রংপুর শহরে আগে ঘোরাঘুরি করার জন্য খুব কমই জায়গা ছিল, রংপুর বিভাগীয় শহর হওয়ার পর রংপুরে আরো নতুন নতুন অনেক ঘোরার জায়গা তৈরি হয়েছে তার মধ্যে চিকলি ওয়াটার পার্ক অন্যতম। এখন রংপুর শহরের মানুষ ঘোরাঘুরির জন্য অথবা সুন্দর কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করার জন্য এই চিকলি ওয়াটার পার্কেই যায়।

পরিবার অথবা প্রিয় জনকে সাথে নিয়ে সুন্দর কিছু মুহূর্ত পার করার জন্য চিকলি ওয়াটার পার্ক সত্যিই অসাধারণ একটি জায়গা। চিকলি ওয়াটার পার্কের পরিবেশ এতটাই সৌন্দর্যে সেখানে গেলে মন এমনি ভাল হয়ে যায়। আমি রংপুরে থাকলে কিছুদিন পরপরই বন্ধু অথবা পরিবার পরিজনসহ চিকলি ওয়াটার পার্কে যাই কিছু ভালো সময় অতিবাহিত করার জন্য।

চিকলি ওয়াটার পার্কের সব থেকে আকর্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে এখানে একটি কৃত্রিম পানির ফোয়ারা আছে যা দেখতে একদম আসল পানির ঝর্ণার মতই লাগে। তারপর চিকলি পার্কে আরো রয়েছে বিনোদনের জন্য স্পিডবোর্ডের ব্যবস্থা নাগরদোলা সহ ছোটদের খেলাধুলার জিনিস, আরো রয়েছে গেমিং জোন খাওয়া-দাওয়ার জন্য রয়েছে রেস্টুরেন্ট আর বসে বসে সময় কাটানোর জন্য লেকের পাশে বেঞ্চের ব্যবস্থা তো আছেই। সব মিলিয়ে চিকরি ওয়াটার পার্ক সত্যিই অসাধারণ একটি জায়গা।

এবার চিনলি পার্কে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনাটা কুড়িগ্রাম থেকেই করে রংপুরে গিয়েছিলাম। আমার সাথে ছিল @mahbubul.lemon মামা এবং @sadiahaque আপু, আরো ছিল মামি , মামাতো ভাই বোন এবং আমার আম্মু।

এটা হল চিকলি পার্কের প্রথম প্রবেশ দরজা, চিকরি পার্কে প্রবেশ করার সময় আমাদের প্রথমে ২০ টাকা দিয়ে টিকিট ক্রয় করতে হবে। এই গেট দিয়ে ঢোকার পর সামনে ই বাইক এবং কারের গ্যারেজ চোখে পড়বে। চিকলি পার্কের বিলটিও গ্যারেজের সামনেই অবস্থিত।

এটা হল সেই চিকলির বিল যার পাশেই চিকলি ওয়াটার পার্ক তৈরি করা হয়েছে। কয়েক বছর আগেই এই বিলটির পাশে শুধু ঝোপঝাড় ছাড়া আর কিছুই ছিল না, এই ঝোপজার ওয়ালা জায়গাটিকে এখন চিকলি ওয়াটার পার্ক এর রূপ দেয়া হয়েছে।

সাথে বাইক নিয়ে গিয়েছিলাম তাই প্রথম গেট দিয়ে ঢুকে বাইকটা গ্যারেজ করলাম, বাইকটা গ্যারেজে রেখে সোজা চলে গেলাম দ্বিতীয় গেটের টিকিট কাউন্টারে এখানে আমাদের টিকিট ক্রয় করতে হবে ৩০ টাকা দিতে। মানে চিকলি পার্কে আমাদের প্রবেশ করতে মোট ৫০ টাকার টিকিট ক্রয় করতে হলো। এটা একটা গেটের মধ্যেই ব্যবস্থা করলে বেশি ভালো হতো কারণ বারবার টিকিটের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে কারোরই খুব একটা ভালো লাগবে না।

দ্বিতীয় দরজা দিয়ে প্রবেশ করার পর এই রাস্তাটি দিয়ে পার্কের ভিতরের দিকে যেতে হয়, এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বাম পাশে পড়বে চিকলি বিল এবং ডান পাশে ছিকলি ওয়াটার পার্কের রেস্টুরেন্ট গুলো। রেস্টুরেন্ট গুলোর সাজসজ্জা সত্যিই ভালো লাগার মত। তাছাড়া ভেতরের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ যে কেউ পছন্দ করবে।

চিকলি ওয়াটার পার্কের আয়তন অনেক বড় হয় অনেকের পক্ষে হেঁটে পুরো পার্ক ঘোরা সম্ভব নাও হতে পারে তাদের জন্য এরকম একটি গাড়িও চিকলি পার্কে রয়েছে। এই গাড়িটি যে কেউ চাইলে ভাড়া করে পুরো চিকিপাক খুব সহজেই ঘুরে বেড়াতে পারবে।

এটাই চিকলির মূল বসার জায়গা যার পাশেই সেই পানির ফোয়ারা৷ এখানে রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাও রয়েছে, বিশেষ করে বসার জায়গার পাশেই সুন্দর একুরিয়াম এর ব্যাবস্থা হয়েছে তার পাশে বসে থাকতে ভালই লাগে৷ এর আগে আমি একবার চিকলি নিয়ে পোস্ট করেছিলাম সেখানে সেই মাছ গুলোর ছবি আপনাদের দেখিয়েছিলাম।

পানির ফোয়ারার বাইরের দিকে চারপাশ দিয়ে সুন্দর করে এরকম গাছ-গাছালি দিয়ে সজ্জিত করা এবং সুন্দর লাইটের ব্যবস্থা তো রয়েছেই। এখানে বসে ছবি তুললে ছবি সত্যিই অনেক সুন্দর হয়। বিশেষ করে আলোকসজ্জার কারণে ছবিগুলো আরো সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে আপনার হয়তো উপরের ছবিগুলো দেখেই তা বুঝতে পারছেন ।

বন্ধুরা আজ তাহলে এ পর্যন্তই আপনাদের সাথে আবারও দেখা হবে চিকলি ওয়াটার পার্কে আমার ঘোরাঘুরির দ্বিতীয় পর্বের পোস্টে। সে অব্দি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল সকলের জন্য।

JOIN WITH US ON DISCORD SERVER