আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
আমি আপনাদের প্রিয় @maksudakawsar । আমি বাংলাদেশ হতে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। কমিউনিটির একজন প্রিয় ইউজার হয়ে আজ আমি আপনাদের সাথে কাজ করে যাচিছ। কাজ করে যাচ্ছি আপনাদের ভালো লাগা মন্দ লাগা নিয়ে। আজ আবার আপনাদের মাঝে চলে আসলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে।
ভালোবাসা এমন একটি বিষয় যার কোন বিশ্লেষণ হয় না। হয় না কোন সঠিক ব্যাখা বা উপমা। আর ভালোবাসার অনূভূতিও কিন্তু কারো কাছে প্রকাশ করা যায় না। আবার কাউকে বলেও বুঝানো যায় না। এক একজনের কাছে ভালোবাসার অনুভূতি এক এক রকম। কেউ বা ভালোবাসার কষ্ট বা হারানোর বেদনা ভুলে যেয়ে সাড়া জীবন বেচেঁ থাকে আবার কেউ বা হারিয়ে যায় অকালে।
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
তমা সবেমাত্র এইচ এস সি পাশ করে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। পড়াশুনার ব্যস্ততার করনে জীবনে সে আসে পাশের কারো দিকে তাকানোর সময় পায়নি। দেখতে বেশ সুন্দরী হলেও পড়াশুনাই ছিল তার ধ্যান আর জ্ঞান। এখনও সে একই রকম আছে। কিন্তু তমা তার বাবাকে অনেক ভয় পায়। বাবার সামনে মাথা উচুঁ করে কখনও কথা বলতে সে শিখেনি।বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার পর তাকে একটি স্মার্টফোন কিনে দেন বাবা। এর আগে সে মায়ের মোবাইল দিয়েই জরুরী কাজ সাড়তো।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কিছুদিনের মধ্যে তমার ভালো কয়েকজন বন্ধু জুটে যায়। তো তাদের মধ্যে একজনের সাথে তমার বেশ ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে যায়। তো একদিন তাদের বাসায় একটি প্রোগ্রামে তমাদের ক্লাসের সব বন্ধুদের ইনভাইট করে । তমা বাসা হতে অনুমতি নিয়ে তার সেই বন্ধুর বাসায় যায়। তমার সেই বন্ধুটির একটি বড় ভাই ছিল।যার নাম অভি। অভি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞানের একজন ছাত্র। তো সেই অনুষ্ঠানে তমার বন্ধুটির পরিবারের সবার সাথে সাথে অভির সাথেও তমার পরিচয় হয়। অভি কিন্তু বেশ হ্যান্ডসাম। একবারের বেশী কোন মেয়ের দিকে তাকায় না। বেশ মুডি সম্ভাবের।
বেশ কিছুদিন পরে ঘটনা। তমা মায়ের সাথে শপিং এ গেছে। কোন একটি কসমেটিকস এর দোকানে তমা এবং তার মা কেনাকাটা করছে। এমন সময় তমা লক্ষ্য করলো সেই দোকানে তার সেই বান্ধবীর ভাই ও যেন কি কিনছে। তো তমা তাকে না দেখার ভান করলো। কিন্তু তমা আর তার মা যখন দোকান থেকে বের হয়ে আসছিল। অভি পিছন হতে তমা কে ডাক দিলো। তমা তখন তার মায়ের দিকে তাকালো। তমার মা ছেলেটির পরিচয় জানতে চাইলো। তমা মাকে ছেলেটির পরিচয় বললে মা নিজেই অভি কে কাছে ডাকলেন এবং ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করলেন। তারপর তারা সেখান থেকে চলে আসেন। এই ঘটনার পর তমা বহুবার অভি কে তার চলার পথে দেখতে পায়। কখনও বাইকে তো কখনও রাস্তায় । কখনও তমার বাসার সামনে তো কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। কিন্তু এসব নিয়ে তমার কোন মাথা ব্যথা নেই।
কিন্তু হঠাৎ একদিন ঘটে যায় একটি ঘটনা। তমা যখন বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে বাসার দিকে ফিরে আসছিল তখন রিক্সায় উঠার আগে কে যেন তমা কে পিছন থেকে ডাক দিলো। তমা পেছন ফিরে দেখে যে এতো অভি। তার বান্ধবীর ভাই। তমা তাকে জিজ্ঞেস করলো আরে ভাইয়া আপনি এখানে? অভি তমা কে বলে এই তো এদিক দিয়েই যাচ্ছিলাম। তারপর তাদের মধ্যে কৌশল বিনময় হয়। এরপর তমা রিক্সা ঠিক করে বাসায় আসতে চাইলে অভি তমাকে এককাপ কফি খাওয়ার অনুরোধ করে। অভির অনুরোধে তমা তার সাথে কফি খেতে রাজি হয়ে যায়। তখন কফি শপে বসে কথার ফাকেঁ অভি তমার মোবাইল নম্বর টা চেয়ে নেয় এবং ফোন করার অনুমতি ও নিয়ে নেয়। সেই থেকে অভি তমাকে প্রতিদিন একবার হলেও ফোন করে। তাদের সাথে কথা হয় গল্প হয়। দিনের পর দিন এভাবে কেটে যায়। দুজনের মাঝে এখন কেমন যেন একটি বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে গেছে। আজকাল অভির একটু ফোন দিতে দেরী হলে তমার মনটা বিষন খারাপ হয়ে যায়। আসলে তমা অভি কে মনে মনে ভালোবেসে ফেলেছে। তাই তমা সিদ্ধান্ত নেয় সে তার মনের কথা অভি কে খুলে বলবে।
এই জন্য তমা একদিন অভির সাথে দেখা করতে চায়। এরজন্য একটি ডেট ফিক্স করে তারা দুজনে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। সেদিন কিন্তু তমা বেশ সুন্দর করে সাজে। কপালে টিপ, বেশ সুন্দর একটি শাড়ি। তমা কে অসম্ভব সুন্দর লাগছিল।যে কেউ যেন তার থেকে চোখ ফেরাতে পারবে না। তাই অভিও সেদিন আর চোখ ফেরাতে পারলো না। তমাকে দেখে অভি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে। তমা অভির জন্য গিফট নিয়ে এসেছে। আর অভিও তমার জন্য গিফট নিয়ে এসেছে। সেদিন দুজনে বেশ কিছুটা সময় একত্রে থাকলেও মনের কথাগুলো কেউ আর খুলে বলতে পারে নি। তবে দুজন দুজন কে গিফট টা কিন্তু ঠিকই দিয়েছে। বেশ কিছুটা সময় একত্রে থাকার পর দুজনেই বাড়ি ফিরে যায়। সাথে করে নিয়ে যায় দুজন দুজন কে দেওয়া সেই গিফট।
কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের গল্পটির ১ম পর্ব ? অপেক্ষায় রইলাম আপনাদের অনূভূতি গুলো জানার। তাহলে কি তারা দুজনে আর তাদের মনের কথা গুলো খুলে বলতে পারবে না। জানতে চোখ রাখুন। আগামী এপিসোডে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার কাছে আপনার প্রথম পর্বটিই খুব ভালো লেগেছে। আসলে তমা এবং অভির ভিতরে একটা ভালোবাসার সম্পর্ক মনে হয় গড়ে উঠতে যাচ্ছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেখা যাক সামনে কি হয়। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আমার জীবনে তো এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি আপনি কোথায় পেলেন এই ঘটনা🤔? মজা করলাম আমার নামও তমা😂 তাই। অভি এবং তমা মোবাইলে কথা বলতে বলতে একজন আরেকজনের প্রেমে পরে গেলেও কেউ মুখ ফুটে প্রেমের কথা বলতে পারছে না। দুজন দুজনের গিফট পেয়ে কিছুটা আন্দাজ করতে পারবে নাকি? গল্পের নাম শুনে তো মনে হচ্ছে শেষে এদের মিল হবে না। যাইহোক আপু খুব ভালো লেগেছে গল্পটি। বেশ রোমান্টিক একটি গল্প লিখেছেন। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চরের মনে পুলিশ পুলিশ। ঠাঁকুর ঘরে কে কলা খায় রে, আমি না। আপনার তো অবস্থা দেখি সে রকমের। হি হি হি। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর গল্প শেয়ার করলেন পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। অভি আর তমার এই গল্পটা বেশ ভালোই উপভোগ করেছি। দুজন দুজনকে কি গিফট দিয়েছে তা জানার খুবই আগ্রহ জাগতেছে আমার মনে। একসাথে তারা অনেক ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিল, কিন্তু একে অপরকে তারা মনের কথা খুলে বলতে পারেনি। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্ব দেখার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু আমরা একটু অপেক্ষা করি দেখি তারা দুজন কি মনের কথা প্রকাশ করতে পারে কিনা। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit