আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কিছু ফটোগ্রাফি |
---|
❤️শুভ সকাল ভালোবাসার আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবার❤️। বৃষ্টি ঝড়া সকালে এক কাপ চা হাতে নিয়ে কোরিডোরে বা জানালার পাশে বসে থেকে বৃষ্টি উপভোগ করা যে কি মনোমুগ্ধকর সেটা আর ভাষায় বুঝানো যাবে না। হয়তো আপনারা এমন করেই বৃষ্টিটাকে উপভোগ করছেন যার যার মত। আর আমি মনের হাজারো ইচ্ছেগুলো কে গলাচাপা দিয়ে চলে আসলাম খিটখিটা কর্মস্থলে। কারন আমি তো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দূর্ভাগা। আর তাই তো মানের মাঝে জমে থাকা এমন হাজারো স্বপ্নগুলো কে কবর দিয়ে দিতে হয় প্রতিনিয়ত😂।
বন্ধুরা বৃষ্টি ভেজা সাত সকালে আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন করে। আর প্রতিদিনের মত আজও আপনাদের সুস্বাস্থ্য এবং সুন্দর জীবন কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ। মাঝে মাঝে মনটা যখন অস্থিরতায় ভরে যায় তখন কিন্তু আমি ছুটে যাই প্রকৃতির মাঝে। কারন আমি কিন্তু এখন ভালোবাসার স্থান বুঝে গেছি। চিনি গেছি ভালোবাসার রাস্তা। আর তাই তো মানুষ নয় প্রকৃতিকেই মনেপ্রানে ভালোবাসতে শুরু করে দিয়েছি😘😘😘। আর এবার কিন্তু শুধু প্রকৃতি দেখিনি। এবার প্রকৃতির সাথে সাথে অনেক দুষ্প্রাপ্য কিছু জিনিসও দেখে এসেছি। আর সেগুলো কিন্তু আপনাদের জন্য ফটোগ্রাফি করেও নিয়ে এসেছি। চলুন তাহলে দেখে আসি আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো।
এই তো সেদিন ঝুম ঝুম বৃষ্টির মধ্যেও চলে গেলাম ঢাকার অদূরে। উদ্দেশ্য হলো তাজমহল দেখা। আগ্রার তাজমহল তো আর কপালে নেই। তাই দুধের স্বাধ ঘোলে মিটানো। এই আর কি। তো তাজমহল ঘুরে ফিরে দেখতে দেখতে দেখতে হয়ে গেল সন্ধ্যা। এদিকে শুনতে পেলাম এখানে নাকি পিরামিডও দেখার জন্য আলাদা জাদুঘর রয়েছে। কিন্তু এর জন্য আলাদা কোন পেমেন্ট নেই এক টিকেটেই সব। অবশ্য তাজমহল হতে খানিকটা দূরেই এই পিরামিড মিউজিয়াম। তো আমরা যখন গেলাম তখন সন্ধ্যা শেষ। ভিতরে যাচ্ছি। কি যে নিরিবিলি এলাকা তা আর বলার নয়। অবশ্য শুধু আমরা একা নয় আরও অনেকেই আছেন আমাদের সাথে। তো ভিতরে ঢুকেই দেখি অনেক মাটির বানানো পিরামিড চারদিকে দাঁড় করানো। চেষ্টা করলাম সেগুলোর কিছু ফটোগ্রাফি করার।
তো পিরামিড যেখানে রাখা আছে ধীরে ধীরে সেই দিকে গেলাম। কারন আমরা শুনেছিলাম যে এখানে মিশরের পিরামিড রাখা আছে তো দেখার বেশ ইচ্ছে জাগলো মনে। কিন্তু কি জানেন? সেই ইচ্ছে পুরোটাই বেহেশ্তে গেল। আর যাবে না কেন বলেন। যেখানে পিরামিড রাখা আছে সেটা হলো খুব অন্ধকার একটা রুম। সেই অন্ধকার রুমের ভিতর থেকে ভেসে আসছে এক বিকট আওয়াজ। আবার বাহিরে লেখা আছে অসুস্থ্য এবং হার্ট দূর্বলদের প্রবেশ নিষেধ। তো ভিষণ ভয়ে বুক ধরফর শুরু হয়ে গেল। আর যাওয়ার সাহস পেলাম না।
চলে আসছিলাম। কিন্তু হঠাৎ পিছন থেকে একজন ডাক দিলো। বুঝলাম আপনাদের ভাইয়ার পরিচিত কেউ । তিনি সেখানেই জব করেন। তার অনেক অনুরোধেে আপনাদের ভাইয়া জোর করে নিয়ে গেল সেই পিরামিড দেখতে। কিন্তু আমি ভয়ে আর সেই পিরামিড এর দিকে ফিরে তাকাই নাই। কিন্তু সেখানকার অন্যান্য লোভনীয় জিনিস এর ফটোগ্রাফি করে নিলাম। এই যেমন এখানে রয়েছে সেই আমলের পিতল তামার বাসান কাষন।
হায়রে আগে ছোট বেলায় কত যে রাজা রানীর নাটক দেখতাম টিভিতে । আর তখন দেখতাম রানীরা কি সুন্দর সুন্দর হীরা, মনি, মুক্তা আর জহরত পড়তো। আর আজ পিরামিড দেখতে গিয়ে সেই সকল জিনিস গুলো চোখের সামনে দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারলাম না গো।
তারপর তো দেখলাম অবাক করা সেই রানী মহারানীদের পোশাক আর গালিচা। দেখতে কিন্তু বেশ অসাধারন লাগছে। আপনারাই একটু দেখেন তো এমন সুন্দর রানী আর মহারানীদের পোশাক কি এর আগে দেখেছেন।
রাজাদের পোশাক কত যে দেখেছি। কিন্তু সত্যি সত্যি কিন্তু এর আগে আর কোন দিন দেখা হয়ে উঠেনি। কেন জানি রাজাদের পোশাকগুলো দেখেও আপনাদের কে দেখাতে মনে চাইলো। শুনলাম যে এগুলো নিাকি অরজিনাল পোশাক। সত্যি কি তাই?
পোস্টের ধরন | ফটোগ্রাফি পোস্ট |
---|---|
ডিভাইস | VIVO-Y22S |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
স্থান | সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজ এখানেই রাখছি। আগামীতে আবারও ফিরে আসবো নতুন করে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে। কেমন লাগলো আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো জানার আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য দিয়ে ভালো লাগা মন্দ লাগা প্রকাশ করতে কার্পন্যবোধ করবেন না। সকলে ভালো, সুস্থ্য এবং সাবধানে থাকবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit