ট্রাভেল পোস্ট- " ব্যস্ততার মাঝেও যখন খুঁজে পাই ভ্রমনের আনন্দ " II written by @maksudakawsarII

in hive-129948 •  11 months ago 

আসসালামু আলাইকুম

চারদিকে ঝেঁকে বসেছে শীত। শীতের কুয়াশা যেন ভালো ভাবে জানান দিচেছ তার আগমনী বার্তা। আর এ সময়ে ভ্রমন প্রিয় মানুষ গুলো কিন্তু আর ঘরে বসে নেই। শীতের প্রকৃতিকে দেখার লোভে শীতের পাখি হয়ে ছুটে চলেছে প্রকৃতির কাছে। কেউ বা আবার ঘাটিঁ বেধেঁছে প্রিয় মানুষ গুলোর পাশে। শীতের নানা রকমের পিঠা পায়েসে রাঙিয়ে তুলছে নিজেদের মন কে। আর এই ভ্রমণের আনন্দ যে কত প্রখর তা কেবল তারাই বুঝে যারা ভ্রমন করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যদিও ব্যস্ততা আমায় দেয় না অবসর। তবুও কিন্তু এরই ফাঁকেও চান্স পেলে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগটি আমি মিস করি না। এই যেমন গতকালও ফাঁকে ফাঁকে দিয়ে আসলাম একটি ট্যুর। আর আজ বসে গেলাম সেই মূহূর্তটা আপনাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য। আশা করি আমার প্রতিটি ব্লগের মত এই ব্লগটি আপনাদের কে কিছুটা আনন্দ দিতে পারবে।

"ব্যস্ততার মাঝেও যখন খুঁজে পাই ভ্রমনের আনন্দ"

Add a heading (5).png

Banner credit --@maksudakawsar

image.png

image.png

image.png

image.png
image.png

গতকাল পারিবারিক খুব জরুরী একটি কাজে আমাকে যেতে হয়েছে সেই পূর্বাচলে। কি আর বলবো সারাদিন অফিস করে কি আর এত পরিশ্রম সহ্য হয় বলেন তো। কিন্তু কি আর করার? আমাকে তো যেতেই হবে। তাই অফিস থেকে একটু তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে দুপুর ৩.০০ মধ্যে বাসা হতে বের হয়ে গেলাম। আমরা গেলাম খিলক্ষেত হয়ে। বেশ পরিপাটি রাস্তা গুলো। আর পরিপাটি হবেই না কেন সেনাবাহিনী যে তৈরি করেছে এই রাস্তা গুলো। তো আমরা যখন যাচিছলাম তখন আমরা পূর্বাচল নীলা মার্কেটে নেমে মিষ্টি কিনেছিলাম। তখন ভাবলাম যে যাওয়া পথে কিছুটা সময় একটু ঘুরেই যাবো। আমি অবশ্য এর আগে এখানে গিয়েছিলাম। তবুও ভাবলাম একটু ঘুরে গেলে মন্দ হয় না। দু একটি ব্লগ তো লেখা যাবে । যদিও আমি আজ কয়েকদিন যাবৎ ভীষণ ব্যস্ত।

image.png

image.png

আসার পথে আমরা যখন নীলা মার্কেটে ঢুকলাম তখন কিছু মিষ্টি বাসার জন্য কিনে নিলাম। কারন পড়ে আবার এমন মজার মিষ্টি না কিনে চলে আসবো। অবশ্য এই দোকানের রসগোল্লা গুলো বেশ দারুন স্বাদের । আমরা আবার আলাদা করে খেয়ে টেষ্ট করে দেখেছি। সে নিয়ে অন্য একদিন আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। তারপর আমরা চলে গেলাম সেখানের হরেক রকমের দোকান গুলোতে। ঘুরে ঘুরে বাসার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নিলাম। আসলে নীলা মার্কেটে ‍টুকটাক অনেক ভালো জিনিসই কিনতে পাওয়া যায়।

image.png

image.png

তারপর দেখলাম সেখানে অনেক বিনোদনের জিনিস রয়েছে। চরকি, নৌকা, নাগর দোলা। আর আমি ইদানিং এগুলো আবার চড়তে বেশ পছন্দ করি। তাই সামনে যেয়ে টিকেট কেটে উঠে পড়লাম চরকি তে। বাপরে বাপ যে ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু সখ তো ছিল তাই একটু উঠলাম এই আর কি । অবশ্য আগে উঠতে পারতাম না এমন বিনোদনের জিনিস গুলোতে। কিন্তু এখন কেন জানি বার বার চড়তে মনে চায়।

image.png

image.png

image.png

চরকিতে চড়ে তো ক্ষুদা লেগে গেছে । এখন দরকার প্রয়োজনীয় কিছু খাবার দিয়ে পেট ভর্তি করা। তাই সন্ধ্যান করতে লাগলাম ভালো কোন খাবারের জায়গার। ওমা সেখানে দেখি বেশ বড় বড় খাবারের জায়গা। অবশ্য ছোট ছোট অনেক খাবারের দোকানও আছে সেখানে । তবে কিছুক্ষন সময় নিয়ে ঘুরে ফিরে দেখলাম সবগুলো খাবারের দোকান। অবশেষে ঢুকে পড়লাম নান্না মিয়ার বিরিয়ানীর দোকানে।

image.png

image.png

image.png

তারপর আমরা বেশ কম দামের মধ্যে বসে বসে নান্না মিয়ার বিরীয়ানী খেলাম। বেশ স্বাদে ভরা ছিল কিন্তু নান্না বিরায়ানীর সেদিনের খাবার । আমরা তো বসে বসে মজা করে খেয়েছিলাম। তবে খাবারের বিষয়টি নিয়ে আপনাদের সাথে অন্য একদিন আলাপ আলোচনা করবো। তবে আমরা কিন্তু শুধু বিরিয়ানী খেয়ে ক্ষান্ত হইনি। নান্না থেকে বের হয়ে আমরা যখন আসছিলাম তখন চোখে পড়ে ফিস ফ্রাই করার দোকানের দিকে। তাই সেখানে যেয়ে দেখলাম কোন খাবারের দাম কত। ও মাগো মা কি যে দাম। মাথা তো ঘুরেই গেল। কিন্তু মাছ ভাজা তো খাবোই খাবো। তাই কম দামে তেলাপিয়া মাছের ফ্রাই খেয়ে নিলাম। অবশ্যই সে সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে অন্য কোন সময়ে শেয়ার করবো। তারপর আমরা রাতের প্রকৃতি দেখতে দেখতে চলে আসলাম বাসার দিকে। আর আসার সময় গাড়ীতে বসে বসে হ্যাং আউট এ অংশ গ্রহণ করে শুনতে শুনেত পৌঁছে গেলাম বাসায়।

image.png

image.png

শেষ কথা

জীবনে কাজের ফাঁকে ফাঁকে কিছুটা হলেও বিনোদন প্রয়োজন। একাধারে যদি আমরা কাজ করতে থাকি তাহলে তো কিন্তু জীবন টা বিশাদময় হয়ে উঠবে। তাই মাঝে মাঝে নিজেকে কিছুটিা হলেও বিনোদনে মশগুল রাখা উচিত। হয়তো আমরা সময়ের জন্য সেটা করতে পারি না। তবুও আমাদের কিছুটা হলেও সময় বের করে নেওয়া উচিত। আর তাই তো আমি যখনই সময় পাই সেই সময়টুকু আর মিস করি না।

image.png

নিজেকে নিয়ে কিছু কথা

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।

আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

image.png

Screenshot_1.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

image.png