শিক্ষকের জন্য ফুলের তোড়া

in hive-129948 •  6 months ago  (edited)
" আজ সোমবার ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে মে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ "

মার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।

Picsart_24-05-20_16-52-14-780.jpg

আজ আবারও ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। অনেকদিন হয়ে গেল আমি খুবই ব্যস্ততায় দিন কাটাচ্ছি। আর হ্যাঁ এতটাই ব্যস্ততায় দিন কাটাচ্ছি ঠিকঠাকভাবে খাবারও সময় পাচ্ছিনা। আর এই ব্যস্ততার মূল কারণ হচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। কেননা আগামীকাল আমাদের কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার খালাতো বোনের হাজবেন্ড উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী।

তিনি অবশ্য কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার রানিং চেয়ারম্যান, এছাড়াও তিনি কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। যাইহোক এই দুলাভাইয়ের জন্য প্রতিদিন আমার খালাতো বোন ঘুম থেকে উঠেই ফোন দিয়ে তার বাড়িতে ডেকে নেয়, দুলাভাইয়ের সাথে বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনী প্রচারণার কাজে যাওয়ার জন্য। আর এক প্রকার বাধ্য হয়ে আমাকেও যেতে হয়। কেননা এই উপজেলা চেয়ারম্যান দুলাভাইকে আমার জীবন চলার পথে সব সময় কোন না কোন কাজে প্রয়োজন পরে।

আর এজন্য আমিও মন প্রাণ থেকে চাই, আমার দুলাভাই যেন গতবারের মতো এবারও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়। যাই হোক আজ আমি আমার ব্যস্ততা নিয়ে অনেক কথাই বলে ফেললাম। এবার আসি মূল কথায়, এত ব্যস্ততার মাঝেও আমার মেয়ে আমাকে ফুলের দোকান থেকে কিছু গোলাপ ফুল কিনে আনতে বলেছিল। আর সেই ফুল কিনতে গিয়েই আমার আজকের আয়োজন।

IMG-20240520-WA0005.jpg
IMG-20240520-WA0008.jpg

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন, আমার একটি লক্ষ্মী মেয়ে রয়েছে। আর সেই মেয়ে ক্লাস সেভেনে পড়ে। যার কারণে স্কুলের এক টিচারের কাছে আমার মেয়ে গণিত প্রাইভেট পড়ে। তার নাম সানোয়ারুল ইসলাম। আর আজ সানোয়ারুল স্যারের জন্মদিন, তাই আমার মেয়ে, তার স্যার কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য কিছু গোলাপ ফুল কিনে আনতে বলেছিল। সেজন্যই মূলত ফুলের দোকানে গিয়েছিলাম।

IMG-20240520-WA0009.jpg
IMG-20240520-WA0000.jpg

আমি ফুলের দোকানে গিয়ে অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর ফুলে তোড়া দেখেছিলাম। তবে সেই ফুলের তোড়াগুলো কে বা কারা অর্ডার দিয়ে গিয়েছিল। যার কারনে অনেকগুলো ফুলের তোরা তৈরি করে রেখেছে দোকানদার ভাই। তবে আমি অতগুলো ফুল কিংবা ফুলের তোরা কিনতে যাইনি। কেননা আমার মেয়ে অল্প কিছু ফুল কিনতে বলেছিল। তবে হ্যাঁ, ফুলের তোড়া গুলো দেখে আমার এতটাই ভালো লেগে গিয়েছিল, তাই আমিও ছোট্ট একটি ফুলের তোড়া কেনার চিন্তাভাবনা করেছিলাম।

IMG-20240520-WA0002.jpg
IMG-20240520-WA0004.jpg

যেই ভাবনা সেই কাজ, দোকানদার ভাইকে বললাম, আমাকে সুন্দর করে ছোট্ট একটি ফুলের তোড়া তৈরি করে দিন। দোকানদার ভাই কয়েকটি গোলাপ ও রজনীগন্ধা মিলে ছোট্ট সুন্দর একটি ফুলের তোড়া আমাকে তৈরি করে দিয়েছিল। তবে যখন দোকানদার ভাই ফুলের তোড়া তৈরি করছিল, তখন আমি দোকানে থাকা সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি করাতে ব্যস্ত ছিলাম। যখন ফুলের তোরা তৈরি হয়ে গিয়েছিল, তখন আমি তাকে ফুলের তোড়ার দাম জিজ্ঞেস করতেই কিছুটা অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কেননা এত সুন্দর একটি ফুলের তোড়া, শুধুমাত্র ১০০ টাকাতেই দিয়ে দিল। এত অল্প টাকাতেও মানুষের মনকে খুশি করা যায় তা ভাবাই যায় না।

IMG-20240520-WA0007.jpg
IMG-20240520-WA0006.jpg

আমি যখন ফুলের তোড়াটি বাসায় নিয়ে এসেছিলাম, তখন আমার মেয়ে তোরাটি দেখে ভীষণ খুশি হয়েছিল। তাই প্রাইভেটে যাওয়ার সময় ফুলের তোড়াটি নিয়ে গিয়েছিল তার প্রিয় স্যারকে দেয়ার জন্য। আমার বিশ্বাস সানোয়ারুল স্যার তার ছাত্রীর হাতে ফুলের তোড়ার মাধ্যমে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পেয়ে খুবই খুশি হয়েছে।



আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkPKDYqZPTyz3HQnPBAZYA84k8k89ixkhuUsFjZkgWkC1gjU36M1oU8J7FbJUoPMtjB5EHLD1usXZox8d6boJGJdTa7jANjx37k.png
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

3q52Dkr5nBe3kDiHrk4F3qdzX6E5VuVcCcF7TDQDco37AUsMDxK7aJ1uasvrAaBSP6D1NgNuBSX2m.gif

3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3CeSsa63mzHQexuvWRDgxAQmHZjMKhFaYGe2ubQmiC33SnsVy3TGA7BbZJiqfXWxLCKhiShcGVU.png

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPzTvQMACwKNFZQJ7pxggdSjJrTwUPfvw5ACADZkgZp15JNSrbbA8JDhreM215...mPystgVQensArHCRKjKxdTTn4z8CzJ75SPGztHTdSBvh83QCCwXGdUrNq1FfjRoQgWa5hQQVU76dcRdC6dVc5ZVufX6xZjgEMFGu7VP2WDvjx9TwsukxXrdyyg.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

দোয়া করি আপনার দুলাভাই যেন নির্বাচনে জয়ী হোন। যেহেতু আপনার বিপদের বন্ধু অবশ্যই তার জন্য একটু সময় দিতে হবে। আপনি যে পরিশ্রম করতে চলেছেন সেই সফলতা যেন আসে। আর মেয়ের টিচারের জন্য খুব সুন্দর একটি ফুলের তোড়া বানিয়ে নিলেন। ছোট আকারের ফলে তোড়া দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। বাবারা এমনি সব সময় মেয়েদের আবদার গুলো পূরণ করতে চেষ্টা করেন।

আপু, আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার মেয়ের ছোটখাটো আবদার গুলো পূরণ করতে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আসলে ভালোবেসে কাউকে এক টাকা দিলেও খুশি হয়। আর দোকানের ফুলের তোড়া গুলো দেখতে অনেক সুন্দর। আসলে ভাইয়া বর্তমান সব কিছু যে হারে দাম সেই তুলনায় ফুলের তোড়াটির দাম কম নিয়েছে। সত্যি ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে এমন গিফট পেলে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।

আমার মেয়ের কাছ থেকে ফুলের তোড়া গিফট পেয়ে তার স্যারও ভীষণ খুশি হয়েছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। বেশ দারুণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।মেয়ের শিক্ষকের জন্য খুব সুন্দর একটি ফুলের তোড়া বানিয়ে নিয়েছেন। ফুলের তোড়াটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে।আসলে ফুল এমন একটি জিনিস যেটা পেলে সবাই অনেক বেশি খুশি হয়। আপনার করা ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম প্রত্যেকটি ফুলের ফটোগ্রাফি অসাধারণ লেগেছে।ধন্যবাদ পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।

ঠিক বলেছেন আপু, আমার মেয়ের শিক্ষক ফুলের তোড়া পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনি তো তাহলে এখন বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। দোয়া করি যেন আপনার দুলাভাই এবারও নির্বাচনে বিজয়ী হোন। আপনার মেয়ে তার শিক্ষকের জন্মদিন উপলক্ষে দারুন একটি উপহার দিয়েছে। আমার মতে ফুলের চেয়ে বড় উপহার আর কিছুই হতে পারে না। ফুলের তোড়াটা ছোট হলেও দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। শিক্ষকের জন্মদিনে একদম পারফেক্ট একটা উপহার।

হ্যাঁ আপু, ফুলের তোড়াটি ছোট হলেও দেখতে খুবই সুন্দর ছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ফুলের তোরা আমারও খুব ভালো লাগে ভাইজান। কারণ এগুলো খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করা ও সাজানো থাকে। যাইহোক আপনি ফুল কিনতে গিয়ে দেখেছেন কে বা কারা অনেকগুলো ফুলের অর্ডার করেছে। এবং তার মধ্য থেকে আপনিও কিছু কেনার চেষ্টা করেছেন যেখানে ১০০ টাকা খরচের মধ্যে বেশ দারুন ফুলের তোড়া হয়ে গেছে। যায়হোক অনেক কিছু কিন্তু জানতে পেরেছি আপনার এই ফুলের তোড়া কেন কিসের জন্য কেনা হচ্ছে। আপনার জন্য আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল এবং আপনাদের আশা যেন পূরণ হয় সেই দোয়া রইল।

১০০ টাকায় এত সুন্দর ফুলের তোরা পেয়ে আমি কিছুটা অবাক হয়েছিলাম ভাই। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার দুলাভাই যেহেতু উপজেলা চেয়ারম্যান, তারমানে তো আপনার অনেক পাওয়ার আছে ভাই। হা হা হা... যাইহোক, আপনার মেয়ে তার শিক্ষককে ফুলের তোড়া দেবে বলে আপনি দেখছি বেশ সুন্দর একটা ফুলের তোড়া এনে দিয়েছেন । তবে ১০০ টাকা হিসেবে কিন্তু আসলেই বেশ সুন্দর হয়েছে ফুলের তোড়া টি। আমাদের এখানে হলে এর দাম আরো বেশি হত।

আমার কাছেও তাই মনে হয়েছে ভাই, ১০০ টাকা হিসেবে ফুলের তোড়াটি খুব সুন্দর ছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।