চিকলি ওয়াটার পার্কে ভ্রমণ

in hive-129948 •  last year 
" আজ বুধবার - ১০ই জ্যৈষ্ঠ - ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৪,মে - ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ "

মার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।

Picsart_23-05-24_02-42-47-264.jpg

আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আর আজকের পোস্ট হচ্ছে রংপুরের চিকলি ওয়াটার পার্কে ভ্রমণের বিষয় নিয়ে। আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন আমি ভ্রমণ করতে খুবই পছন্দ করি। আর তাই মাঝে মাঝেই আমার প্রিয় বাইকটি নিয়ে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করে বেড়াই। মন যখন যেখানে খুশি সেখানেই ছুটে বেড়াই। হয়তো কখনো সে দূরত্ব হয় ১০০ কিলোমিটার, ৫০০ কিলোমিটার, আবার কখনো ১৪৫০ কিলোমিটার। আর এই ১৪৫০ কিলোমিটার হচ্ছে আমার বাইক ভ্রমণের সর্বোচ্চ রেকর্ড। তবে আমার বাড়ি থেকে চিকলি ওয়াটার পার্ক মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে। তাই এই ভ্রমণ আমার হাতের কাছেই মনে হয়। ইচ্ছে করলে যখন তখন ঘুরে আসতে পারি।

যাই হোক রংপুর চিকলি ওয়াটার পার্ক আমাদের রংপুর বিভাগে দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই এখানে অনেকেই সপরিবারে এসে মনোরম পরিবেশে সময় কাটিয়ে যায়। আমার কাছে এই চিকলি ওয়াটার পার্ক ভীষণ রকম ভালো লাগে। তাই আমি বেশ কয়েকবার তো গিয়েছি, তাই এবার পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আর সেখানে ঘুরে বেড়িয়ে আমাদের এতটাই ভালো লেগেছিল যে, কখন যে বিকেল থেকে রাত হয়ে গিয়েছে তা বুঝতে পারিনি। দিনের বেলায় এই চিকলি ওয়াটার পার্কে সৌন্দর্য একরকম, আর রাতের বেলায় সৌন্দর্য আরেকরকম। আমার কাছে দিন ও রাত দুবেলার সৌন্দর্যকে ভীষণ রকম ভালো লেগেছিল।

IMG_20230524_023210.jpg

IMG_20230524_023824.jpg

চিকলি ওয়াটার পার্কে রেস্টুরেন্টের পাশে একটি ছোট পুকুর রয়েছে, যেখানে অসংখ্য গোল্ডফিশ ছেড়ে দেয়া ছিল। সেখানে হাত বাড়াতেই গোল্ডফিশ গুলো মনে করতো তাদের বোধহয় খাবার দেয়া হবে। যার কারনে পানিতে হাত বাড়ানোর সাথে সাথে অসংখ্য গোল্ডফিস হাতের কাছে এসে ঘোরাঘুরি করত। লাল, ও সাদা কালো রঙের গোল্ড ফিস গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আমার ছেলে ও মেয়ে এরকম দৃশ্য দেখে সত্যিই অনেক অনেক আনন্দ পেয়েছিল।

IMG_20230524_023636.jpg

IMG_20230524_023533.jpg

IMG_20230524_023353.jpg

চিকলি ওয়াটার পার্কে ছোট ছোট সোনা মনিদের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাইডার্স এর ব্যবস্থা রয়েছে। তারা এই রাইডার্স গুলোতে চড়ে ভীষণ রকম আনন্দ উপভোগ করতে পারে। আমার ছেলে ও মেয়েকে হাতেগোনা কয়েকটি রাইডারে চড়িয়েছিলাম। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের একটি ভিডিও গেম ছিল, যে মোটর সাইকেলে চড়ে আমার ছেলে খুব খুশি হয়েছিল। আমি ভাবতেও পারিনি আমার ছেলে ভিডিও গেমের মাধ্যমে এই মোটরসাইকেল চালাতে পারবে।

তবে তার মোটরসাইকেল চালানোর কলা কৌশল দেখে সত্যিই আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এতোটুকু মানুষ কিভাবে ভিডিও গেম এর মাধ্যমে অনায়াসে মোটরসাইকেল পরিচালনা করছিল। আমার ছেলে মোটরসাইকেল চালানোর পরে লটারির মাধ্যমে পুতুল জিতে নেওয়ার খেলাটি খেলতে চেয়েছিল। তবে সে ছোট মানুষ হওয়ার জন্য তার পরিবর্তে আমি এই লটারিটি খেলেছিলাম, তবে দুর্ভাগ্য হলো এই আমি কোন খেলনাই জিতে নিতে পারিনি। শুধু শুধু ৫০ টাকা করে দুইটি টিকিট ১০০ টাকায় হেরে গেলাম।

IMG_20230524_023234.jpg

IMG_20230524_023800.jpg

IMG_20230524_023718.jpg

এরপর আমরা অনেক ঘোরাফেরা করে চিকলি ওয়াটার পার্কে সময় কাটানোর পরে, চা খেয়ে কিছুটা ক্লান্তি দূর করার জন্য চায়ের স্টলে চলে গিয়েছিলাম। আর সেখানে গিয়ে দেখি তারা খুবই স্বাদের তান্দুরি চা বিক্রি করছিল। আমার কাছে তান্দুরি চা খেতে দারুন লাগে। তাই আমরা পরিবারের সকলে মিলে তান্দুরি চায়ের অর্ডার করেছিলাম। সকলে মিলে চা পান করে আমাদের ক্লান্তি দূর করেছিলাম। এরপরে আবারো ঘোরাফেরা করে অনেক ফটোগ্রাফি করেছিলাম। আর তা থেকে কিছুটা ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে, চিকলি ওয়াটার পার্কে কাটানো সুন্দর সময় টুকু তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।



আশা করি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkPKDYqZPTyz3HQnPBAZYA84k8k89ixkhuUsFjZkgWkC1gjU36M1oU8J7FbJUoPMtjB5EHLD1usXZox8d6boJGJdTa7jANjx37k.png

আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

3q52Dkr5nBe3kDiHrk4F3qdzX6E5VuVcCcF7TDQDco37AUsMDxK7aJ1uasvrAaBSP6D1NgNuBSX2m.gif

3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3CeSsa63mzHQexuvWRDgxAQmHZjMKhFaYGe2ubQmiC33SnsVy3TGA7BbZJiqfXWxLCKhiShcGVU.png

Picsart_22-12-05_20-41-43-208.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

চিকলি ওয়াটার পার্ক ভ্রমণ নিয়ে সুন্দর একটি আর্টিকেল আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই। যেনে ভাল লাগলো আপনি ঘুরতে পছন্দ করেন। ঘুরাঘুরি করা মানে নিজেকে রিফ্রেশ করা। ঠিক বলেছেন রংপুরের অন্যতন দর্শনীয় স্থান এখন চিকলি ওয়াটার পার্ক। যখন চিকলি বিল নামে ছিল তখনও মানুষ যেত। চকলি বিল থেকে ওয়াটার পার্ক হওয়ার পর দর্শর্নার্থী বেড়েছে। পোস্টে দেওয়া ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে। শুভ কামনা আপনার জন্য।

আপু, ঘুরে বেড়ানো আমার একপ্রকার শখ বলতে পারেন। চিকলি ওয়াটার পার্কে আমাদের কাটানো মুহূর্তটুকু খুবই সুন্দর ছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

বাহ বেশ সুন্দর তো এই পার্ক। এর ভিতরের পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে খুবই শান্ত পরিবেশ। এমন সুন্দর জায়গায় বাচ্চাদের নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে। গোল্ড ফিস গুলো দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। এছাড়া বাচ্চাদের খেলার বিভিন্ন ধরনের রাইডার্স রয়েছে দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো। ঘুরাঘুরি করে আপনারা সবাই তান্দুরি চা খেয়েছেন এটা দেখে তো খুব খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ ঘোরাঘুরি করার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ আপু চিকলি ওয়াটার পার্ক দেখতে ভীষণ সুন্দর। তাই সেখানে কাটানো সময়টুকু দারুন লেগেছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

মিতা আপনি চিকলি ওয়াটার পার্কে ভ্রমণ করতে গিয়ে চমৎকার মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। আসলে পরিবার নিয়ে মাঝে মাঝে বাইরে কোথাও গিয়ে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। চমৎকার লিখেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ‌।

মিতা, আমি মাঝে মাঝে আমার পরিবারসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াই। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

নতুন একটি জায়গা সম্পর্কে অবগত হতে পারলাম আপনার জন্য। আজ আপনি আমাদের মাঝে অসাধারণ একটি পার্ক সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন আমাদের মাঝে এবং ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে বুঝতে পারলাম খুব সুন্দর আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন পরিবারের সাথে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, খুব সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।