আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
জীবন এক বৈচিত্রময়। জীবনে প্রয়োজন আনন্দ আর উল্লাসের । কারন বেচেঁ থাকতে হলে এবং সুস্থ্য থাকতে হলে আম্দের কে শুধু কাজের মধ্যে ডুবে থাকলে হবে না। কাজের পাশাপাশি কিছুটা সময় নিজেদের কে রাখতে হবে বিনোদনের মধ্যে। বিনোদন আমাদের জীবনে এনে দেয় স্বস্তি। তাই তো মন ভালো রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো মাঝে মাঝে নিজেকে একটু বিনোদনের ছোঁয়া দেওয়া।
বন্ধুরা কেমন আছেন আপনারা? আশা করি স্বস্তির বৃষ্টির ধারা আপনাদের সকলের দেহ আর মন কে করে দিয়েছে সতেজতা। আমিও আছি আলহামদুলিল্লাহ্ বেশ ভালো। তবে হাতের পোড়াটা বেশ যন্ত্রণা দিচ্ছে। আর এমন যন্ত্রণা নিয়ে আজও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে । চলে আসলাম আবারও একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে। হয়তো কিছুটা সময়ের জন্য আমার আজকের পোস্টটি আপনাদের মন কে রাঙিয়ে দিতে পারবে।ঈদ চলে গেছে বেশ কিছুদিন হলো। কিন্তু ঈদের শপিং করতে যেয়ে যে কি পরিমান পোস্ট আমাদের জন্য রেডি করেছি তার হিসাব করলে মনে হয় বছর চলে যাবে। বছর চলে যায় যাক তাতে কি। তাই বলে কি আর ঈদের শপিং এর এত এত মজার সময় গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো না তা হয়? না হয় না। তাই তো আজও ঈদের শপিং নিয়ে কিছু কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য চলে আসলাম।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
যেহেতু দুজনই চাকুরী করি। তাই আমাদের দুজনকেই বেশ ব্যাস্ততার মধ্যে রমজান মাসের সময় পার করতে হয়। অফিস থেকে বাসায় ফেরা। ইফতার বানানো, রান্না বান্না সব শেষ করে যখন ইফতার শেষ করি তখন মনে হয় দেহটা শেষ। তারপর তো আছে আবার তারাবির নামায। তাই এত এত ঝামেলার মধ্যে পুরো রমজান মাসে আর শপিং করা হয়ে উঠে না। যার চাপ পড়ে রমজানের শেষ দুদিনে। সত্যি বলতে রমজান মাসের শেষ সময়টায় শপিং করতে কিন্তু এতটুকু্ও খারাপ লাগে না। তাই এ বছর খতম তারাবির পর হতেই শপিং করেছি। তবে যেহেতু এবার প্রচুর গরম ছিল তাই ভাবলাম একটু রাত করেই আমরা বের হবো। কিন্তু কি জানেন আমরা যখন শপিং করতে গেলাম তখন বাজে রাত ১২.০০। কিন্তু ঢাকা শহরের দিকে তাকিয়ে তখন মনে হলো মাত্র সন্ধ্যা।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
প্রতি বছর যে সমস্যায় পড়তে হয় সেটা হলো পঞ্জাবী নিয়ে। এবারও তেমনই হয়েছে। তবে এবার পাঞ্জাবী কিনা নিয়ে তো এক ইতিহাস তৈরি হয়ে গেছে। সেটা আপনাদের সাথে অন্য দিন শেয়ার করবো। তো আমরা পাঞ্জাবীর জন্য এই শোরুম সেই শোরুম ঘুরতে লাগলাম। অবশ্য আমরা ছিলাম চারজন। এর পছন্দ হয় তো তার পছন্দ হয় না। কি আর করার ঘুরতেই থাকলাম। অবশ্য সেদিন বাসা থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েই বের হয়েছি যে আজ সেহেরী বাহিরে করবো। যেই কথা সেই কাজ। তবে আপনাদের ভাইয়ার ক্ষুধা বেশী থাকায় তাকে এক ধাপ খিচুড়ি খাইয়ে নিতে হলো। তা না হলে সমস্ত রাস্তায় মুখ কালো করে ঘুরবে। আর আনন্দ টাই মাটি হয়ে যাবে। তবে এত রাতে একটি বিষয় আমাকে বেশ নাড়া দিয়েছে। এত রাত পর্যন্ত ঢাকা বাসি কেউ ঘুমায়নি। রাস্তার পাশে পাশে মেয়েরা গভীর রাত পর্যন্ত হাতে মেহেদী পড়াচেছ। আমরাও বেশ আনন্দ নিয়ে দেখলাম।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
আমরা যখন পাঞ্জাবী কিনে তালতলা মার্কেটির দিকে গেলাম তখন বাজে রাত ২.০০ টা। বাপরে বাপ আমার তো মনে হয় পুরো ঢাকার মানুষ সেদিন ঘর থেকে বাহির হয়ে গেছে। ঈদের আনন্দ যেন তাদের কে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। মানুষ যেন ঝাপিয়ে পড়েছে তাদের শেষ কেনাকাটা করার জন্য। অবশ্য আমরা যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন ছিল ২৮শে রমজান। এত গভীর রাতে যেমন বন্ধ হয়নি মোবাইলের দোকান তেমনি করে বন্ধ হয়নি রাস্তার ফুটপাতের দোকান গুলোও । সমাজের নিচু তলার মানুষ থেকে উঁচু তলার সবাই যেন গভীর রাতে তাদের নিজেদের এবং পরিবারের জন্য শেষ মূহূর্তের কেনাকাটায় ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে। আর চারদিকের এমন অবস্থা দেখে আমরা নিজেরাও বেশ নিজেদের কেনাকাটায় ব্যাস্ত হয়ে গেলাম।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
ওমারে ঘুরতে ঘুরতে দেখি সবার ক্ষুধা পেয়ে গেছে। অবশ্য আমরা আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলাম যে আমরা সেহেরী করবো রাস্তার পাশের কোন হোটেলে।সেই মোতাবেক মার্কেটের পাশেই একটি হোটেলে ঢুকলাম। ওমা সেখানে তো আমরা একা নয়। সেখানে অনেক মানুষ তাদের পছন্দ মত খানাপিনা করছে। আমরা বসলাম ক্ষধার্ত পেট নিয়ে। আমরা সবাই দুটোর বেশী আর রুটি খেতে পারলাম না। কিন্তু আপনাদের ভাইয়া একা একাই ৭টি রুটি খেয়ে নিলো। আমার মনে হয় সে আমাদের চেয়ে বেশী ক্ষধার্ত ছিল। হি হি হি।
picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s
ট
ওমা খাওয়া দাওয়া করতে করতে তো দেখছি রাত ৪.০০ ছুঁই ছুইঁ। কি আর করার? বাসা যেহেতু কাছাকাছি তাই সবাই মিলে আস্তে আস্তে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। তাও আবার হেটে হেটে। কি সুন্দর লাইটিং। এত রাতেও কিন্তু মনে হয় রাস্তায় মানুষে ভরা। এ যেন সন্ধ্যার ঢাকা। বিশ্বাস করেন বেশ সুন্দর সময় আমরা সেদিন কাটিয়েছি। আমার কাছে মনে হয়েছে এমন আনন্দ নিয়ে কিন্তু খুব সহজেই শপিং শেষ করা যায়।
শেষ কথা
শেষ কথা
রাত যতই হোক না কেন, ভাই বোন আর আপনাদের ভাইয়া কে নিয়ে যে সময় সেদিন পার করেছি তার মূল্য কিন্তু অনেক। তবে এ কথা সত্য যে বাসার পাশে মার্কেট থাকলে কিন্তু এমন আনন্দ ঘন সময় কাটানো আরও বেশী সহজ হয় ।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Tweet
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার কাছে কিন্তু দারুন লেগেছিল সেদিন রাতে। যদিও রাত ছিল কিন্তু তারপরও মনে হয়েছিল যেন সন্ধ্যা। বেশ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সেই রাতের কথা মনে করিয়ে দিলেন। আবারও যাবো ইনশাল্লাহ্ সামনের ঈদে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু সুন্দর এবং উৎসাহ মূলক মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঈদের জন্য কেনাকাটা করেছিলেন। আর সেই সময়টা ছিল রাত। আর এই মুহূর্তে বেশ কিছু ফটো ধারণ করেছেন। পাশাপাশি সেই ফটোর সাথে বর্ণনা এবং কেনাকাটার মুহূর্ত তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। এ ব্লগ পড়ার মধ্য দিয়ে আপনার সেই সুন্দর মুহূর্তটা জানার সুযোগ হলো। আর এদিকে সেহরি করেছিলেন রাস্তার পাশের রেস্টুরেন্ট থেকে। যাইহোক রোজা তো রাখার চেষ্টা করেছিলেন সব সময় এটা জেনে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু সব সময় মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি গভীর রাতে ঈদ শপিং করেছেন। আর সেই বিষয় বিস্তারিত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। বেশ ভালো লাগলো এই বিষয়টা জেনে। যেন নতুন একটি অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেলাম। আর শপিং করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত সেহরি খাওয়ার মুহূর্ত চলে এসেছে আসলে আশ্চর্য বিষয়। আর সেহরীটা সেখানেই রেস্টুরেন্টে করেছেন জানতে পারলাম। যাই হোক অজানা কিছু জানার সুযোগ হলো আজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমিও একবার ঈদের দুই দিন আগে বসুন্ধরা মার্কেটে কেনাকাটা করে রাত ২ টায় বাসায় এসেছিলাম।আমি বাইরের খাবার খেতে পারিনা।তাই বাসায় এসেই আমরা খেয়েছিলাম।আপনাদের ঈদ শপিং এর অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। আমার কখন ও এভাবে মেহেদী পরা হয়নি।সময় কোথায় এতো।আমার জন্য কে এতো রাতে বসে থাকবে।আবার বাচ্চা আছে।তাই বাসায় ই দেয়া হয় মেহেদী।তবে ঈদের আগে চমৎকার লাইটিং সত্যি ঈদের আনন্দকে আরো বাড়িয়ে তোলে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বেশ সুন্দর এবং মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মানুষজন কোন সময় কেনাকাটা করুক আর নাই করুক ঈদের সময় সকলেই কেনাকাটা করার জন্য যায়৷ মার্কেটে যে পরিমাণ ভিড় থাকে দিনের বেলায় এর ফলে একেবারেই কষ্ট হয়ে যায় মানুষের সাথে চলাফেরা করার মধ্য দিয়ে৷ সেটি যদি একেবারে রাতের বেলা হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই৷ তখন মানুষজন একেবারেই কম থাকে এবং শান্তি মতো অনেক কিছু কেনাকাটা করা যায়৷ আজকে আপনি সেরকম একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকেও ধন্যবাদ এই সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঢাকা শহরের মতো জায়গায় রাত বারোটা মানে সন্ধ্যাই আপু। তাছাড়া আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে যে ভিড় দেখতে পাচ্ছি, তাতে মনে হচ্ছে আপনাদের মত সবাই কর্ম ব্যস্ত এবং রাতের বেলায় শপিং করতে বেরিয়েছে। তবে শপিং হবে আর খাওয়া দাওয়া হবে না, তা কি করে হয়। আর যেহেতু এত ঘোরাঘুরি করেছেন, সে ক্ষেত্রে খিদে লাগবে এটাই স্বাভাবিক। তবে আমাদের ভাই এর মনে হয় আসলেই অনেক বেশি খিদা লেগেছিল। এজন্য সাতটা রুটি একাই খেয়ে শেষ করে দিয়েছে। হা হা হা...😂 তবে আপু, পাঞ্জাবি কেনার ইতিহাস অবশ্যই আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। ওটা কিন্তু অজানা রয়ে গেল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit