ছেলেবেলার ভয়ংকর কাহিনী-10% Beneficiary To @shy-fox 🦊 & 5% @ abb-school📚

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)

আসসালামু আলাইকুম ।

বন্ধুরা কেমন আছো তোমরা? আষাঢ় মাসের বৃষ্টি বিঘ্নিত এই সময়ে তোমরা সবাই ভাল আছো নিশ্চয়।
একটি কথা না বললেই না, মনের ভাষা প্রকাশের জন্য সুন্দর একটি মাধ্যম তো আমরা সবাই পেয়ে গেছি তাই না ? আর সেটা হলো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ । যারা বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করতে চায় । তাদের জন্য আমার বাংলা ব্লগ সহায়তা করে যাচ্ছে।

তো বন্ধুরা আজ কে আমি একটি অন্য রকম বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরব।

আমরা মানব জাতি। আমাদের মধ্যে অনেকেই আমরা জীন ভূত কে বিশ্বাস করি। আবার কেউ কেউ করি না। তো তেমনি একটি সত্য ঘটনা যা আমার ছেলে বেলায় ঘটে গেছে । যা আমি আজকে গল্পের মাধ্যমে আপনাদের কাছে তুলে ধরব।

fantasy-2847724_1920.jpg

কপিরাইট ফ্রি ছবি সোর্স

চলুন সবাই মূল গল্পে চলে যাই-

আমার বাবা একজন সরকারী চাকুরীজীবি ছিলেন। তিনি চাকুরীর সুবাদে একটি সরকারী কোর্য়াটার পান। সেখানে অনক পরিবার একত্রে বসবাস করত। কোর্য়াটার ছিল চারদিক দিয়ে গাছ গাছালী ভরা। প্রতিটি কোর্য়াটারে বত্রিশ টি ফ্লাট ছিল এবং চারটি আলাদা আলাদা সিড়িঁ ছিল। আমরা থাকতাম প্রথম সিড়িঁতে । একেবারে একটি ফ্লাটে। আর ঐ ফ্লাটের মধ্যে চারতলায় উঠে মই দিয়ে ছাদে উঠা যেত।
আমাদের বাসার ঠিক পিছন দিকে আমাদের রান্নাঘর বরাবরে একটি বড় তাল গাছ ছিল।
আমরা ছোট বেলায় অনেক জীন আর ভূতের কথা শুনেছি। শুনেছি রান্নাঘরের পিছনের ঐ তাল গাছে নাকি অনেক জীন পরী বসবাস করে।

imahe.jpg

ক্যামেরা-oppo-A-16
ফটোগ্রাফার-মাকসুদা আক্তার

আবার এ ও শুনেছি যে কোয়াটারের অনেক ছেলে মেয়েদের নাকি জীন আর পরী আছর করত। তাই আমরা প্রায় ভয় পেতাম।
কি বন্ধুরা আমার লেখা গুলো পড়ে কি মনে হচ্ছে তোমাদের? এটা একটা কাল্পনিক ঘটনা? তাই না?
না বন্ধুরা এটা কোন কাল্পনিক বিষয় নয়।

এগুলো অনেক সত্য ঘটনা।

এখনও মনে আছে, আমরা ছোট বেলায় যখন বিদুৎ চলে গেলে লুকুচুরি খেলতাম তখন কতদিন যে আমরা ভয় পেয়েছি, তা গুনে বলা অনেক মুশকিল।

night-1080547_1920.jpg

কপিরাইট ফ্রি ছবি সোর্স

ছেলেবেলার ঐ তাল গাছটি আজও বহাল তবিরতে আছে। কেউ আজ অবধি সেটা কে কেটে ফেলতে পারে নি। এখনও পুরানো অনেক বন্ধু বান্ধবের সাথে দেখা হলে জুড়ে দেই, সেই সব ভয়ংকর গল্প সমূহ। আবার এখন অনলাইনের যুগ তাই আমাদের একটি ফেসবুক গ্রুপ ও আছে। যেখানে প্রায় সে সব দিনের গল্প গুলো তুলে ধরা হয়।

আমার এখনও মনে আছে আমি তখন খুব ছোট, আমার বয়স কত হবে সেটা ঠিক মনে করতে পারছি না।
আমি যখন রাতে বাবার সাথে ঘুমাতে যেতাম, তখন প্রায় রাতে আমি শুনতে পেতাম কারা যেন সিড়িঁ দিয়ে উঠা নামা করছে। সেই উঠা নামা ছিল বিকট শব্দ। মনে হত কারা যেন খরম পড়ে সিড়িঁ দিয়ে উঠা নামা করতে থাকতো। তখন অনেক ভয় লাগতো ভয়ে আমি বাবাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরতাম।

floor-4335428_1920.jpg

কপিরাইট ফ্রি ছবি সোর্স

আবার মাঝে মাঝে শুনতে পেতাম ছাদের উপর কারা যেন মসল্লা পিসতো, আবার গানও করত, আবার নাচও করত। মাঝে মাঝে কানে হাসি কান্নার আওয়াজ ও আসতো।
এসব কথা এখন মনে হলে ভয়ে গা শিউরে যায়।
এমন কি এমন ও ঘটনা ঘটেছে যে , অনেক মানুষ ভয় পেয়ে অসুস্থ্য ও হয়ে পড়েছে। শুনেছি যে, আমার বড় ভাই নাকি একদিন রাতে বাসায় ঢুকার সময় এমন কি নাকি দেখেছে।
যাক ভাই এসব গল্প আজকে আর নয় । আমার খুব ভয় ভয় লাগছে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা সবাই এই গল্পটি পড়ে কেমন লাগলো আমাকে জানাতে ভুলবেন না যেন।
আপনারা চাইলে আমি আগামীতে এমন অনেক গল্প নিয়ে আসব।
সকল কে ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ্য থাকবেন।
মাকসুদা আক্তার
খিঁলগাও, ঢাকা, বাংলাদেশ
@maksudakawsar

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

কথ
অনক
সিডিঁ

আপনার লেখার প্যাটার্নটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আপনি বেশ ভালো গুছিয়ে লিখতে পারেন। যে ধরনের লেখা পড়ে মানুষ মজা পায়। তবে বানানের ব্যাপারে একটু সতর্ক হতে হবে। বেশ কয়েকটা বানান ভুল আছে পোস্টে। অনুগ্রহপূর্বক সেগুলো সংশোধন করে নেবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। এভাবেই আমার পাশে থাকবেন সবসময়। আপনার অনুপ্রেরণা পেলে আমি অনেক দূর যেতে পারবো ইনশাল্লাহ।

এ জাতীয় ঘটনা গুলো এখন আমার কাছে বড়ই হাস্যকর মনে হয়। ছোটকালে এমন ঘটনা গুলো মায়ের মুখে শুনে লেপের তলে পলাতাম। আর এখন রাত দুপুরে মাঠের পুকুরের বুকে বসে স্মরণ করি এসব ঘটনা গুলো এবং মনে মনে হাসি।

ধন্যবাদ ভাইয়া । ভাইয়া হাস্যকর হলেও এটা সত্য । আর তখন আমি অনেক ভয় পেতাম

এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন কখনো হয়নি। তবে ভূত বলতে কিছু নেই। হ্যাঁ জ্বী
ন আছে এবং দুষ্ট জ্বীনরা মানুষকে এভাবে বিরক্ত করে।
আপনার সাথে ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর ঘটনাগুলো আপনি খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। এভাবেই এগিয়ে যান। শুভকামনা রইল।

জি আপু সত্যিই বলেছেন । ভূত বলতে আসলে কিছু নেই । কিন্তু জ্বীন ও ইনসান আল্লাহপাকই সৃষ্টি করেছেন