কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করি আমার মত করে আপনারাও বেশ ভালো আছেন।তবে এখন মনে হয় ভালো থাকাটা নিজের উপর নির্ভর করে না। এখন ভালো থাকবো কি খারাপ থাকবো সেটা ঠিক করে দেয় চারদিকের পরিবেশ এবং পারিপাশ্বিকতা।যখন মনের মাঝে জেগে উঠা স্বপ্ন গুলো কে প্রতিনিয়ত ভেঙ্গে যেতে দেখি তখন আর কি করে ভালো থাকি বলেন তো? আবার এও ভাবী যে এর চেয়ে খারাপ অবস্থায় কত মানুষই না বেঁচে আছে। তাই তো জীবনের জন্য প্রতিদিন প্রতি মূহূর্ত সং গ্রাম করে যাওয়া।

প্রতিদিনের মত করে আজও কিন্তু আপনাদের মাঝে চলে আসলাম। চলে আসলাম নতুন কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে।সত্যি বলতে ফটোগ্রাফি করতে এতই ভালো লাগে যে যখনই ফটোগ্রাফি করি তখনই কেন জানি ভুরি ভুরি ফটোগ্রাফি মোবাইলের ক্যামেরা বন্দী করি।আর তাই তো আজও মোবাইল ক্যামেরার গ্যালারী হতে মনের মত কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি। যাতে করে আপনাদের ও কিছুটা ভালো লাগা কাজ করে।তাহলে চলুন তো দেখে আসি আমার আজকের এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো।

ঘুরতে কিন্তু আামি বেশ পছন্দ করি।সেই সাথে পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতেও।তাইতো সময় পেলেই ছুটে যাই এথানে সেখানে। আর ক্যামেরা বন্দী করে নেই বিভিন্ন রকমের সু্ন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি।এই তো বেশ কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম জাতীয় জাদুঘরে। আর চুষে বেড়িয়েছি জাদুঘরের প্রতিটি ফ্লোর। সাথে সাথে ক্যামেরা বন্দী করে নিয়েছি সেখানের গ্যালারীতে সংরক্ষিত বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি।আর আজ আমি আপনাদের মাঝে সেখানে থেকে গ্রাম বাংলার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার চেষ্টা করছি।

জাদুঘরের গ্যালারীতে কিন্তু সেদিন আমি গ্রাম বাংলার সত্যিকারের কিছু প্রতিচ্ছবি দেখেছিলাম। দেখেছিলাম গ্রাম বাংলার মৃৎ শিল্প। গ্রাম বাংলার কুমাররা তাদের মেধা দিয়ে বিভিন্ন মাটির জিনিস তৈরি করে,সেই মাটির তৈরি জিনিস গুলোকে আবার বিভিন্ন রকমের ডিজাইন করে এবং সেগুলোকে হাটে নিয়ে বিক্রিও করে। জীবনে কখনও এমন দৃশ্য নিজ চোখে দেখা না হলেও সেদিন কিন্তু গ্রাম বাংলার এমন অপরূপ দৃশ্য দেখে বেশ থো খেয়ে গিয়েছিলাম।

জাদুঘরের গ্যালারীতে কিন্তু গ্রামের কামারদের দৈনন্দিন কার্যক্রমকে ও তুলে আনা হয়েছে। গ্রামের কামার গুলো তাদের নিজের মেধা আর পরিশ্রম দিয়ে কি সুন্দর করে যে লোহার তৈরি বিভিন্ন জিনিস তৈরি করছে সেই দৃশ্যটিই শিল্পির আকুনির মাধ্যমে জাদুঘরের গ্যালারীতে স্থান দেওযা হয়েছে। সত্যি বলতে গ্রাম বাংলার প্রতিটি দৃশ্যই আমাদের কে মুগ্ধ করে। গ্রাম বাংলার প্রতিটি ঘর যেন এক একটি দৃশ্য। তাই তো গ্রাম বাংলার গৃহস্থলী কাজকেও জাদুঘরের গ্যালারীতে স্থান দেওয়া হয়।

শেষ কথা