আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই ? বেশ আছেন তো? আমি কিন্তু বেশ ভালো আছি। যদিও বেশ ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার করতে হচ্ছে আমায়। ব্যাস্ততা যাই হোক। কাজ তো আর থামিয়ে রাখা যাবে না। শত ব্যাস্ততার মাঝেও নিজেকে এগিয়ে নিতে হবে ধাপে ধাপে। আর এমন মনোবল নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারলেই জীবনের সকল ব্যাস্ততাকে কিন্তু হাসি মুখে মেনে নেওয়া সম্ভব।
হাজারও ব্যাস্ততার মাঝেও একটু যদি আনন্দ আর হাসি থাকে তাহলে ক্ষতি কিসে? এই তো দু দিন আগের কথা। অফিসের হাজারও ব্যাস্ততার মাঝেও অফিসের সব কলিগরা মেতে উঠেছিলাম এক রাশ আনন্দ আর উদ্দীপনায়। হুম বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে সেদিন আমাদের আনন্দের মূহূর্তের কিছুটা আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেই এসেছি। আশা করি আমাদের আনন্দের মূহূর্তটুকু আপনাদের কাছেও অনেক ভালো লাগবে।
Banner credit --@maksudakawsar
ব্যাস্ততার মাঝেও
প্রিয় মানুষের বিশেষ দিন উদযাপন
ব্যাস্ততার মাঝেও
প্রিয় মানুষের বিশেষ দিন উদযাপন
বেশ ব্যাস্ততার মধ্যে আজকাল অফিসের কাজ চলছে। এইতো ভর্তি পরীক্ষার কাজ বলে কথা। কত যে সাবধানতার সাথে সেই কাজ করতে হচ্ছে সেটা বলে শেষ করা যাবে না। তাই তো সেই গল্পটি অন্য কোনদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ভাবছি। কিন্তু আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছি শত ব্যাস্ততার মধ্যে ঘটে যাওয়া আমাদের সেদিনের সেই আনন্দঘন মূহূর্তটুকু। আজকাল আমাদের কাজ করতে করতে প্রায় রাত অবধি অফিসে থাকতে হয়। সেদিন বিকেলে হঠাৎ আমাদের একজন পুরানো কলিগ অফিসে এসে হাজির। তার হাতে ছিল একটি বড় প্যাকেট। আমরা সবাই সেই প্যাকেট দেখে বেশ কৌতুহলী ছিলাম।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
বেশ কিছুক্ষণ পর জানতে পারলাম যে সেই প্যাকেটটির ভিতরে ছিল একটি জন্মদিনের কেক। হুম বন্ধুরা সেদিন ছিল আমাদের সবার প্রিয় মুনীরা আপুর জন্মদিন। না না আমাদের প্রিয় @Monira madam না। সে ছিল আমার অফিস কলিগ মুনীরা আপু। হ্যাঁ সেদিনই আমরা জানলাম। তাই কেক দেখে আর দেরী নয়। কাজ সব বন্ধ করে দিয়ে সাথে সাথে কেক কাটার আয়োজন শুরু করে দিলাম। আর এক আনন্দ ঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে সেদিন কেক কাটা হলো।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
তারপর আমরা সবাই মিলে আমাদের মুনীরা আপু কে ধরলাম ট্রিট দেওয়ার জন্য। মুনীরা আপু ও রাজি হয়ে গেল। মুনীরা আপু আমাদের কে পাশের ষ্টার কাবাবে ট্রিট দিতে চাইলো। কিন্তু বাধ সাধলো অফিসের গুরুত্বপূর্ণ। কাজের পাহাড়। তাই আমাদের সবার বস সিদ্ধান্ত দিল যে আপাততঃ ছোট করে হলেও অফিসের মধ্যে আয়োজন করা হউক। যেহেতু অফিসের মধ্যেই আয়োজন করা হবে। আর চারদিকে শীতের আমেজ তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো যে খিচুড়ি আর ডিম করা হউক। যেহেতু তখন প্রায় বিকেল তাই আর মাংসের ঝামেলা করা হলো না।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
এই দিকে খিচুড়ির সাথে একটু ঝাল ঝাল আচাড় হরে মন্দ হয় না। তাই আমার উপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিলো আচার আর ড্রিংকস কেনার। বলেন তো কেমন লাগে? জন্মদিন একজনের আর খরচ করবে আর একজনে। কিন্তু অফিস কলিগ গুলো সব নাছোড় বান্দা। তাই তাদের কথা মতই আমাকে টাকা খরচ করতে হলো। আর আমিও মনে মনে জন্ম দিনের উপহার হিসাবে সেই টাকাটা খরচ করে ফেললুম। ভাবলাম বাচঁলাম বড় কোন টাকা খরচ করে গিফট দিতে হয়নি।হি হি হি। অবশ্য পরে আমাকে গিফট দিতেই হয়েছে। সেই গল্পও অন্যদিন করবো।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
সবই তো হলো খিচুড়ি, ডিম আর আচাড়। এখন হলো খাবার সময়। বাপরে বাপ। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত আটটা বেজে গেল। কখন খাবো আর কখন বাসায় আসবো। কিন্ত আমার চিন্তায় তো অফিস চলবে না। অফিস চলবে অফিসের নিয়মে। তাই হাতের জরুরী কাজ গুলো শেষ করে তারপর খাওয়া দাওয়া লাগানো হলো। বাহ্ দারুন স্বাদে ভরা খিচুড়ি সেদিন রান্না করা হয়েছিল। সবাই বেশ আনন্দ আর উৎসাহ নিয়ে সেদিন মুনীরা আপুর জন্মদিনটি উপভোগ করেছিল। তবে আমিও বেশ আনন্দই উপভোগ করছিলাম। কারন এ কদিনে মুনীরা আপু আমার কাছে বেশ প্রিয় একজন হয়ে উঠেছে।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
শেষ কথা
শেষ কথা
কাছের বা প্রিয় মানুষের বিশেষ কোন দিন আসলে কিন্তু সবাই চায় কিছুটা আনন্দ আর উৎসাহ নিয়ে দিনটি উপভোগ করতে। আর আমিও কিন্তু সেদিন প্রোগ্রামটি বেশ আনন্দ আর উদ্দীপনা নিয়েই উপভোগ করেছিলাম।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
আমার ব্লগটির সাথে থাকার জন্য এবং ধৈর্য সহকারে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। সেই সাথে সবার প্রতি আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথমে ভেবেছিলাম ভাইয়ার বিশেষ দিন।পরে পোস্ট পড়ে জানলাম আপনার কলিগের জন্মদিন ।আসলে প্রিয় মানুষের বিশেষ দিন উদযাপন শত ব্যস্ততার মাঝেও করতে ভালো লাগে। আপনারা কেক খেয়েছেন সবাই।আর যেহেতু কাজের অনেক চাপ তাই বাইরে না গিয়ে অফিসেই ভুনা খিচুড়ি আর ডিম খেয়েছেন।খুব মজার খাবার এই শীতের রাতে।আপনার আবার আচার আর ড্রিংকস আনতে হলো।খুব সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন আপু।ধন্যবাদ আপনাকে অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ সুন্দর এবং সাবলীল মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্টের লেখাগুলো পড়ে। আসলে প্রিয় মানুষের এরকম বিশেষ দিন একটু স্পেশাল ভাবে উদযাপন করার মজাই আলাদা। অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনার প্রিয় মানুষের স্পেশাল দিন উপলক্ষে। আপনার প্রিয় মানুষের জীবনে এই দিনটি বারবার ফিরে আসুক এমনটাই আমি প্রত্যাশা করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া সু্ন্দর এবং সাবলীল মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনার করা পোস্টগুলো আমার বরাবরই অনেক ভালো লাগে। আপনার পোস্টগুলো আমাকে উৎসাহ যোগায়। আপনার আজ পোস্টি পরেও আমার আনেক ভালো লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর করে লেখাগুলো তুলে ধরেন। জানি আপনি আজ বেশ অনেকদিন যাবৎ অফিস নিয়ে অনেক ব্যাস্ত সময় পারকরছেন। সকাল যান আর রাত ৯টায় বাড়িতে আসেন। আর অফিসের এত ব্যাস্ততার মাঝেও যে অফিরেস এক কলিগের জন্মদিন উপলক্ষ্যে সুন্দর কিছু আনন্দ মূহূর্তের সময় কাটিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু আপনার প্রিয় কলিগের সুন্দর একটি জন্মদিনের আনন্দময় মূহূর্তের উদযাপনটি আমাদের মাঝে সুন্দর সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit