে পাকড়াও করবে আমার কৃতকর্মের হিসাব নেবে।
একটু নিজেকে একা করুন। নিজেকে সময় দেন। কেন আপনাকে আমাকে সৃষ্টি করা হয়েছে এটা নিয়ে একটু ভাবুন। কি হিসাব দিব ঐদিন যেদিন আমার কৃতকর্মের সকল নথিপত্র আমার সামনে তুলে ধরা হবে। আফসোস হবে সেদিন মনে হবে যদি আরেকটা বার পৃথিবীতে যেতে পারতাম কল্যাণমূলক কাজগুলো করতে পারতাম সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারতাম তাহলে আজ এই অপমানিত এবং লাঞ্চিত হতে হতো না আমাকে। বারবার শুধু আফসোস হবে আরেকটা বার আর একটা বার আমাকে পৃথিবীতে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক আমি সমস্ত ভালো কাজ করে আসবো। এবং আমার আমলনামা ভালো করব এবং সম্মানের সাথে শান্তির স্থান খুঁজে নেব। কিন্তু বিভিন্নভাবে আমাদেরকে যে এখন সতর্ক করা হচ্ছে ভালো কাজ করার জন্য এটা কিন্তু আমাদের বুঝে আসছে না। আমরা ভালো হবো ভালো কাজ করব ভালো পথে চলবো এটা শুধু মনে মনে ভেবে রেখেছি কিন্তু সেই দিন টা কবে আসবে।
এ জীবন ক্ষণস্থায়ী সময়টা একদিন সংকীর্ণ হতে হতে ফুরিয়ে যাবে। সেদিন আর শত চেষ্টা করেও পৃথিবীতে একটা সেকেন্ড বেঁচে থাকা যাবে না। শত আফসোস করেও ভালো হওয়ার সময় পাওয়া যাবে না। এজন্য আমাদের উচিত সময় থাকতে শক্তি থাকতে ভালো কাজগুলো করে সৃষ্টি কর্তা সন্তুষ্টি লাভ করা। অবশ্যই আমরা মানুষ ভুল করে এবং ভুলের মধ্যে যে সঠিক পথটা দেয়া রয়েছে সেটা কখনো খুঁজে দেখি না। ভুল করি আর সঠিক কাজ করি এর মধ্যে আমরা খুঁজে দেখি শুধু আমাদের স্বার্থটা। কিন্তু এই স্বার্থ যে ধোঁকায় পরিপূর্ণ আমাদেরকে প্রতিটা সময় ধোঁকা দিচ্ছে সেটাই বা কজনায় ভাবছে। শেষ বিচারের দিন নিজেকে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আসামি অবস্থায় দেখার চেয়ে সময় থাকতে ভালো কাজ করে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভ করায় বুদ্ধিমানের কাজ।
আরেকটাবার সৃষ্টিকর্তার কাছে সময় চেয়ে পৃথিবীতে আসার আগে যদি এই জীবনটা সেরকম ভাবে ফলাতে পারি ভালো কাজে তাহলে সেদিন অবশ্যই সম্মানিত হওয়া যাবে। মৃত্যুর পরে কোথায় যাবে আমার শত ব্যস্ততা। কোথায় যাবে আমার ধন-সম্পদ কোথায় যাবে আমার আত্মীয়- প্রয়োজন। আর কি হবে আমার ভোগ বেলাশী জীবন। শুধু তিন টুকরা কাপড়ের সাথে কবর অথবা কয়েক টুকরো কাঠের সাথে শ্মশানে পুড়ে ছাই। তাহলে সৃষ্টিকর্তা আমাদের যে হায়াত দিয়েছে এর মধ্যে কি আমাদের সংশোধন হওয়া উচিত নয়? অবশ্যই বুদ্ধিমানরা এই সময়টা কাজে লাগিয়ে তাদের জীবনটাকে সফলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য যেমন সব কিছু দরকার রয়েছে তেমন মৃত্যুর পরের জীবনকে সুন্দর করার জন্য ও সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। তাই আসুন মৃত্যুর পূর্বে বা মৃত্যুর পরে আফসোস করাচ্ছে পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনে কাজ করি। নিজেকে সাজিয়ে তুলি মৃত্যুর জন্য। এমন ভাবে থাকি যেন আমি সব সময় মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রয়েছে। যাই হোক অনেক কিছু আলোচনা করলাম ছোট্ট একটি পোষ্টের মাধ্যমে আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ডিভাইসঃ Redmi Note 13 Pro
|| [আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে]
VOTE @bangla.witness as witness OR >>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
ধন্যবাদ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার আজকের লেখাগুলো সত্যি বলতে একেবারে বিবেকে আঘাত করল। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই চিন্তাই থাকি। কিন্তু মৃত্যুই আমাদের ভবিষ্যৎ। আমরা সম্ভবত মৃত্যু নিয়ে সবচাইতে কম ভেবে থাকি। আমরা আমাদের কর্মের পেছনে এতটা ব্যস্ত যে এই কঠিন সত্য আমাদের স্বীকার করার সময় থাকে না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit