কেমন আছেন আমার প্রিয় সহযাত্রী ভাই বোনেরা? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আশা করি সবার দিনটা ভাল কেটেছে। আজকে আপনাদের সবার মাঝে আমার আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। অতি সপ্তাহের মত আজও আমি একটি ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আজ আমার ভ্রমণ পোস্ট দেখে আসি কেমন হয়েছে। আজ আমার ভ্রমণ পোস্টের বিষয় হলো সুবর্ণগ্রাম ঘুরতে যাওয়ার সপ্তম পর্ব।

গত পর্বে আমি আমরা বসে সবাই পিঠা আরো অনেক খাবার খাচ্ছিলাম সেখানে এসে আমার পোস্টের ষষ্ঠ পর্ব শেষ করেছিলাম।এরপর আমরা পিঠার সাথে আরো অনেক মজার মজার খাবার খেয়েছিলাম সেগুলোর ফটোগ্রাফি করতে ভুলে গিয়েছিলাম। এরপর দেখি আস্তে আস্তে বিকেল পার হয়ে যাচ্ছে। ওই যে বলে না সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না। সময় তার নির্ধারিত গতিতে চলবেই। তাই ভাবলাম আমাদেরও তো আর কিছু দেখার বাকি থাকলে দেখে নিতে হবে। তা নাস্তা খাওয়া শেষ করে সেখান থেকে উঠে আসলাম আরও নতুন কিছু দেখার জন্য। তখন আমরা যখন সবাই বলাবলি করছিলাম আর কি দেখার আছে সুবর্ণগ্রাম।

তখন ওখানে আমাদের মতো ঘুরতে যাওয়া এক ভাইয়া ও আপু বলল আমরা সাফারি পার্ক দেখেছি কিনা? সেখানে দেখার মত নাকি আরো অনেক কিছু আছে। সেই ভাইয়া ও তার ফ্যামিলি সুবর্ণগ্রাম নাকি আরো অনেকবার গিয়েছে। তাদের নাকি অনেক পছন্দের একটি জায়গা। আর তারা বলল আমরা নাকি আরো অনেক কিছু মিস করে গেছি। আসলে প্রথমে একবার গেলে এমনই হয় অনেক কিছু দেখা হয়ে ওঠে না। যাইহোক আরো একবার সময় পেলে সেখানে ঘুরতে যাওয়ার আশা আছে। এরপর আমরা সবাই মিলে সাফারি পার্ক দেখার জন্য যেতে থাকলাম।

এরপর সাফারি পার্কের কাছে গিয়ে দেখি সাফারি পার্ক বন্ধ করে দিচ্ছে। পরের দর্শনার্থীরা আর ভেতরে যেতে পারবে না। আমাদের মত আরও অনেক দর্শনার্থীরা সাফারি পার্ক দেখার জন্য ভিড় করে আছে। কিন্তু তারা শুনছিল না। কিছুতেই সাফারি পার্কের ভেতরে যেতে টিকেট আর কাউকে দেবে না। কারণ সেখানে স্টাফ বেশি ছিল না। সবাই ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিল। তাই তারা তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দিচ্ছিল। তখন ওখানে আমাদের মত অনেক দর্শনার্থীরা সেটা মেনে নিতে পারছিল না। কারণ আমরা সবাই ঈদের ছুটিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে আনন্দ করতে গিয়েছি। আর সুবর্ণ গ্রামের আরো একটি আনন্দের অংশ নাকি এই সাফারি পার্ক। এরই মাঝে যখন টিকেট কাটা নিয়ে গ্যাঞ্জাম হচ্ছিল তখন আমি ওপর থেকে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি যেখানে সাফারি পার্ক সেখানে উপরে একটা ব্রিজ দিয়ে যেতে হয় সেই জায়গাটা আমার অনেক ভালো লেগেছে।

ঔ

আর টিকেট না পাওয়ায় কেউ এ বিষয়টি মেনে নিতে পারছিল না। সুবর্ণগ্রাম ঘুরতে যাওয়া সকল দর্শনার্থী গ্যাঞ্জাম শুরু করে দিল। আর এই গ্যাঞ্জামের কথা শুনে সুবর্ণ গ্রামের কর্তৃপক্ষ এসে সবাইকে টিকেট ম্যানেজ করে দিল। আর বলল মাগরিবের সময় পর্যন্ত সবাই সাফারি পার্ক দর্শন করতে পারবে। তবে একটি শর্ত জনপ্রতি দুই থেকে তিনজন করে যেতে পারবে কারণ বেশি মানুষ হলে মাগরিব সময় বন্ধ করা যাবে না। তাই আমরা যারা ভিডিওগ্রাফি ও ফটোগ্রাফি করব শুধু সেই দুজনের জন্য টিকিট কাটলাম। আর আমরাও সাফারি পার্ক দেখার টিকেট পেয়ে গেলাম।

এরপর আমরা সবাই পরিদর্শন করার জন্য সাফারি পার্কের ভিতরে যেতে থাকলাম। আর এভাবে এখানে আমার আজকের সুবর্ণ গ্রামে ভ্রমণের সপ্তম পর্ব পোস্টটি আজকের মত শেষ করে দিলাম। সবাই ভালো সুস্থ থাকবেন। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।