আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন বন্ধুরা?আশা করি সবাই বেশ ভালই আছেন। আমিও আলহামদুরিল্লাহ বেশ ভাল আছি। আমি মাকসুদা আক্তার।আপনাদের কাছে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন একটিভ ইউজার। আর একজন একটিভ ইউজার হওয়ায় আমি প্রতিদিন চেষ্টা করি আমার জ্ঞান, মেধা আর সৃজনশীলতার ছোঁয়ায় আপনাদের কে স্নিগ্ধ করে তুলতে। কি বন্ধুরা সেটা কি পারি ?
ছবি সোর্স
Made By-@maksudakawsar
ছেলেবেলা হতেই আমি একটু নরম মনের মানুষ। আমি যেমন ভয় পাই আকাশে জোড়ে সোড়ে কোন বিজলী চমকালে, তেমনি ভাবে আর অনেক কিছুকেই ভয় পাই। যার লিস্ট আমি অন্য কোন দিন আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। তবে সব কিছুর পর কেন জানি আমার মানুষের জন্য বেশী মায়া। জানিনা বেশী মায়া করার কারনেই কি আজ আমার জীবনে এত পেরেশানী নাকি! তবে কয়েকদিন আগে আমার সামনে ঘটে যাওয়া একটি বিষয় আমি কিন্তু আজও ভুলতে পারি না। পারি সেই দৃশটি চোখের সামনে থেকে সরাতে। শুধু ভাবি দোষটা কার?
বেশ কিছুদিন আগে সমগ্র বাংলাদেশে হয়ে গেল এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায়। আর এই এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করতে পারলেই একজন ছাত্র মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকে। এক সময়ে এই সকল ছাত্রছাত্রীরাই আপনার আর আমার মত মানুষের চিৎসার ভার গ্রহণ করে থাকে। যাদের ঔষুধ খেয়ে আমরা বা কেউ সুস্থ্য হই। আবার কেউ বা আরও বেশী অসুস্থ্য হই। তবে কি জানেন ? আমার কিন্তু বর্তমান সময়ের ডাক্তার আর চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর মোটেও বিশ্বাস নেই।কারন সারাদিন তো তাদের সাথেই কাজ করতে হয়।
তো বন্ধুরা যেহেতু মেডিকেল কলেজে পোস্টিং তো আমার ডিউটিও পড়েছিল। আমার ডিউটি পড়েছিল কন্ট্রোলরুমে। কলেজ প্রতিনিধি হিসাবে। বড় বড় হুমড়া চোমড়াদের সাথে। আমাদের সাথে ছিল পরীক্ষা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আর মন্ত্রণালয়ের সচিব। তো পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার সময় ১ ঘন্টা। অবশ্য পরীক্ষার হলে হল সুপার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন ডাক্তাররা। পরীক্ষা প্রায় শেষ। সে সময়েই ঘটে গেল একটি মর্মান্তিক ঘটনা। যে ঘটনা আমাকে আজও কষ্ট দেয়।কষ্ট পাই মানুষের ক্ষমতার কথা ভেবে, কষ্ট পাই মানুষের মানবতার কথা ভেবে। আর কষ্ট পাই সেই মেয়েটির কথা মনে করে যাকে নিয়ে এত এত ঘটনা।
পরীক্ষা শেষে একটি হল থেকে দুইজন ডাক্তার হল সুপার একজন পরীক্ষার্থী কে নিয়ে কন্ট্রোলরুমে প্রবেশ করলো। মেয়েটির অপরাধ সে কানে হেড ফোন দিয়ে দুটি মোবাইল ব্যবহার করে বাহির হতে সাহায্য নিচ্ছিলো। তাই মেয়েটিকে এক্সফেল করা হয়েছে। তারপর তার সকল ডিভাইজ কট্রোলরুমে জমা দেওয়া হয়েছে। মেয়েটি খুব কান্না করছিল। তাকে এক্সফেল করা হলে তার বাবা মা সুসাইড করবে। কোন ভাবেই মেয়েটিকে মানানো যাচ্ছিল না। মেয়েটির চিৎকারে যেন পুড়ো হল রুম গরম হয়ে গেল। আমাকে বলা হলো মেয়েটিকে চেক করতে আরও কিছু আছে কিনা। কিন্তু আমি ভয়ে ভয়ে গেলেও পড়ে সড়ে পড়লাম। কারন আমার যেমন মায়া হচ্ছিল তেমন ভয়ও হচ্ছিল।
অবশেষে মেয়েটির কাছে দুটো Bluetruth পাওয়া গেল। তখন সবাই তো আরও ক্ষেপে গেল। সাথে সাথে মেয়েটিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলো। যদি মেয়েটির সাথে আরও কেউ থাকে। একদশ পুলিশ এসে মেয়েটিকে ধরে নিয়ে গেল। মেয়েটি অনেক চিৎকার করতে লাগলো। কি যে এক পরিবেশ তখন সৃষ্টি হয়েছিল তা বলার নয়।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি আপু আপনার ঘটনাটি পড়ে আমার ও খুব খারাপ লাগলো। সবকিছু মানা যায় ও না।আবার প্রতিবাদ ও করা যায় না। এভাবেই আমরা আছি বেঁচে। দেখবেন, শুনবেন, বুঝবেন কিন্তু কিছু বলা যাবে না।খুব কষ্টের জীবন আসলে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কিন্তু আশ্চার্যের বিষয় আমাদের কে সব মানিয়ে নিয়েই চলতে হয়। ধন্যবাদ আপু পাশ থাকার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit