জেনারেল রাইটিং- আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম

in hive-129948 •  2 years ago 

আসসালামু আলাইকুম

কেমন আছেন বন্ধুরা?আশা করি সবাই বেশ ভালই আছেন। আমিও আলহামদুরিল্লাহ বেশ ভাল আছি। আমি মাকসুদা আক্তার।আপনাদের কাছে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ব্লগ আমার নেশা। আমার বাংলা ব্লগ আমার প্রাণ। আর কমিউনিটির প্রতিটা স্তরের মানুষকে দিয়েছি আমি আমার শূণ্য এই জান।

আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম.png

ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar

বেশ কিছু দিন যাবৎ মনে পড়ছে সেই ছেলে বেলার ডান পিটে কাটানো দিন গুলোর কথা। মনে পড়ে এরকম রমজান মাসে পরিবারের সবার সাথে কাটানো সময়ের কথা। মনে পড়ে এক সাথে ভাই বোন বাবা মা মিলে ইফতার আর সেহেরী খাওয়ার কথা। ছেলে বেলার সেই সাধ আজ আর কিছুতেই যেন পাওয়া যায় না। পাওয়া যায় না সেই সময়গুলোকে ফিরে।যখন রোজা রেখে বন্ধুদের সাথে চলে যেতাম সময় পার করার জন্য। শুধু বুকের ভিতর করে হাহাকার। আর হারানো শত শত বেদনা।

রোজার দিনে সেহেরীতে ঘুম থেকে উঠতে দেরী হরে বাবার কত যে রাগ করতো। এখন আর কেউ রাগ করে না। ছেলেবেলায় রোজা কি তা বুঝতাম না। ভাবতাম সবাই জানবে আমি রোজা। কিন্তু আমি চুপি চুপি পানি খেয়ে নিতাম। ভাবতাম কেউ দেখেনি। সন্ধ্যায় সবাই তো ভাবতো আমি রোজা তাই ইফতারিতে আমার প্লেটটাই ভরা থাকতো বেশী। যদি বুঝতাম যে, কেউ না দেখুক মহান আল্লাহ তো দেখেন। আবার সারাদিন রোজা রাখার পর শুধু মাকে বিরক্ত করতাম কখন আযান দিবে আর কখন ইফতার করতাম। মাঝে মাঝে কয়েকটি বেগুনী আর আলুর চপ লুকিয়ে রাখতাম আলাদা করে।

আমরা যখন ছোট ছিলাম সে সময়ে সন্ধ্যা হলে বাহিরে বরফ বিক্রি করা হতো। কি যে চিৎকার আর চেচামেচি করে বরফ বিক্রি করা হতো সে সময়ে। তখন কেমন যেন রোজা রোজা একটা ভাবছিল। আবার যাদের ফ্রিজ ছিল না তারা খুব সকালে উঠে এক বাটি পানি রেখে যেত যাদের ফ্রিজ ছিল তাদের বাসায়। কত যে মজার দিন ছিল তখন।

আমাদের ছেলে বেলায় রমজান মাসে এখনকার মত স্কুল খোলা থাকতো না। তখন রোজা আসলেই স্কুল একমাসের ছুটি। আর আমাদের ও আনন্দের কমতি ছিল না।রোজার সময়টা যেন তাড়াতাড়ি কেটে যায় তাই বন্ধুদের নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম খেলতে। একবার তো এক রোজায় পুকুরে গোসল করতে যেয়ে ডুবে মারাই যাচ্ছিলাম। কারন আমি তো আর সাতার জানতাম না। আবার সে সময়ে রোজায় সময় কাটতো বন্ধুদের সাথে কুত কুত , পাচঁ গুটি, লুডু আর অনেক খেলা খেলে। কিন্তু কোথায় সেই সময়। আর এখন কার বাচ্চারা রোজার দিনে স্কুল আর বাসার টেবিল ছাড়া কিছুই বোঝে না।

ছেলেবেলায় রোজা আর ঈদের চাঁদ দেখতে যেযে কত যে পিঁপড়ার কামড় খেয়েছি। হি হি হি। কোয়াটারের বড় ভাই বোনেরা চাঁদ দেখার নাম করে নিয়ে যেয়ে দাঁড় করিয়ে দিতো পিঁপড়ার বাসায়। আর চাঁদ খুজে বের করতে করতে কখন যে পা ফুলে ডাম্বুস হয়ে যেত বুঝতেই পারতাম না। তাহলে আপনারাই বলুন আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।

কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার ছেলেবেলার কিছু স্মৃতিচারন নিয়ে আমার আজকের লেখা আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম। জানার অপেক্ষায় রইলাম।
সবাই ভাল এবং সুস্থ্য থাকবেন।

❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️

@maksudakawsar

image.png

image.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমাদের সকলের জীবনে কিছু না কিছু স্মৃতি থাকে তবে ছোটবেলার স্মৃতিগুলো আমাদের কাছে অনেক বেশি রোমাঞ্চকর এবং হাস্যরসিক মনে হয়। যখন ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে তখন ঠোঁটের কোন মৃদু একটা হাসি দিয়ে বলে উঠি ইস কতইনা ভালো ছিল সেই দিনগুলো। ্য ছোটবেলার এই গল্পগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো আপনি দারুন ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বিশেষ করে রোজা রেখে পানি খাওয়ার কথা শুনে আমি খুবই হেসেছি।

যাক তাহলে আমি আপনাকে কিছুটা সময়ের জন্য হাসাতে পেরেছি। ধন্যবাদ মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

অনেক ভাল লাগলো আপু আপনার ছেলেবেলার অনুভুতি গুলো পড়ে। সত্যিই আগের দিনদিনগুলো মধুর ছিল।ফেলে আসা দিনগুলো ফেলে এসেছি। আর ফিরে পাবো না।শুধু অনুভূতি গুলো হাতড়ে বেড়ানো।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

যদি পাওয়া যেত ছেলেবেলার সেই সময়গুলোকে, তাহলে কতই না মজা হত।

খুব ভালো লাগলো আপনার ছোটবেলার রোজা এবং ঈদের অভিজ্ঞতা পড়ে। আর লুকিয়ে লুকিয়ে জল খাওয়াটা পড়ে বেশ হাসি পেলো। আমরাও অনেক সময় ছোটবেলায় পুজোর উপোস করে আর থাকতে না পেরে জল খেয়ে নিতাম। আসলে বাচ্চাদের মধ্যেই ঈশ্বর রয়েছেন। তাই হয়তো উপর থেকে বসে তিনিও দেখেছেন আর হেসেছেন। রাগ করেননি।

রাগ করবে কি করে? আল্লাহপাক তো জানে যা আমি শিশু ছিলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

আপনার মত আমার অনেক ছোটবেলা স্মৃতি রয়েছে আপনার স্মৃতিগুলো অনেক চমৎকার ছিলো। আশা করছি পরবর্তীতে আমি এ ধরনের একটি পোস্ট করতে পারব। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার একটি মন্তব্য আমি অনেক আশীর্বাদ মনে করি।

আপু আপনার জীবনের ছোটবেলার কাহিনী পড়ার পরে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার মত হয়তো সবারই কোন না কোন কিছু ছোটবেলার স্মৃতি রয়েছে। আপনি যে ছোটবেলায় রমজান মাসে রোজা থেকে চুরি চুরি করে পানি খেয়ে নিতেন সত্যি এই বিষয়টি হয়তো প্রত্যেকটা মানুষ কম বেশি করেছে। সত্যি আপু আমার ছোটবেলার দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল আপনার পোস্টটি পড়ার পরে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

যাক তাহলে আমার পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাকে ছেলে বেলায় নিয়ে যেতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

image.png

ফ্রিজ না থাকার কারণে আমাকেও অন্যের শরণাপন্ন হতে হয়েছিল। এইটা সত্য যে শৈশবের রোজা ও ঈদের স্মৃতি গুলো কমবেশি আমাদের সবার এমনই, বেশ ভালো লাগলো পড়ে আপনার লেখা, অনেকটা চোখের সামনে যেন অতীত ভাসছিল।

ভাইয়া প্রথমে বলব নিজের পোস্টে আপনাদের যে কারো মন্তব্যই মনের মধ্যে খুশির বন্যা বইয়ে দেয়। ধন্যবাদ ভাইয়া অনেক সুন্দর এবং উৎসাহ মূলক একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

আপনার ছোটবেলার স্মৃতিচারণ পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এরকম আমরাও কিছুটা ছিলাম। রোজা রাখলে আম্মুকে বিরক্ত করে ফেলতাম কখন আজান দেবে। আর এখন ঈদের কাটানো দিনগুলোর থেকে আমার কাছে আগে ঈদের কাটানো দিনগুলো বেশ ভালো লাগতো আনন্দ বেশি থাকতো। আপনার পোস্ট পড়ে আমার ছোটবেলার দিনগুলোর কথাই মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে।

যাক তাহলে আপনাকে ছেলেবেলার কথা মনে করিয়ে দিতে পেরেছি। পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

আপনার ছোট বেলার রমজান মাসের কিছু স্মৃতির অনুভূতি পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু।আপনি এই আগের দিনগুলো যেমন মিস করছেন,হয়তো প্রতিটি মানুষই তার ফেলে আসা দিনগুলো একইভাবে মিস করছে।ছোটবেলা সবারই বেশ রঙিন হয়।আর রমজান মাসে তো বেশি আনন্দ হতো।তবে সাঁতার না জেনে পানিতে নামা ঠিক না।যাইহোক বেশ ভালো লিখেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লেখাটি শেয়ার করার জন্য।

কি করবো আপু পুকুরে গোসল করতে মন চাইলো তাই নিয়ে গেলাম। মজা বলে কথা।

আপনার লেখাগুলো পড়ে মনে হচ্ছিল যে ছোটবেলায় আমার গল্প কেউ করছে। আমিও এরকম রোজা থেকে চুপি চুপি পানি খেয়েছিলাম একবার। তাছাড়া ভাই বোন মিলে সেই সেহরি খাওয়ার, ইফতারি করার আনন্দটা এখন আর কোন কিছুতেই পাওয়া যায় না। আর সেই ছোটবেলায় ফিরেও যাওয়া যায় না । এই স্মৃতিগুলো মনে পড়লে আসলে বুকের মধ্যে হাহাকার করে। ধন্যবাদ আপনাকে ছোটবেলার স্মৃতিগুলো মনে করে দেওয়ার জন্য।

আপু চিমটি। তাহলে দেখা যাচ্ছে আপনার সাথে আমার মিল আছে। ছেলেবেলা একই রকম কাটালাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে পাশে থাকার জন্য।

ফেলে আসা স্মৃতি ভোলার মত নয়। ছোটবেলার এই ধরনের মজার স্মৃতি আমারও আছে আপু। লুকিয়ে সবার আড়ালে পানি খাওয়াটা সেটাও অনেক মজার। আজ সেই সব স্মৃতি মনে পড়লে অনেক কষ্ট লাগে আসলে শৈশবের দিনগুলোই মনে হয় ভাল ছিল। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু আপনাকে।

আমিও আপনার সাথে একমত যে শৈশবের দিন গুলোই ভালছিল।

আপু আপনি ঠিক বলেছেন আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম। আগের দিন গুলো অনেক মিস করি। আপনি ছোট সময় রোজার দিনে চুপি চুপি পানি খেয়েছেন,হা হা হা। আর চাদঁ দেখতে গিয়ে পিপঁড়ার কামড় খেয়েছেন,হি হি হি । আপনার ছোট সময়টা অনেক মধুর ছিল । ধন্যবাদ আপু।

কেন যে বড় হলাম? সেটাই ভেবে কুল পাইনা। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।