গোবিন্দগঞ্জ নামার পর অনেক ভাল লাগা কাজ করছিল।কত দিন পর যে এই শহরে আসলাম।ছোটোবেলায় নানী বাড়ি যাওয়ার সময় এই শহরে আম্মুর সাথে যে কতবার এই শহরের উপর দিয়ে গেছি তা গুনে শেষ করা যাবে না।যার ফলে এই শহরের প্রতি আলাদা একটা মায়া কাজ করে।আম্মু ও আর আগের মত নানু বাড়ি আসে না।তাই আর আগের মত আমারও আশা পড়ে না।নানা-নানি দুজনই মারা যাওয়ায় আম্মুও আর আসতে চায় না।যাইহোক গোবিন্দগঞ্জ শহর থেকে ১৫ কি.মি.পূর্বদিকে শিবপুর অর্থাৎ আমার নানীর বাড়ি। নানা নানি কেউ বেচে না থাকলেও মামা-মামী ও কাজিনদের টানে আসা পড়ে।গোবিন্দগঞ্জ থেকে আটো নিয়ে ২৫ মিনিট এর মাথায় নানী বাড়ি এসে পৌছালাম। অনেকদিন পর নানী বাড়িতে আসায় আমার মামাতো ভাই আমাকে অটোস্ট্যান্ড এ নিতে আসল। ওর সাথে নানুবাড়ির দিকে যেতেই দেখি পিচ্চি পিচ্চি মামাতো ভাই ও বোনেরা বাড়ির সামনের আঙিনায় দৌড়াদৌড়ি করছে।আমাকে দেখে ওরা কিযে খুশি হলএকদম দৌড়ে আমার কোলে আসল।প্রতিবার আসার সময় ওদের জন্য চকলেট নিয়ে আসতাম। সভাবতই ওরা আমার থেকে চকলেট চাইল।আমিও বগুড়া থেকে নিয়ে আসা চকলেটগুলো ওদের সবার মাঝে ভাগ করে দিলাম। এরপর নানুবাড়ির ভিতর এ যাওয়ার পর মামা-মামী,সমবয়সী মামাতো ভাই-বোন ও বড় ভাই-বোনদের সাথে কুশল বিনিময় করলাম।ঠিক ২টার দিকে পৌছে গেছিলাম। গোসল করে ফ্রেশ হয়ে এসে সবাই মিলে একত্রে খাওয়া-দাওয়া করলাম। যৌথ পরিবার হওয়ায় নানীবাড়ির সবাই এখনও একত্রেই সবকিছু করে।যদিও এখনকার সময়ে যৌথ পরিবার পাওয়া দুষ্কর। তবুও গ্রাম গঞ্জে কিছু কিছু পরিবারের লোকজন এখনও যৌথভাবে থাকে। খাওয়া শেষে রেস্ট নিয়ে বিকালবেলা সবাইমিলে বাড়ির বাহিরে গিয়ে পায়ে হেটে গ্রামটা ঘুরলাম।
তারপর সন্ধ্যায় সবাই একত্রে টিভি দেখতে বসলাম। এরপর ৯টায় খাওয়া-দাওয়া শেষে যে যার মতো ঘুমাতে গেলাম। নানুবাড়িতে গিয়ে ১ম দিনটা এভাবে কেটে গেল। আজ আপাত এতটুকুই।
আপনার লিখাটি পরে মনে হলো আমি নানা বাড়িতে চলে আসছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভালো লিখেছেন আপনার নানা বাড়ির ঘটনা সম্পর্কে। ধন্যবাদ আপনাকে । আপনার মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার নানা বাড়ির অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit