গল্প পোস্ট- ভুল ভালোবাসার পরিনতি || written by@maksudakar ||

in hive-129948 •  last year 

আসসালামু আলাইকুম

ভুল ভালোবাসার পরিনতি

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি বেশ সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও আছি আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো। সবাই কে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা জানিয়ে আজ আবার শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ। তবে আমার সবসময়ের চাওয়া আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্য এবং সুন্দর জীবন। পৃথিবীতে যত প্রকারের গল্প আছে তার মধ্যে মনে হয় রোমান্টিক গল্পটাই আমাদের সকলের বেশ প্রিয়। কারন আমরা সবাই ভালোবাসার কথা শুনতে এবং বলতে বেশ পছন্দ করি। যেখানে প্রেম আছে সেখানে আমরা আছি। কারন মানুষ তো প্রেম পিয়াসী। বিরহ আর মিলন যাই হোক না কেন প্রেমের গল্প হলেই আমরা সবাই মনোযোগটা একটু বেশীই দেওয়ার চেষ্টা করি।

সব ভালোবাসায় যে মিলন হয় তেমন নয়। ভালোবাসায় আছে বিচ্ছেদ আর বিরহ। যা হয়ত একজন প্রকৃত প্রেমিক কে ব্যথা দিয়ে যায় চির জীবন। যদিও অনেকে বলে ভালোবাসার মিলনের চেয়ে বিচেছদের সুখ বেশী। কারন বিরহে প্রিয় মানুষটিকে সারাজীবন ধরে মনে রাখা যায়। কিন্তু মিলন হলেই কিন্তু সব ভালোবাসা গুলো ফুরিয়ে যায়। বন্ধুরা আজ আবার নতুন একটি ভালোবাসার গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম। আশা করি আমার আজকের গল্পটিও আপনাদের বেশ ভালো লাগবে। ছুয়েঁ দিবে আপনাদের মন কে কিছু সময়ের জন্য।

girl-583917_1280.jpg

source

শুভ বেশ হ্যান্ডসাম একটি ছেলে। পড়াশুনা তেমন না করলেও সমাজের কেউ তাকে দেখে বলবে না যে সে শিক্ষিত নয়। যে কেউ দেখলেই ভাববে যে শুভ একজন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিতি একটি ছেলে। আবার পোশাক আশাকেও বেশ রুচিশীল। অথচ শুভর তেমন কোন পুথিঁগত শিক্ষাই নেই। হয়তো টেনেটুনে ক্লাস টু অথবা থ্রি অবদি পড়াশুনা করেছে। এলাকার মাস্তান ছেলেদেরে সাথে তার উঠাবসা। বাবা কাচাঁ বাজারে সবজি বিক্রি করে। এদিকে শামীম বাবা মায়ের আদরের মেয়ে। বাবা একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকুরী করলেও তার সন্তানদের কোন অভাব বুঝতে দেননি। সন্তানরা যখন যে আবদার করেছে তা সে যত কষ্টই হোক মিটানোর চেষ্টা করেছে। তবে একটি কথা না বললেই কিন্তু নয়। শামীম দেখতে কিন্তু এলাকার শ্রেষ্ঠ সুন্দরী একটি মেয়ে। রাস্তা দিয়ে হেটেঁ গেলে যে কোন ছেলে একবার হলেও তার দিকে ফিরে তাকাবে।

যাই হোক শামীম এখন এইচ এস সি সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে। তাই প্রতিদিন বাসা হতে রিক্সায় চড়ে কলেজে যায়। আর সেই কলেজে আবার শুভর ছোট বোন পড়াশোনা করে। তাই শুভ প্রতিদিন হোন্ডা করে ছোট বোন মিথিলা কে কলেজে নামিয়ে দিয়ে আসে। হঠাৎ একদিন শুভর চোখে শামীম পড়ে যায়। প্রথম দেখাতেই শুভর কাছে বেশ ভালো লেগে যায় শামীম কে। তাই শুভ এখন প্রতিদিন বোন কে কলেজে নামিয়ে দিয়ে না ফিরে যায় না। কলেজ ছুটি না হওয়া অবদি কলেজের সামনে দাড়িঁয়ে থাকে। এদিকে বেশ কিছুদিন যাবৎ শামীমও লক্ষ্য করে যে শুভ শামীম কে ফলো করছে। তবে শুভ কে দেখে কিন্তু শামীম এর খারাপ লাগেনি। তাই শামীমও মনে মনে চাই তো যে শুভ শামীম কে ফলো করুক। আর এ ভাবেই কেটে যাচিছল সময়।

হঠাৎ একদিন শামীমের এক বান্ধবীর মাধ্যমে শামীম শুভর একটি চিঠি পায়। শুভর চিঠি পেয়ে কিন্তু শামীম একটু খুশিই হয়। তাই সে বাসায় যেয়ে চুপি চুপি শুভর চিঠি পড়ে এবং চিঠির উত্তর দেয়। সেই থেকেই শুরু হয়ে যায় শুভ আর শামীম এর প্রেম। বেশ চুটিয়ে প্রেম করে তারা। আজ এখানে তো কাল সেখানে দেখা করে। কথা বলে। এক সময়ে দুজনে সিদ্ধান্ত নেয় পালিয়ে যেয়ে বিয়ে করার। কিন্তু শামীম কিন্তু শুভর ব্যাপারে তেমন কিছু জানতো না। শামীম মনে মনে ভেবেই নিয়েছিল যে শুভ ধনী পরিবারের কোন সন্তান। তবে মাঝে মাঝে যে শামীম জানতে চাইতো না তা নয়। শুভ সব সময় কথা এড়িয়ে যেত। যাই হোক শুভ এবং শামীম এখন স্বামী স্ত্রী। কারন তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে নিয়েছে। এদিকে শামীম এর বাবা মা এই বিয়ে মেনে না নিলেও, শুভর বাবা মা ঠিকই মেনে নেয় শামীম আর শুভর বিয়ে। তবে বিয়ের পড়ে শুভ কিন্তু শামীম কে তার বাবা সে বস্তি বাড়িতে নিয়ে উঠেনি। শামীম কে নিয়ে ফ্লাট বাসায় উঠেছে শুভ।

বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই শামীম বুঝতে পারলো যে সে অনেক বড় ভুল করে ফেলেছে। একদিকে শুভ একটি দরিদ্র পরিবারের ছেলে অন্য দিকে শুভ মদ গাজার মত খারাপ নেশায় আসক্ত। কিন্তু শামীম এখন কি করবে? তার বাবা মা তো আর তাকে মেনে নিবে না। কোথায় যাবে শামীম? বাধ্য হয়ে শামীম শুভর সংসারে থেকে যায়। তবে দিন যতই যেতে থাকে শুভ যেন আরও বেশী বিপথে পা বাড়াতে থাকে। এক সময়ে শুভ শামীমের গায়েও হাত তুলে। আর শুভর এসব অত্যাচার শামীম কিন্তু সহ্য করে নেয়। শুভ কে কিছু বলে না শামীম। এমন কি বাবা মায়ের কাছেও কোন দিন ফিরে যায় না। অবশ্য বেশ কিছুদিনের মধ্যে শামীম এর বাবা মা নিজেরাই আসে মেয়ের সাথে দেখা করতে। তখন তারাও বুঝতে পারে যে শুভ শামীম কে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করেছে। তারা শামীম কে ফিরিয়ে নিতে চাইলেও শামীম ফিরে যায় না।

এদিকে কিছুদিনের মধ্যেই শুভর ব্যবহারের আরও অধপতন ঘটে। ফ্লাট বাসা ছেড়ে দিয়ে শামীম কে নিয়ে বস্তির বাড়িতে তুলে। শামীম আর কি করবে? বাবা মায়ের সংসারে যে ফিরে যাবে তারও জোড় নেই। কারন তারও ছোট তিনটি বোন আছে বিবাহ যোগ্য। তাই শামীম ভেবে নেয় তার জীবনে যা হওয়ার হয়েছে। তার বোন গুলোর ভালো জায়গায় বিয়ে হলেই শামীম খুশি। এদিকে শুভর অত্যাচার যেন দিনে দিনে বেড়ে যেতে থাকে। এমন ও রাত যায় শামীম যদি শুভ কে কিছু বলতে যায় তাহলে সে সিগারেটের আগুন দিয়ে শামীমের দেহের জায়গা জায়গায় পুড়িয়ে দেয়। আর এভাবেই কেটে যায় শুভ আর শামীম এর জীবন।

কয়েক বছর কেটে গেল শামীম আর শুভর জীবন এমন করেই। শামীম আর আগের শামীম নেই। শামীম এর সংসার এখন তার মা বাবাই চালায়। সংসারে ফুটফুটে একটি মেয়ে এসেছে। এদিকে শুভর মাতলামী দিনে দিনে বেড়েই যাচেছ। কিছুই করার নেই শামীমের। বাচ্চার দুধ কিনা থেকে শুরু করে সব কিছুই শামীম এর বাবা মাকেই করতে হয়। আর শামীম নিজেও ‍দু একটি টিউশনি করে। শুভর সংসারের দিকে কোন মন নেই। আজকাল যেন শামীম কে সে দেখতেই পারে না। একটি মাত্র সন্তান পৃথিবীতে আসার পর তাদের বিছানাও এখন আলাদা।

হঠাৎ একদিন শুভ বেশ অসুস্থ হয়ে পড়ে। ডাক্তারের কাছে নেওয়া হয় শুভ কে। ডাক্তার বেশ কিছু পরীক্ষা নিরিক্ষা পরিস্কার জানিয়ে দেন যে শুভর লিভার সিয়োসিস হয়েছে। সে আর বেশী দিন বাচঁবে না। এমন কথা শুনে শামীম বেশ ভেঙ্গে পড়ে। যতই যাই হোক সে তো শুভ কে ভালোবাসে।শুভর এমন করুন পরিনতি শামীম মেনে নিতে পারে না। কিন্তু তাতে কি বাস্তাব তো অনেক কঠিন। আর এই কঠিন বাস্তবতার স্বীকার আজ শামীম। শুভ আজ শামীম এর কাছে ক্ষমা চায়। শুভর সমস্ত ব্যবহারের জন্য শুভ শামীম এর কাছে দুঃখ প্রকাশ করে। এক সময়ে শুভ মৃত্যুবরণ করে।

তবে মৃত্যুর আগে শুভ নিজের নষ্ট হয়ে যাওয়া জীবন নিয়ে শামীমের কাছে বেশ কিছু কথা বলে যায়। শুভর ভাষ্যমতে - সে একজন বস্তির ছেলে। সেই ছেলেবেলা হতে বস্তির ছেলেমেয়েদের সাথে তার উঠাবসা। এদিকে রোজ রাতে মদ খেয়ে এসে বাবার মাকে মারা সব কিছুই শুভ মনে দাগ কাটে। আর পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে সাথে শুভ বেশ বখাটে হয়ে যায়। শামীম কে যেমন ভালোবেসে সে ছাড়তে পারেনি । তেমনি ভাবে নিজের বখাটে জীবন থেকেও নিজেকে গুটাতে পারেনি। মদের নেশায় মাতাল হলেও শামীমের প্রতি তার ভালোবাসা মিথ্যে ছিল না। আর এই কথাটিই শুভ শামীম কে বলে যায় মৃত্যুর আগে।

আজ এখানেই শেষ করছি। কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের গল্পটি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগা আর মন্দ লাগা মন্তব্যের মাধ্যমে জানতে পারবো। সকলেই ভালো থাকবেন।

❤️ধন্যবাদ সকলকে❤️

image.png

আমার নিজের কিছু কথা

384549715_171479776007493_3210441826564088767_n.jpg
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। আমি একজন বাংলাদেশী নাগরিক। পেশাগত জীবনে আমি একজন চাকরি জীবি এবং গৃহীনি। সেই ছেলেবেলা হতেই আমি গল্প আর কবিতা লেখার চেষ্টা করে আসছি। অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ করা আমার যেমন সখ, তেমনি ভাবে নিজেকে কিছুটা স্বচছতার মধ্যে পরিচালিত করাও আমার প্রতিজ্ঞা। সেই ছেলেবেলা হতেই গান বেশ ভালোবাসি। গান শুনতে ও গাইতে আমি বেশ পছন্দ করি। সেই সাথে পছন্দ করি গল্প কবিতা লিখতে। আমি ভিডিও এডিটিং সহ অনলাইন প্লাটফর্মের নানাবিধ কাজ করতে পারি। মাঝে মাঝে গলা ছেড়ে গান করতে বা গান রেকডিং করা আমার এক সময়ের বেশ জনপ্রিয় সখগুলোর একটি। তবে ইচ্ছে আছে নিজের দক্ষতা কে আরও বেশী বৃদ্ধি করে নতুন নতুন কাজ নিজের আয়ত্বে আনা। অবশ্য আল্লাহ যদি চান। ভালোবাসি প্রাণপ্রিয় মাকে। ‍যিনি মহান আল্লাহর মেহমান হয়ে চলে গেছেন ওপারে। তবে জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃখ হলো আমার প্রাণপিয় মাকে নিজের ভালোবাসার কথা বলতে না পারা। সবার কাছে আমার জান্নাতি মায়ের জন্য দোয়া চাই ।

আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

image.png

image.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলে কিছু পরিস্থিতি একটা মানুষকে খারাপ দিকে নিয়ে যায়। তেমনি শুভর জীবনেও হয়েছিল। শুভও কিন্তু শামীমকে অনেক বেশি ভালোবাসত। আর একসময় শুভ সবাইকে ছেড়ে চলে গিয়েছিল না ফেরার দেশে। আর চলে যাওয়ার আগে অনেক কিছুই বলে গিয়েছিল শামীমকে।

সুন্দর এবং সাবলীল একটি মন্তব্য করেছেন ভাইয়া। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

শামীমের মতো এমন অনেক মেয়ে নিজে নিজেই বিয়ে করে ফেলে এবং পরবর্তীতে বেশ পস্তাতে হয় সেই মেয়েদেরকে। অনেক অন্যায় অত্যাচার সহ্য করেও থাকতে হয়, কারণ মা বাবার কাছে ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় থাকে না। শামীমের জন্য খুব খারাপ লাগলো, কারণ সে তো শুভকে অনেক ভালোবেসেছে। যাইহোক শুভ মারা যাওয়ার আগে শামীমকে সবকিছু খুলে বলে যায় এবং এতে করে শামীম শুভ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারে। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আমি বলি আসলে অনেক সময় মেয়েরা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে বিয়ে করে নিজের জীবনে সর্বনাশ ডেকে নিয়ে আসে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

অবশ্যই অনেক মেয়েরা নিজের বিপদ নিজে ডেকে নিয়ে আসে। কারণ মা বাবার পছন্দে বিয়ে করলে, পরবর্তীতে স্বামীর সংসারে যেকোনো ঝামেলা হলে,পরিবারের সাপোর্ট পাওয়া যায়। যাইহোক ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

আপু আপনি হয়তো শামীমা লিখতে গিয়ে শামীম লিখে ফেলেছেন। শামীম তো ছেলেদের নাম মেয়েদের নয়। যাই হোক আপনার গল্প পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। সত্যিই সব ভালোবাসা পূর্ণতা পায় না। তবে এমন কিছু ভালোবাসা থাকে পূর্ণতা না পেলেও খাটি থাকে। শুভর পরিবেশ শুভ কে বখাটে বানিয়েছে। আমি মনে করি এতে শুভর কোনো দোষ নেই। তার জন্য বলে একটা শিশুকে ভালো পরিবেশে বড় করবেন তাহলে ভালো কিছু শিখতে পারবে। শুভ মৃত্যুর আগে তার ভুল বুঝতে পেরে শামীমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

না আপু মেয়েটির নাম কিন্তু শামীমই ছিল। শামীম নামে আজকাল অনেক মেয়েই কিন্তু আছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

শুভ যদি শামীমকে সত্যি ভালোবাসতো তাহলে ওর গায়ে কেন প্রতিনিয়ত হাত তুলতো একবার দুবার মারার পরও তো একটু অনুশোচনা হতো না তা তো কখনো হয়নি । এখন মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলছে । আর বস্তির ছেলেরা যেমন হয় শুভ ঠিক সেরকম আচরণই করছে । যে যেখান থেকে যতটুকু শিক্ষা পায় । আসলে হুট করে মানুষের বিয়ে করাটাই বোকামি প্রেম মানুষকে একেবারে সত্যি অন্ধ বানিয়ে দেয় ।

আমিও কিন্তু আপনার সাথে একমত যে হুট করে কোন কিছু না বুঝে কাউকে ভালোবাসা ঠিক নয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি গল্প আপনি লিখেছেন এবং সেটাকে সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। শুভ ছিল এখানে পরিস্থিতির শিকার। ছোটবেলা থেকে বাবা-মাকে ও এরকম দেখে এসেছে। আসলে বস্তি কি আর বড়লোক কি মানুষের মনের কষ্ট হচ্ছে সবচাইতে বড়। আর তাই শুভ ব্যতিক্রম কিছু না। সেই কষ্টটা তার মনের মধ্যে রয়ে গেছে। আর তাই শুভ শামীমের এতো ভালোবাসা পেয়েও বেরিয়ে আসতে পারেনি।তাই সে প্রতিনিয়ত শামীমের গায়ে হাত তুলতো আর শামীম ও ভালোবাসায় এত অন্ধ ছিল যে সে শুভকে ফেলে চলে যেতে পারিনি। কিন্তু শেষে শুভ কেও সে পেল না।

Posted using SteemPro Mobile

অনেক সুন্দর গুছিয়ে একটি মন্তব্য করেছেন। আশা করি আগামীতে এমন সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে যাবেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

image.png

আসলে কিছু কিছু ভালোবাসা আছে না পেলে কষ্ট থাকে মনে। আর ভালবাসার মানুষকে ফেলে দুঃখ হয় বেশি। যাইহোক শুভ শামীমকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে। যদিও শুভর পড়ালেখা নেই এবং সেই খারাপ কাজে লিপ্ত। এখন শামীম বিয়ের পর বুঝতে পারতেছে সে ভুল করেছে। এরকম ভুলগুলো মেনে নিতে অনেক কষ্ট হয়। যাহোক অতিরিক্ত নেশার কারণে হয়তোবা শুভ অসুস্থ হয়ে মৃত্যু কোলে ঢেলে পড়েছে। তবে আপনার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর গল্পটি শেয়ার করার জন্য।

আপু আমার গল্পটি আপনার মন ছুয়েঁ গেছে এই কথা জেনে আমার ও বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

কিছু মানুষ ভালোবাসা না পেয়ে কষ্ট করে আবার কিছু মানুষ ভালোবাসা পেয়ে কষ্ট করে। যেমন শুভ এবং শামীম ভালবাসার মানুষকে কষ্ট করতেছে। অনেক সময় নিজের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয়। যেমন শামীম নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে শুভকে বিয়ে করেছে। যদিও শুভ বিয়ের আগ থেকে নেশা এবং বাজে আড্ডা দিতেন। তবে শুভ যখন অসুস্থ হয়ে পড়েছে তখন ভালোবাসার মানুষটির জন্য শামীমের মায়া হয়েছে। যাইহোক গল্পটি অনেক সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ভাইয়া আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

ভুল ভালোবাসার পরিণতি গল্পটা পড়ে আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে। শামীম শুভকে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছিল, যার কারণে তার কাছ থেকে আর যায়নি, এত অত্যাচার করার পরেও। সবশেষে শুভ মারা গিয়েছিল এটা জেনে অনেক বেশি খারাপ লেগেছে। আসলে সবার সম্পর্কে সবকিছু জেনে তারপরে সেই মানুষটার সাথে যে কোন সম্পর্কে যাওয়া উচিত।

আমিও তাই মনে করি যে সবার সমন্ধে সব কিছু যেনে শুনেই তারপরে তাকে বিয়ে করা উচিত ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

ভুল ভালোবাসার পরিনতিগুলো আসলে এমনই হয়।তবে শামীম শুভকে অনেক ভালোবেসেছিল।তাইতো তাকে রেখে এতো অত্যাচারিত হয়েও যায়নি।খুব ভালো লিখেছেন আপু।

ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।