আসসালামু আলাইকুম । আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই কেমন আছেন? আশা করি পৃথিবীর এই ভয়াবহ অবস্থার মধ্যেও সবাই ভালোই আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালোই আছি। তো আমরা সবাই ভাল থাকি ও সুস্থ থাকি সবাই সবার জন্য এই দোয়াই করি। আজ আমি নতুন করে আরও একটি ব্লগ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি। আজ আমি ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে একটি ব্লগ আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

আমরা সবাই একটার পর একটা মহামারীর ভেতর দিয়ে জীবন যাপন করছি। আজ এই সমস্যা তো কাল ঐ সমস্যা। আর এই সকল সমস্যাগুলোর মধ্যে বর্তমানে ডেঙ্গু একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রোগটির জন্য আমাদের সবার মাঝে আতংক বিরাজ করছে। কারন এই মূহুর্তে দেশের সবচেয়ে আতংকের নাম হলো ডেঙ্গু জ্বর। এই ডেঙ্গু শুধু ঢাকার মধ্যে নয়, এটি গ্রাম গঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আগের তুলনায় এবার ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহতা মনে হচ্ছে একটু বেশি।

যেমন আগের ডেঙ্গু জ্বরগুলোতে দেখা যেত ৫-৭ দিন পরে রোগীর অবস্থা আশংকা জনক অবস্থায় চলে যেত। কিন্তু বর্তমানে ১-২ দিনের মধ্যে রোগীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এখন বোঝা বড় মুসকিল কোনটা ডেঙ্গু জ্বর আর কোনটা ভাইরাস জ্বর। কারন এখনকার ভাইরাস জ্বর গুলোও অনেক জটিল হয়ে থাকে। ৭ দিনের নিচে নামতেই চায়না। আর এই সময়ের ভাইরাস জ্বর শরীরকে অনেক কাহিল করে ফেলে। আমিও কিন্তু এর ভূক্তভোগী। বেশ কয়েকদিন ভোগিয়েছে এই ভাইরাস জ্বর আমাকে। সে বিষয়ে আর একদিন আপনাদের সাথে ব্লগ শেয়ার করবো।

এখন বর্তমানে দেশের সকল হাসপাতাল গুলোতে অন্যান্য রোগীর তুলনায় ডেঙ্গু রোগী বেশী দেখা যাচ্ছে । হাসপাতাল গুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের সীট দিতে পারছে না। দেখা গেছে হাসপাতালের বারান্দায় অথবা বাহিরে থেকেও অনেক রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছে। হাসপাতালগুলোর ডাক্তার এবং নার্স তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে রোগীদের ভালো চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। ঢাকার হাসপাতাল গুলোর দিকে তাকালে বোঝা যায় যে কি করুন অবস্থা।

আমরা যদি ভয় না পেয়ে জ্বর আসার সাথে সাথে নিজের দিকে একটু খেয়াল করি এবং যত্ন নেই, তাহলে এই ভয়টাকে কিন্তু আমরা জয় করতে পারব। যেমন জ্বর এলেই আতংকিত না হয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে পরিপূন বিশ্রামে নিতে হবে। আর অনেক তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। যেমন -লেবুর শরবত, ডাবের পানি, ফলের জুস এবং ওরস্যালাইন । এই সকল খাবারের পাশাপাশি কিছুক্ষন পর পর প্রচুর পরিমানে পানি, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খেতে হবে। কারন ভিটামিন ডি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িযে তোলে। মনে রাখতে হবে আমরা যেন ভুলেও এসময় প্যারাসিটামল ছাড়া আর অন্য কোন ঔষধ সেবন না করি। প্রয়োজনে আমাদেরকে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

তো আজ এ পর্যন্তই। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের ও পৃথিবীর সবার সুস্থাতা কামনা করে আমার আজকের এই ব্লগটি এখানেই শেষ করছি। আগামীতে নতুন কিছু নিয়ে আবার উপস্থিত হবো আপনাদের মাঝে।