বাংলার সৌন্দর্য মূলত গ্রামীণ প্রকৃতিতেই বিদ্যমান। গ্রামীণ প্রকৃতির সৌন্দর্যের জন্য বাঙালিরা হয়তো বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছ থেকে কদর পেয়ে থাকে। কারণ শহুরে সৌন্দর্য তো বিশ্বের প্রায় সকল দেশে বিদ্যমান রয়েছে। আর আমি বেশিরভাগ সময় সাধারণত শহরাঞ্চলে কাটাই। এজন্য গ্রামীণ সৌন্দর্য দেখার আগ্রহ আমার মধ্যে একটু বেশি কাজ করে।তাইতো সময় সুযোগ পেলেই গ্রাম দেখার জন্য ঘুরতে বেরোয়। সেটা হোক বন্ধু-বান্ধব কিংবা অন্য কেউ। যখন যার সঙ্গে সময় সুযোগ হয়ে ওঠে তার সঙ্গেই গ্রামীণ প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ছুটে চলে যায় প্রকৃতির নিকটে।

• কিছুদিন আগে আমি আমার বন্ধুর সঙ্গে বাইকে করে মহিমাগঞ্জ অঞ্চলে ঘুরতে যাই।সেখানে যাওয়ার সময় রাস্তার ফটোগ্রাফি করলাম। আশা করি ছবিটি আপনাদের ভালো লাগবে।

• রাস্তার পাশে একটা দোকানে টেডি পুতুলের দোকান দেখলাম।দোকানের টেডি পুতুল গুলো দেখতে ভালো লাগছিলো এজন্য ছবিটি উঠালাম। আশা করি ছবিটা আপনাদেরও পছন্দ হবে।

• উপরোক্ত ছবি দুটির একটি প্রাইমারি স্কুলের এবং অপরটি ওই স্কুলের পাশের একটি পুকুরের।রাস্তা দিয়ে বাইকে করে যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে ওই স্কুলের সামনে বাইক দাঁড় করিয়ে কিছুক্ষণ সেখানে ঘুরলাম এবং ছবি দুটো উঠালাম।এই ছবি দুটোর মধ্যে পুকুরের ছবিটা আমার বেশি ভালো লেগেছে।

• উপরের ছবিটি একটি ফুলের।বসন্তকাল মানেই নানান ধরনের ফুল ফোটার সময়।ফুলটি পরিপূর্ণ রূপে ফুটে উঠেছে।যার ফলে এর সৌন্দর্য পরিপূর্ণ ভাবে ফুটে উঠেছে। আশা করি ছবিটা আপনাদেরও ভালোই লাগবে।

• বসন্ত ঋতুকে যে সকল ফল পাওয়া যায় তার মধ্যে বড়াই অন্যতম।বড়াই আমি খেতে খুবই পছন্দ করি।উপরের ছবিটি বড়াই এর গাছের।যদিও গাছটিতে এখন কোনো বড়াই নেই।গাছটি ছোট হওয়ায় এবং গ্রামীণ অঞ্চল হওয়ায় দুষ্ট ছেলে মেয়েরা বরাইগুলো খেয়ে শেষ করে দিয়েছে।ছবিটা বেশ ভালই ছিল।

• উপরের ছবিটি সদ্য আবাদ করা ধান ক্ষেতের।হালকা রোদের উষ্ণতায় ধান ক্ষেত দেখতে বেশ ভালই লাগছিল।এজন্য ফ্রেমে বন্দী করে নিলাম।

• উপরের ছবিটি ধানের ক্ষেতে পানি দেয়ার মেশিন থেকে পানি পড়ার দৃশ্যের।ছোটবেলায় এই মেশিন গুলোতে গোসল করতে যেতাম।দৃশ্যটি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।

এই ছিল আমার সম্পূর্ণ ফটোগ্রাফি পোস্টটি।আজ আপাতত এটুকুই।আবারও পরবর্তী সময়ে নতুন কোনো কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো। এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং কাছের মানুষদের খেয়াল রাখবেন।