আনিকার মামুন ভািই

in hive-129948 •  2 months ago 

আনিকা শাড়ি পড়ে হাঁটতে পারছে না। শাড়ির কুঁচি বারবার পায়ে প্যাঁচ খেয়ে বেঁধে যাচ্ছে। কয়েকবার সে পড়ে যেতে গিয়েও সিঁড়ির রেলিং ধরে নিজেকে সামলালো।
আজ তাঁর আঠারো তম জন্মদিন। এই জন্মদিন তাঁর অন্যান্য জন্মদিনের থেকে বিশেষ। কারণ আজ তার মামুন ভাই আসছেন। গত তিনটে জন্মদিনের একটাতেও মামুন ভাই আসেননি, তাঁর পরীক্ষা ছিলো। আনিকা ভয়ে ভয়ে একবার জিজ্ঞেস করেছিলো,
** * আপনি কেনো আসেননি আমার জন্মদিনে??
** * মামুন ভাই মেজাজ খারাপ করে বলেছেন,
** * তুই কি সেবার রাণী??, যে তোর জন্মদিন হলেই আসতে হবে? তুই হলি একটা মুতুকন্যা? মুতুকন্যার জন্মদিন। দেখা যাবে কেকের উপরে মুতু করে রেখেছিস। কেক কামড় দিয়েই মুতুর গন্ধ। তোর সাহস কি করে হয়, আমাকে মুতু জন্মদিনের দাওয়াত দেবার??
কথা শুনে নিতুর সঙ্গে সঙ্গে চোখে পানি চলে এসেছে।
তিনি কি ভাবেন নিজেকে???রাজা?? রাজাধিরাজ??
কেকে মুতু বিষয়ক কঠিন কথায় আনিকা তিন চারদিন কেঁদে ভাসিয়েছিলো।।
তবে আনিকার মন বলছে, এবার তিনি আসবেন। যদি না আসেন, তাহলে এক মুঠো ঘুমের ঔষধ খেয়ে আনিকা মরে যাবে। ঘুমের ঔষধ তাঁর সাথেই আছে।
জন্মদিনের কেক কাটার পরপরই সে টুপ করে তা গিলে নেবে। যে জীবনের জন্মদিনে মামুন ভাই নেই, সে জীবনে বেঁচে থাকার মানে হয় না।এর থেকে মৃত্যু ভালো।
বাবার সামনে পড়তেই,
তিনি হেসে বললেন,
-------বাহ্। তোমাকে তো শাড়ি পড়ে একদম মায়ের মত দেখাচ্ছে। কে পড়িয়ে দিলো??
-------বড় কাকি ।
------ বাহ চমৎকার হয়েছে তো ।
দেখি দেখি মামণি এদিকে আসোতো।
বলেই বাবা আনিকার মাথায় টুপ করে একটা চুমু খেয়ে নিলেন।
------বড় হও মামণি, অাকাশছোঁয়া বড় হও। হাজার জন্মদিন নিয়ে বেঁচে থাকো।
আনিকার মন খারাপ হয়ে গেলো। বাবা এরকম করলে তো সে ঘুমের ঔষধ খেয়ে মরতে পারবেনা।
থাক্, পরের জন্মদিনে মরা যাবে।
কেক কাটতে গিয়ে নিতু অারেকবার চোখ বুলালো চারিদিকে। নাহ্.. মামুন ভাই অাসেননি। অথচ উনার মা-বাবা, ছোটবোন ইথিশা, সব্বাই এসেছে।
আনিকার বুক ভেঙ্গে এলো।
জন্মদিনের কেক মুখে নিয়ে , আনিকা মনে মনে বললো আমি আর আপনার জন্য অপেক্ষা করবো না, না, না। রাত হলো, একসময় বাড়ি ভর্তি গেস্ট বিদায় হলো, তখনি মা এসে ডাকলেন,
-----নিচে অায় আনিকা, মামুন এসেছে, ও'র বন্ধুবান্ধব সাথে করে।সবগুলো কি ব্রিলিয়ান্ট, কথা বল গিয়ে।, দেখে একটু পড়াশোনার ইন্সপায়ারেশন পাবি।
আনিকার গলা শুকিয়ে কাঠ-কাঠ, এখন উনার অাসার সময় হলো? আনিকা শাড়ি খুলে, হাফপ্যান্ট পড়ে বসে থাকলেই উনাকে অাসতে হবে?? এই যে অাজ নীল জামদানি পড়ে আনিকাকে নীলপরীর মত দেখাচ্ছিলো, সেটা তো উনি মিস করে গেলেন।
আনিকা কাঁপা কাঁপা পায়ে এগিয়ে গিয়ে ক্লোজাট থেকে, স্কার্ট বের করলো। অবশ্য লাল স্কার্টেও আনিকাকে মিষ্টি লাগে দেখতে।
আনিকা স্কার্ট পড়া হলোনা, মামুন ভাই চলে এসেছেন।
------কিরে?? কি করছিস?? তোর ঘরের এসি কি ঠিক অাছে?? অামার বন্ধুরা এখানে এসে বসবে।
তোর বাবা সারাবছর কি ঘোড়ার ডিমের ইনকাম করে বলতো, এলেই শুনি তোদের ড্রয়িংরুমের এসি কাজ কারছে না।
এরকম বাড়িতে বন্ধু বান্ধব নিয়ে অাসা তো বেইজ্জতি। অথচ দাওয়াত দেবার সময় তো গদগদ করেন।
আনিকার মন খারাপ হয়ে গেলো।
ইনি তাহলে নিজের বন্ধুদের অারাম অায়েশ করাতে এসেছেন?? আনিকাকে ডাকতে নয়??
মামুনব ভাই এসি ছাড়লেন, আনিকা বিছানায় ধপাস করে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লেন ।
------স্কার্ট হাতে এরকম দাঁড়িয়ে অাছিস কেনো?? পড়্... বিশ্ববাসীকে কি তোর সরু দুটো ঠ্যাং দেখিয়ে ভয় পাইয়ে মারতে চাস??
আনিকা বিষন্ন মুখে স্কার্ট পড়লো।
------ডানপায়ে এটা কিসের দাগ??
------কেটে গেছে।
------কি করে??
-------রিকশা থেকে পড়ে গিয়েছিলাম।
------অার কোথাও কাটেনি??
আনিকা না সূচক মাথা নাড়লো। সে মিথ্যে বলেছে। বা-পাশে কোমড়ের কাছেও তাঁর অনেকখানি কেটেছে। যতই হোক্, সে তো অার মামুন ভাইকে কোমড় দেখাতে পারেনা।
আনিকা বা-দিকে কোমড়ের কাছে স্কার্টটা, একটু টেনে নিলো।
------কোমড়েও কেটেছিস নাকি?? দেখি...
আনিকা দেখালো না। শক্ত করে স্কার্ট ধরে, দেয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো।
------অবশ্য যেভাবে ব্যঙের মত লাফাস তুই, তোর তো এতদিনে পুরো অঙ্গ ব্যবচ্ছেদ হয়ে যাবার কথা। যেভাবে অামরা ব্যাঙ ব্যবচ্ছেদ করি। ব্যাঙ ব্যবচ্ছেদ বুঝিস তো???
আনিকা মাথা নাড়লো।
মাহবুব ভাই কি জানেন না, আনিকা সায়েন্স থেকে পড়ছে??
------কেমন কাটলো??স্টিচ লেগেছে??
------না।
------তাহলে কি, ঘোড়ার ডিমের কাটা কাটলি যে দাগ হয়নি??যত্তসব..... অাহলাদি...
যেনো আনিকা কোমড় বেশি না কাটায় মাহবুব ভাইয়ের খুব রাগ হলো। আনিকা ঠোঁট কামড়ে বললো,
-------দাগ হয়েছে। অনেক দেবে গেছে.... ডাক্তার বললো, এখানে স্টিচ লাগবে না।
-------ডাক্তারের কি মাথা খারাপ, যে তোর কোমড় হাতিয়ে স্টিচ করবে??কাঠির মত কোমড়, এখানে স্টিচ করতে গেলে দেখা যাবে বেচারার নিডলটাই ভেঙ্গে গেছে।৷ অাবার হয়তো পিঁপড়ের সাইজে কেটেছিস..
আনিকা চোখ বন্ধ করে কোমড়ের কাছে স্কার্টটা নামিয়ে ধরলো। তিন ইঞ্চি জায়গামত কেটেছে, এখনো শুকোয়নি, এই কাটা কোমড়ের ব্যাথা নিয়েও সে অাজ মামুন ভাইয়ের জন্য শাড়ি পড়েছিলো।
-------কই, অামি তো একটা কালো তিল ছাড়া কিছুই দেখছি না। পিঁপড়ের সাইজ ও তো নয়, পিঁপড়ের ডিমের সাইজ কেটেছিস! এটা কোনো ব্যাথা হলো??
আনিকা এগিয়ে এসে, স্কার্টটা অারো নামিয়ে ধরলো। সমস্ত জায়গা ব্যাথায় কালচে লাল হয়ে অাছে, তিনি কি চোখে দেখতে পান না?? তিনি কি অন্ধ??
মামুন ভাই কাটার উপরে, শক্ত করে টোঁকা দিলেন,আনিকা ব্যাথায় ককিয়ে
"উফ" বলে চোখ বন্ধ করে ফেললো।
------কাটা দেখাতে বলেছি। তোর নীল প্যান্টি নয়। সবাইকেই এমন দেখাস নাকি? লজ্জার তো দেখি কুরবানি করে দিয়েছিস??ছিঃ..
আনিকা অাহত মুখে হাঁ করে তাঁকিয়ে রইলো। সে তো মামুন ভাইকে নিজের মানুষ মনে করে দেখিয়েছে।
মামুন ভাই এবার ব্যাথার জায়গায় অারো একশোগুণ বেশি ব্যাথা দিয়ে আনিকা স্কাটর্টা উপরে টেনে দিলেন।স্কার্টের রাবারটা স্প্রিং করালেন, ঠাস করে।
------অারো কাটুক তোর, কেটেকুটে রেকর্ড তৈরি কর। জন্মদিনে দোয়া করে দিলাম যা।
তারপর,
বিছানায় রাখা নিতুর নীল জামদানিটার উপরে মাহবুব ভাই জুতু নিয়ে গড়াগড়ি খেতে খেতে বললেন,
----যা, কেক নিয়ে অায়। অামার খুব টায়ার্ড লাগছে, একটু শুয়ে নিই।
শোন্, নিচে ওদের ভালো করে খাবার দাবার দেওয়া হচ্ছে কি না দেখে অাসিস।
নিতু মনে মনে বললো,
অামি কাউকে অামার ঘরে জুতুপায়ে অাসতে দিই না, শুধু অাপনাকে দিই। এই যে অাপনি জুতু পায়ে বিছানায় শুলেন, তাও অামি এক ফোঁটা রাগ করিনি। এত যে কঠিন অার কষ্ট দেয়া কথা বলেন, তাও অামি রাগ করিনা, কেনো জানেন??? জানেন না.. অাপনি তো একটা নিষ্ঠুরগাঁধা, অাপনি কোনদিনই কিছু বুঝেন না।
নিতু কেক নিতে নিচে এসে দেখলো, মাহবুব ভাই শুধু বন্ধু নয়, চারটে বান্ধবীও সঙ্গে নিয়ে এসেছেন। সবগুলো নিতুর থেকে লম্বা। অার কি স্টাইলিশ, উফ্ একজনের চুল তো, শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপনের মত সুন্দর।
নিতুর মন এবার অারো একশোগুণ বেশি খারাপ হয়ে গেলো।
নিতুকে দেখে, সবুজ জামা পড়া বান্ধবীটা বললো,
------হ্যালো দ্য বার্থডে গার্ল। তুমি কি স্কার্টটা উল্টো করে পড়েছো??
নিতু নিজের দিকে তাঁকিয়েই লজ্জা পেয়ে গেলো।
অাশ্চর্য! মাহবুব ভাইর সামনেই তো সে স্কার্ট পড়লো, মাহবুব ভাই তো একবারও বললো না।মানুষটা এত খারাপ কেনো??
নিতু কেক নিয়ে এসে দেখে, মাহবুব ভাই ঘুমিয়ে পড়েছেন। নিতু কেকের প্লেটটা শব্দ করে টেবিলে রাখলো, তাও তিনি টের পেলেন না। নিতু কাছে গিয়ে দাঁড়ালো, মাহবুব ভাই শার্টের সব বোতাম খুলে অাছেন, রোমশ বুকটা কি যে দেখাচ্ছে। নিতু সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেললো। ইশ্ তাঁর কি যে লজ্জা লাগছে, যতই সে মাহবুব ভাইকে নিয়ে মনে মনে হাজারকিছু ভাবুক, তাই বলে কি তাঁর লজ্জা পাবে না???
নিতু দরজার কাছে যেতেই, মাহবুব ভাই উঠে বসলেন,
-----নিতু.. দরজাটা অাটকে দিয়ে যা, অামি কিছুক্ষণ ঘুমোবো। তুই অামার বন্ধুদের একটু খেয়াল রাখিস! অতদূর থেকে এসেছে.....
ওহ্! জনাব তাহলে, নিতুকে বন্ধুদের সেবিকা বানাতে এসেছেন?? অার মোহাম্মদপুর থেকে ধানমন্ডি অতদূর হয়ে গেলো??
তাও গলা চেপে নিতু বললো,
------- অাচ্ছা।

Untitled design.png

মামুন ভাই শার্টটা খুলে আনিকা ইশারা করলেন,
-------ঠিক করে হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখবি, ইস্ত্রি নষ্ট হলে, তোর শাড়ি ছিড়ে ফেলবো। এটা,তোর শাড়ি??
------হুঁ। ছোটমামা দিয়েছেন। অাজ অামি ম্যাচিং ব্লাউজ দিয়ে পড়েছিলাম।
-------কেমন দেখাচ্ছিলো?? নীল ব্যাঙ?? গারো ব্যাঙ??
নিতু খুব সাবধানে, শার্টটা রাখলো। উফ্ হাত-পা এত কাঁপছে কেনো??
-----কেক অানতে বলেছিলাম!
এনেছিস??
------হুঁ।
------এনে কি গুছিয়ে অালমারিতে রাখতে বলেছি, সামনে অান....খাই...
আনিকা কেকের প্লেটটা বাড়িয়ে ধরলো, তাঁর হাত স্প্রিং এর মত কাঁপছে, আনিকা এক হাতে দিয়ে অন্য হাতটাকে শক্ত করে ধরলো। তাঁতে কাপাকাপি অারো বেড়ে গেলো। মাহবুব ভাইকে এমন খালি গায়ে দেখে, তাঁর শুধু হাত নয়, পুরো শরীরে ভূমিকম্প শুরু হয়ে গেছে।
------দেখছিস না, অামার ঘুম পাচ্ছে, চক্ষু নাই তোর?? অামার হাত মুখ ধোওয়া হয়নি। এতটা জার্নি করে এসেছি, খাইয়ে দে।
------চামচ দিয়ে খান।
------ঘুমে অামার চামচ ধরার শক্তি নেই, অামি কি দুধের শিশু, যে চামচ দিয়ে কেক খাবো?? এক কাজ কর,ভালো করে হাত ধুয়ে অায়, তোর তো বিশ্বাস নেই, দেখা গেলো হাতে মুতু লাগিয়ে ঘুরছিস।
আনিকার ইচ্ছে করলো, কেকের বাটিটা তক্ষুণি ছুঁড়ে ফেলে দৌড়ে চলে যায়, এক দৌড়ে যদি পৃথিবীর বাইরে চলে যাওয়া যেতো?? এত লজ্জা! এত লজ্জা! উফ্...
কেক খাবার সময় মামুন ভাই, আনিকার ডানহাতের অনামিকায়, একটা শক্ত কামড় বসিয়ে দিলেন, আনিকা বড় একটা চিৎকার দিতে গিয়ে, শুধু 'উহ্' করলো।
-----উহ্ করলি কেনো??
------ব্যাথা পেয়েছি...
-------উঁউঁউঁ.... ব্যাথা পেয়েছি....বললাম না, ঘুমের ঘোরে খাচ্ছি, একটু সাবধানে খাওয়াবি না?? পুরো হাতটা মুখে ঢুকিয়ে দিলে তো কামড় পড়বেই।
তোর আসলে কোনো বুদ্ধি সুদ্ধি নেই।
আনিকা মনে মনে বললো, আমি মোটেও পুরো হাতটা মুখে ঢুকাইনি মামুন ভাই। ইশ কি জ্বলছে?? নিশ্চয়ই দাঁত বসে গেছে??

সিগ্রই পরের পাঠ নিয়ে আশবো।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

টাইপ: চৌর্যবৃত্তি।

এ ধরনের পোস্ট আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি Allow করে না। নতুন ইউজার হওয়ার কারণে শুধুমাত্র আপনার পোস্ট Mute করা হচ্ছে। পরবর্তীতে আবার একই ধরনের কাজ করলে আপনার একাউন্ট কমিউনিটি থেকে ব্যান করা হবে।

কমিউনিটির নিয়মাবলী ভালোভাবে পড়ে নিন
https://steemit.com/hive-129948/@rme/last-updated-rules-of-amar-bangla-blog-community-16-aug-22

যে কোন বিষয়ে জানার প্রয়োজন হলে আমাদের সাথে Discord এ যোগাযোগ করুন।

Discord server link: https://discord.gg/ettSreN493

Source:
https://www.facebook.com/anikatridha/posts/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%AC-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%81-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9F%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A6%9A%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%9A-%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%81%E0%A6%A7/637303720090669/

Loading...