শুভ জন্মদিন আমাদের সবার প্রিয় দাদা।আপনার জীবনের সকল অমঙ্গল দূর হয়ে জীবনের শেষ অবদি পর্যন্ত পরিবারের সবার মাথার ছায়া হয়ে সুস্থ ও ভালো থাকেন। আমার প্রিয় কমিউনিটির ভাই বোনেরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। সবাই সবসময় ভালো থাকেন আমি এই দোয়াই করি। আমিও আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আসলে যতই দূরে থাকিনা কেন নতুন নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হওয়ার চেষ্টা করি। আসলে এই কমিউনিটিতে আসার পর ফটোগ্রাফি করা এখন আমাদের সবার একটি নেশায় পরিনত হয়েছে। যে যেখানে যাইনা কেন যাই দেখি ইচ্ছে হয় মোবাইলে ক্যাপচার করে রাখি। যদিও মোবাইলে কোন জায়গা নেই তারপরও মনে মানে না। আসলে এ যেন এক নেশা। আর আমার মনে হয় এ নেশা শুধু আমার একা নয় দেখা যায় আমার আশে পাশের সবার এই নেশা রয়েছে। এতক্ষনে নিশ্চই সবাই বুঝে গেছেন যে আজ আমি কি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।

হ্যাঁ আমার প্রিয় বন্ধুরা আজও আপনাদের জন্য রয়েছে আমার আরও একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট। যতই বলি যে আর ফটোগ্রাফি করবো না আগে মোবাইল খালি করে নেই। কিন্তু মন কি আর মানে? কোথাও গেলে হাত আর মন যেন ছটফট করে। ঐ যে নেশা। এই নেশায় কোন সুন্দর জিনিস দেখলে বা যেকোন সুন্দর জায়গায় গেলে ফটোগ্রাফি করার লোভ ধরে রাখতে পারি না। হ্যাঁ বন্ধুরা যেখানেই যাই কিছু না কিছু ফটোগ্রাফি করি। আজ একটি জরুরী কাজে বসুন্ধরা শপিং মার্কেটে গিয়েছিলাম। যদিও ঘুরতে নয় কাজে গিয়েছিলাম। আমার কাছে বসুন্ধরা শপিং মার্কেটে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। আগে যদিও যাওয়া হতো। কিন্তু এখন আর তেমন যাওয়া হয় না। আসলে সেখানে যেতে বিকেলে ভালো লাগে। কিন্তু আজ সকালে একটি প্রয়োজনীয় কাজে গিয়েও মনকে মানাতে পারিনি। সাথে সাথে মোবাইল বের করে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি। আর তাই তো সেগুলো থেকে আজ কিছুটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এলাম। তাহলে চলুন বন্ধুরা আজ আমার তোলা বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স মার্কেটের কিছু ফটোগ্রাফি দেখে আসি।

প্রথমেই বসুন্ধরা মার্কেটে যখন ঢুকলাম তখন প্রথমে ফটোগ্রাফি করার কথা খেয়াল ছিল না। যখন এক্সে লেটার সিরির কাছে গেলাম \মার্কেটের উপরে ওঠার জন্য তখন মনে পড়ে গেল কিছু ফটোগ্রাফি করে নিতে। আসলে আমি ছিলাম দৌড়ের উপর আর যখনি মনে পড়ে গেল যে কিছু ফটোগ্রাফি করবো সাথে সাথে দু একটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম। অবশ্য মার্কেটে তখন সেইরকম মানুষ বেশী ছিল না। তখন ছিল। একটু নিরিবিলি।

এরপর এর পরের ফ্লোরে যখন উঠলাম তখন দেখলাম আইসক্রিম বিক্রি করছে। আর আমি এই মার্কেটে গেলেই এই আইক্রিম খাই। কিন্তু ভাবলাম যে আগে কাজ শেরে নামার সময় খাবো।আর এই আইসক্রিমতো প্রতিটা ফ্লোরেই পাওয়া যায়। তাই একটা ফটোগ্রাফি করে মোবাইলে রেখে দিলাম।মনে হচ্ছিল প্রতিটা ফ্লোরের প্রতিটা কিছুর ফটোগ্রাফি করি।আসলে এই মার্কেট এত বড় আর এত দোকান আর ঘুরে ঘুরে দেখার কিছু আছে যা সারাদিন ঘুরেও ফটোগ্রাফি করে শেষ করা যাবে না।

এবার যেই ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেইটা হয়তো লেভেল থ্রী অথবা ফোর হবে। দেখতে পেলাম একদম নিরিবিলি মানুষজন কম বললেই চলে অবশ্য তখন বেলা বারোটা বাজে তাই হয়তো একটু কম মানুষ দেখা যাচ্ছে নয়তো এই মার্কেটে সবসময় লোকজন ও কেনাকাটা চলতে থাকে অবশ্য যখন মার্কেটে ঢুকছিলাম তখন মোটামুটি মানুষজন ঢুকতে দেখেছিলাম। যাই হোক আমি এই নিরিবিলি স্থানটির একটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম।

এরপর ফটোগ্রাফি করতে গিয়ে দেখি আমার সাথের মানুষগুলো আমাকে রেখেই চলে যাচ্ছে ওরা হয়তো মনে করেছে আমি সাথেই আছি। তাই আমি দৌড়ে ওদের ধরার জন্য পেছন দিয়ে ওদের একটি ফটোগ্রাফি করেছি। যা দেখে ওরা হাসতে হাসতে শেষ। আসলে মাঝে মাঝে ফটোগ্রাফির মাঝে অনেক আনন্দও পাওয়া যায়।অনেক ফটোগ্রাফি দেখে সবাই মিলে একটু হাসা যায়। তবে বেশী বেশী ফটোগ্রাফি করতে পারিনি এটাই খারাপ লেগেছে। তার মধ্যে আবার মোবাইলে কম চার্জ কম ছিল।

এরপর আপনাদের সাথে যেই ফটোগ্রাফি করছি সেইটা হলো মার্কেটের অষ্টম তলায় ষ্টার সিনেপ্লেক্স এ গিয়ে ছিলাম অবশ্য এর মাঝে আরও কয়েটা ফটোগ্রাফি আছে যা অন্যদিন আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো বলে রেখে দিয়েছি। যাই হোক এটি হলো ষ্টার সিনেপ্লেক্সে সবাই মুভি দেখার জন্য টিকিট কাউন্টারে সবাই টিকিট কাটছে। আমাকে অবশ্য সবাই বলেছিল মুভি দেখার জন্য আমি হাতে সময় নিয়ে যাইনি। তাই বলেছি অন্য আরেকদিন যাবো সকাল সকাল একে বারে মুভি দেখে সারাদিন ঘুরে আসবো। জানিনা আধো পাবো কিনা সেই সময়। তবে ভালো মুভি হলে যাবো।ষ্টার সিনেপ্লেক্সে মুভি দেখতে ভালোই লাগে।

এবার যেই ফটোগ্রাফিটা করছিলাম সেইটা হলো ষ্টার সিনেপ্লেক্সে কি কি মুভি চলে তার অনেকগুলো ভ্যানার শো করা থাকে। আর এতে করে অনেকে কি মুভি দেখবে তা ঠিক করে নিতে পারে। আর সবসময় আমি সেখানে গেলে দেখি এই পোস্টর বা ভ্যানারগুলোর সাথে সবাই অনেক ধরনের স্টাইল করে এই ছবির পোস্টারগুলোর সাথে ছবি তোলে।আগে প্রায় যাওয়া হলো সেখানে।আমিও যখন যেতাম তখন এগুলো ফটোগ্রাফি করতাম আজও করেছি।