আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয় ঠান্ডার এই দিনে বেশ ভালো আছেন। আমিও কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ্ বেশ আছি। সকাল সকাল ঘুম হতে জেগেই শুনি রিম ঝিমঝিম বুৃষ্টির আওয়াজ। আর তখনই মনটা ভরে গেল স্নিগ্ধতার এক স্পর্শে। প্রকৃতি একটি জিনিস যা কিনা মানুষের মনের সকল যন্ত্রণা কমিয়ে স্নিগ্ধতায় ভরে দিতে পারে নিমিষেই। তবে না আজ আমি প্রকৃতি নিয়ে কিছু বলতে আসিনি। আজ আমি আসলাম আমার করা আরও কিছু ফটো্গ্রাফি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে।
বেশ কিছুদিন আগে পরিবারের সবার সাথে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ঘুরতে গিয়েছিলাম। আর জাদুঘরের বিভিন্ন ফ্লোরে ঘুরে ঘুরে আপনাদের জন্য বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও করেছিলাম। যেহেতু জাদুঘরে বেশ কিছু ফ্লোর রয়েছে তাই সেখানকার এত এত ফটোগ্রাফি এক দুইটি পর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করা সম্ভব নয়। তাই মাঝে মাঝে চেষ্টা করি সেসব ফটোগ্রাফি হতে কিছু ভালো লাগার ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। আজও তেমনি কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম। আশ করি আমার মত আপনারাও বেশ মুগ্ধ হবেন সে সকল ফটোগ্রাফি দেখে। চলুন দেখি আসি সে সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো।
জাতীয় জাদুঘর হতে কিছু নজরকারা ফটোগ্রাফি
জাতীয় জাদুঘর হতে কিছু নজরকারা ফটোগ্রাফি
সত্যি বলতে জাদুঘরের প্রতিটি ফ্লোরে ঘুরে ঘুরে দেখতে কিন্তু আমার বেশ ভালো লাগছিল। কারন কি না আছে জাদুঘরে। বাংলার সেই আদি কাল হতে এ কাল পর্যন্ত সবকিছুই রাখা আছে জাতীয় জাদুঘরের গ্যালারি গুলোতে। আমরা দ্বিতীয় তলা থেকেই শুরু করেছিলাম জাদুঘর ঘুরে দেখা। দ্বিতীয় তলাটাই এত সুবিশাল এলাকা নিয়ে গঠন করা হয়েছে যে সহজে হেটে হেটে শেষ করা যায়নি। দ্বিতীয় তলার গ্যালারি হতে হাতির ফটোগ্রাফি করতে গিয়ে তো সিকিউরিটির কয়েকটি ধমক খেলাম। তবুও করলাম হাতির ফটোগ্রাফি।
জানিনা আপনারা কেউ স্ব-চোখে ডলফিন দেখেছেন কিনা? আমি কিন্তু জীবনেও ডলফিন দেখি নাই। আর ডলফিন সামনা সামনি দেখতে কেমন হয় সেটাও আমার জানা নেই। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগে এই তো কদিন আগে ডলফিন হলাম। তবে জাদুঘরে রক্ষিত ডলফিন গুলো কিন্তু সুবিশাল বড় ছিল। দেখে তো আর লোভ ধরে রাখতে পারলাম না। ভাবলাম ফটোগ্রাফি করবোই করবো।
আমি না এই জিনিসটা চিনি না। তবে আমার বার বার মনে হচ্ছে যে এটা কাছিম বা কচ্ছপ। আপনারা একটু আমাকে জানিয়েন তো এটা আসলে কি? তবে জাদুঘরের গ্যালারিতে এটা দেখবো আর ফটোগ্রাফি করবো না সেটাও বা কি করে হয়? জীবনে কখনও এই কাছিম ও আমি দেখিনি। তবে অনেক মানুষই কিন্তু আমার মত ফটোগ্রাফি করছিল কাছিমের।
আসলে লজ্জার কথা কি বলবো বলেন? আমি কিন্তু কোনটা হনুমান আর কোনটা জিরাফ সেটাও বলতে পারিনা। তবে মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম যে এবারের ফটোগ্রাফি গুলো হলো জিরাফ আর হনুমানের। দেখতে কিন্তু একেবারে সত্যিকারের মনে হচ্ছে। কিন্তু আসলে এগুলো সত্যিকারের নয়। যেহেতু এর আগে এগুলো দেখা সম্ভব হয়নি, তাই মনের মধ্যে অনেক আনন্দ অনুভব করছিলাম।
বেশ কিছু গ্যালারি ঘিরে পশু পাখি রাখা হয়েছে। এত এত পাখি জাদুঘরের গ্যালারিতে রাখা হয়েছে যে সেগুলোর ফটোগ্রাফি একদিনে শেষ করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। তাই মাঝে মাঝে আপনাদের সাথে কিছু কিছু শেয়ার করি। আমি কিন্তু সত্যিকার অর্থে অনেক কিছুর নামই জানিনা। তবে বেশ বুঝতে পারছি যে বিশাল আকৃতির ময়ূর পাখি, কাক আর নাম না জানা পাখিটিও কিন্তু জাদুঘরের গ্যালারিতে স্থান পেয়েছে। যেগুলো দেখে হাজারও মানুষ বেশ আনন্দ অনুভব করে।
পোস্টের ধরন | ফটোগ্রাফি পোস্ট |
---|---|
ডিভাইস | VIVO |
মডেল | VIVO-Y22S |
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
স্থান | জাতীয় জাদুঘর, ঢাকা |
আজ এখানেই ইতি টানছি। আগামীতে আবারও ফিরে আসবো নতুন করে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে। কেমন লাগলো আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো? জানার আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য দিয়ে উৎসাহিত করবেন।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Tweet
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জাতীয় জাদুঘর থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। ময়ূরের ফটোগ্রাফিটি দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগছে। একই সাথে হাতির ফটোগ্রাফিটি দেখতেও বেশ সুন্দর লাগছে। জাতীয় জাদুঘর ভ্রমণ করে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার এত সুন্দর মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে জাতীয় জাদুঘরের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে আপু আপনার লজ্জার কথা কিন্তু আমি জেনে গিয়েছি। এখন তো চিনতে পেরেছেন কোনটা হনুমান এবং কোনটা জিরাফ। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হুম চিনতে পেরেছি। কোন টা হনুমান আর কোন টা জিরাফ। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জাদুঘর থেকে বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার এই ফটোগুলো কিন্তু আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। এ জাতীয় ফটোগ্রাফি বাইরে থেকে ধারণ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর এই থেকে অনেক কিছু দেখতেও জানতে পারলাম জাদুঘর সম্পর্কে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit