বেগুন আলু দিয়ে মাছের পেটির সুস্বাদু রেসিপি

in hive-129948 •  6 months ago  (edited)

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সকলের দোয়ায় এই কমিউনিটিতে আপনাদের সবার মাঝে এসে আলহামদুল্লিহ্ অনেক ভালো আছি। আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাই আপনাদের জন্য আমার সামর্থ অনুযায়ী ভালো কিছু পোস্ট করার জন্য। জানিনা কতটুকু আমি পেরেছি। তবে আমার পোস্টগুলোতে আপনাদের এত মিষ্টি মিষ্টি মন্তব্য ও উৎসাহ পেয়ে এতটাই খুশি হয়ে যাই যে, আপনাদের বোঝানোর ক্ষমতা হয়তো আমার নেই। তবে আমি এখানে আপনাদের সাবর মাঝে এসে কিছুটা কিছু বলবো না অনেকখানি শিখতে পেরেছি। আর শেখার কোন শেষ নেই তাই আমাকে আরও ভালো করে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। আর সেজন্য সবার মাঝে থেকে আমাকেও কিছু না কিছু এই কমিউনিটিতে শেয়ার করে কাজ করে যেতে হবে।

image.png

image.png

image.png

আজও আমি আপনাদের সবার জন্য প্রতিদিনের মতো একটি ব্লগ নিয়ে আসলাম। আসা যাক রেসিপির কথায়। প্রতিদিনি যা রান্না করি তখনি আপনাদের কথা খুব মনে পড়ে। ভাবী তৈরি করা রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করি। কিন্তু সব সময় তো আর রেসিপি শেয়ার করা যায় না। আর তাই আজ আমি একটি ইউনিক রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আপনারা কেউ বড় মাছের পেটি কলিজা বা পটকা রান্না করে খেয়েছেন কিনা জানিনা। আমি কিন্তু সেই ছোট বেলা থেকে এই মজার খাবার গুলো পছন্দ করি। আমাদের মাঝে মাঝে রান্না করে খাওয়া হয় এই মজার খাবারটি। আজও রান্না করলাম তবে সবজী দিয়ে রান্না করেছি। আর রান্নাটি খেয়ে এতই ভালো লেগেছে যে শেয়ার না করে থাকতে পারলাম না। আমি মাছের পেটি কলিজা ও পটকা আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করেছি। পটকা দিয়ে সবজি রান্না করেছি । আর পেটি আর কলিজা আলাদা ভুনা করেছি। আর আজ আমি সবজি দিয়ে মাছের পটকার রেসিপিটি শেয়ার করতে যাচ্ছি। কোন এক সময় আবারও মাছের পেটি আর কলিজা ভুনার রেসিপিটি নিয়ে আসবো। আমি জানি আপনাদের কাছে আমার আজকের সবজি দিয়ে মাছের ইউনিক রেসিপিটি খুব ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আপনাদের নিয়ে যাই আজ আমার মাছের পটকার সাথে সবজি দিয়ে ইউনিক মজাদার রেসিপিটি ব্লগটিতে।

বেগুন আলু দিয়ে মাছের পেটির সুস্বাদু রেসিপি

image.png

প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ

রেসিপির বিবরণ
মাছের পটকা১/২ কেজি
বেগুন১/২কেজি
মূলা১/২কেজি
আলু২৫০গ্রাম
কাঁচা মরিচ৩-৪টি
রাধুনীপরিমানমত
মরিচ গুড়াপরিমান মত
হলুদ গুড়াপরিমান মত
আদা, রসুন ও জিরা বাটাপরিমান মত
তেলপরিমান মত
লবনপরিমান মত
ধনিয়াপাতা কুচিপরিমান মত
লেবুর রস৩-চা-চামচ

প্রস্তুত প্রণালী

ধাপ-১

image.png

image.png

image.png

image.png

image.png

image.png

প্রথমে রেসিপির সকল উপকরন ঘুছিয়ে নিলাম।

ধাপ-২

image.png

image.png

এবার চুলায় পাত্র বসিয়ে তাতে তেল দিয়ে তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিতে হবে।

ধাপ-৩

image.png

image.png

এবার পেঁয়াজগুলো লাল লাল হলে তার মধ্যে একে এক হলুদ গুড়া,মরিচ গুড়া, আদা রসুনবাটা ও লবন দিয়ে দিতে হবে।

ধাপ-৪

image.png

image.png

এবার মসলাগুলোর মধ্যে সামান্য পানি দিয়ে মসলাগুলো ভালো করে কসিয়ে তেল ওঠা পর্যন্ত কসিয়ে নিতে হবে।

ধাপ-৫

image.png

image.png

এবার কসানো মসলার মধ্যে পরিমানমত রাধুনী দিয়ে দিতে হবে। অনেকে এটাকে জয়িন নামে চেনে এই রাধুনি তরকারীর স্বাদ বাড়িয়ে দেয় ও সুন্দর একটি ঘ্রান বের হয়। এবার রাধুনীটি দিয়ে একটু নেড়ে দিয়ে তার মধ্যে মাছের পটকাগুলো দিয়ে দিতে হবে।

ধাপ-৬

image.png
image.png

এবার পেটিগুলো মসলার সাথে ভালো করে কসিয়ে নিতে হবে।

ধাপ-৭

image.png

image.png

এবার তার মধ্যে মূলা ও আলুগুলো দিয়ে মাছের পটকাগুলোর সাথে কসিয়ে নিতে হবে। বেগুনটি কিছুক্ষন পর দিতে হবে। কারন বেগুন আগে দিয়ে গলে নরম হয়ে যাবে সেই কারনে মূলা ও আলুটাকে আগে কসিয়ে নিতে হবে।

ধাপ-৮

image.png

image.png

image.png

এখন সেই কসানো পটকা, মূলা ও আলুর মধ্যে বেগুনগুলো দিয়ে নেড়ে দিতে হবে।

ধাপ-৯

image.png

image.png

image.png

এবার সামান্য একটু পানি দিয়ে পানিটা শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে এবং তার মধ্যে কয়েকটা কাঁচামরিচ ও ধনেপাতাকুচিগুলো দিয়ে দিতে হবে।

ধাপ-১০

image.png

এবার কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে আরও কিছুক্ষন রেখে দিতে হবে।

ধাপ-১১

image.png

এবার যখন পানিটা টেনে আসবে এবং বুঝবো যে তরকারিটি নামানোর উপযুক্ত হয়েছে। তখন নামিয়ে ফেলতে হবে।

শেষ ধাপ

image.png

এবার রান্নাটি নামিয়ে গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশনের জন্য নামিয়ে নিতে হবে।

পরিবেশন

image.png

image.png

এবার গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশনের করতে হবে। এবার সবাই খেয়ে বললো অনেক স্বাদ হয়েছে। এবার আপনারা সবাই বলেন তো কেমন হলো আমার আজকের মাছের পটকা ও সবজি দিয়ে ইউনিক মজাদার রেসিপিটি? আমি আশা করবো আমার আজকের এই ইউনিক রেসিপিটি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। আর আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যের আশায় রইলাম।আজ তাহলে আপনাদের সকলের ভালোবাসা নিয়ে এখানেই আমার ব্লগটির শেষ করছি। আগামীতে আবারও নতুন কোন সুন্দর ব্লগ নিয়ে আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হবো ইনশাআল্লাহ্। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।সবাই ভালো থাকবেন।

পরিচিতি

আমি মাহফুজা আক্তার নীলা আমার ইউজার নাম @mahfuzanila আমার পছন্দ খুব ঘোরাঘুরি ভ্রমন করা ,ছবি আঁকা, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে,ফটোগ্রাফি,ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও পেইন্টিং করতেও দারুণ পছন্দ করি। কোন নতুন নতুন কিছু দেখলে শিখতে পছন্দ করি। আর বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে,মন খারাপ থাকলে গান শুনতে ও সবচেয়ে বেশী ঘুমাতে।

❤️ধন্যবাদ সকলকে❤️

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png

মজার খাবার খেতে আমিও খুব পছন্দ করি তবে রান্না করে খেতে খুবই কষ্ট লাগে তারপরও বাধ্য হয়ে খেতে হয় ।কেউ যদি রান্না করে খাওয়াত তাহলে আরো মজা করে খেতে পারতাম । আপনার রেসিপিটি দেখে তো ভালই লাগছে । এধরনের খাবার কখনো খাওয়া হয়নি । খেতে মনে হয় ভালই হয়েছিল ।

মজার খাবার খেতে আমিও খুব পছন্দ করি। আর তার সাতে মজার মজার রান্না করতেও ভালো লাগে। হ্যাঁ আপু সত্যি রান্নাটি খেতেও অনেক ভালো লেগেছে। আপু আপনাকে একটি পরামর্শ দিতে পারি আপনি আমাদের বাসায় চলে আসেন তাহলে রান্না করতে হবে না। ধন্যবাদ আপু। সুন্দর সাবলীল মন্তব্য করার জন্য।

বড়ো মাছের পটকা,কলিজা,তেল খেতে আমারও ভীষণ ভালো লাগে তবে আপনার মতো এভাবে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি সবজি দিয়ে। বড়াও এমনিতেই ভাজা খেয়েছি অনেকবার।আপনার সবজি দিয়ে রান্না মাছের পটকা রেসিপিটি ভীষণ ভালো লাগলো।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী দারুন করে উপস্থাপন করেছেন। সব মিলিয়ে অসাধারণ সুন্দর লোভনীয় একটি রেসিপি আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।

আপু আপনি যেই ভাবেই খাবেন সবজি দিয়েও ভালো লাগবে আবার ভুনা করে খেলেও ভালো লাগবে। খেয়ে দেখবেন আশা করি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।

বেগুন আলু দিয়ে মাছের পেটির রেসিপি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে । বেগুন আলু ও মাছ দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়েছে। তবে কখনো মাছের পেটি দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়নি । আপনার রেসিপিটি দেখে খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। রেসিপির কালার টাও বেশ সুন্দর এসেছে। সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপু এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন অবশ্যই ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু বেশ সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

মুলা,বেগুন ও আলু দিয়ে মাছের পেটির দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। আলু বেগুন দিয়ে যে কোন খাবার রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আর এই রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজার হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

ঠিক বলেছেন আপু বেগুন আলু দিয়ে যে কোন খাবারও ভালো লাগে। আর রন্নাটিও খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে আপু।এত সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

বেগুন আলু দিয়ে মাছের পেটির খুবই সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। বেগুন আলুর তরকারি আমার কাছে খেতে বেশ ভালই লাগে। বেগুন আলু দিয়ে মাছের রেসিপিটা খুবই সুন্দরভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ।ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আমার কাছেও বেগুন আলু দিয়ে তরকারি অনেক ভালো লাগে। আপু আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।