আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন বন্ধুরা ? আশা করি আপনারা বেশ ভালই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে এবং আপনারদের দোয়ায় বেশ ভালই আছি। আমি মাকসুদা আক্তার । তবে আপনাদের মাঝে@maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। সবসময়ই আমি চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে ভিন্নধর্মী কিছু নিয়ে উপস্থিত হতে। কারন একই রকমমের জিনিস সপ্তাহের প্রতিদিন আপনাদের ভাল নাও লাগতে পারে।
প্রতিটি মানুষের জন্য প্রয়োজন কিছুটা স্বস্তি। সারাদিন ব্যস্তময় সময় কাটানোর জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই একটি রিফরেসমেন্ট প্রয়োজন পড়ে। তবে রিফরেসমেন্ট গ্রহণ করার নিয়ম বা পথ যাই বলি না কেন । তা কিন্তু এক এক জনের কাছে এক এক রকমের । কেউ ঘুরতে পছন্দ করে। কেউ বা গান শুনতে পছন্দ করে। আবার কেউ বা এন্টারটেইনমেন্ট পছন্দ করে।অন্যদিকে কেউ হয়তো বা এগুলোর সব গুলোই পছন্দ করেন। তবে এন্টাটেন্টমেন্ট গ্রহণ করার একটি বড় মাধ্যম হলো টিভি বা ইউটিউব। আজকাল হয়তো আমাদের তেমন টিভি দেখা সম্ভব হয়ে উঠে না। তাই তো কাজের ফাকে মাঝে মাঝে ইউটিউবে দুই একটি নাটক দেখা পড়ে। সেসব নাটকের মধ্যে আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি নাটকের রিভিউ করার জন্য আসলাম। আশা করি আমার আজকের নাটক রিভিউটি আপনাদের কাছে বেশ ভাল লাগবে।
প্রাপ্তি: YouTube
নাটক | বলদা | |
---|---|---|
পরিচালক | তৌহিদ আশরাফ | |
অভিনয়ে | মুশফিক আর ফারহান, জেইন ইসলাম খুসবো,সাগর হুদা, জেরিন খান রত্না এবং আরও অনেকে | |
দেশ | বাংলাদেশ | |
ভাষা | বাংলা ভাষা | |
প্রচার | ২০১৯ | |
সময় | ৩৩ মিনিট | |
প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
সাগর হুদা একজন ব্যবসায়ী মানুষ। তার স্ত্রী জেইন খুসবো একটি কর্পোরেট অফিসে চাকুরী করেন। তাদের একমাত্র সন্তান মুশফিক আর ফারহান। বুদ্ধিগত দিক দিয়ে মুশফিক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। তাই এলাকার ছোট বড় সবাই তাকে বলদা নামে ডাকে।একদিন এলাকার ছেলেরা মুশফিক কে নিয়ে মিছিল বের করে তা দেখে মুশফিক তো মহা খুশি।সে তার বাবা কে ডেকে জানালা দিয়ে মিছিল দেখায়। আর খুশিতে নাচতে নাচতে বলে বলদায় খায় কি , মুড়ি আর শুটকী। এসব দেখে তো মুশফিক এর বাবা চিৎকার চেচামেচি করে ফায়ার। তখন মুশফিক এর বাবা তাকে অনেক বকা বকি করে। সে বলে তুই তো আমার নাম ধুলায় মিশাইয়া দিছোছ। এদিকে সাগর হুদা তার স্ত্রীকেও বকাবকি করে এবং সন্তানের এই অবস্থার জন্য স্ত্রীকে দায়ী করে।
এদিকে বাবার মুখে বাবার নাম ধুলায় মিশিয়ে দিছে এ কথা শুনে তো বেশ চিন্তায় পড়ে যায় ফারহান তাই পরদিন এলাকায় ধূলার মধ্যে বাবার নাম খুঁজতে যায় ফারহান। এলাকার পুলাপাইন এ বিষয়টা দেখে ফারহানের সাথে মজা নেওয়া শুরু করে। তারা ফারহান কে জিজ্ঞেস করে বলদা কি করছ। ফারহান সবাই কে বলে যে তার বাবার নাম ধুলায় মিশে গেছে সেটা খোজ করে।অন্যদিকে ফারহানের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে তার গার্ল ফ্রেন্ড তার থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। মেয়েটি ফারহান কে বুঝায় যে, টাকা থাকলেই প্রেম ভালবাসা হয়। তাই ফারহান কে তার বাবা মায়ের কাছ থেকে বেশী বেশী টাকা চুরি করে আনতে শিখিয়ে দেয়। মেয়েটি বলে বেশী টাকা হলে বেশী ভালবাসা পাওয়া যায়।< /div>
(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)
বাবা মা ফারহান কে শরীরের ঘাম ঝড়ানোর মাধ্যমে বড় হতে বলেছে তাই ফারহান বাড়ীর সিড়ি দিয়ে নামে আর উঠে এবং শরীরে যে ঘাম ঝড়ে তা কপাল থেকে মুছে পায়ে মাখে। এগুলো বাড়ির কেয়ারটেকার দেখে ফেলে এবং ফারহান কে জিজ্ঞেস করে। ফারহান কেয়ার টেকার কে হেসে হেসে এসব কথা বলে। এদিকে ফারহানের বাবা তাকে নিয়ে রাস্তায় হাটতে বের হলে এলাকার সব পুলাপাইন ফারহান কে বলদা বলে ঢেকে ঢেকে দুষ্টামি করে। আর ফারহান সবাইকে জোড়ে সোড়ে হেসে হেসে সালাম দেয়। এসব দেখে ফারহানের বাবা রেগে যেয়ে ছেলে কে বলে তুই কবে বড় হবি। ফারহান বলে কালকে। বাবা ছেলে রাস্তায় হাটার সময় কিছু খারাপ ছেলে ফারহান কে ডাক দেয় তখন ফারহান দৌড়ে যেয়ে সালাম দেয়। ফারহানের বাবা দৌড়ে যেয়ে ছেলে গুলোকে ধমক দিয়ে তারা ফাহানের বাবাকে জানিয়ে দেয় যে ফারহান তার বাবার নাম ধুলায় খুজ করেছে। তখন ফারহান তার বাবাকে বলে তোমার নাম এত ছোট কেন আমি ধুলায় অনেক খুজেছি কিন্তু কোথাও পাই নাই। তখন ফারহানের বাবা ছেলে গুলো কে অনেক বকা বকি করেন।
(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)
রাতে ফারহান বসে বসে মোবাইলে ডরিমন দেখে। তখন তার বাবা এসে তাকে বকাবকি করে। তার বাবা বলে তুই ডরিমন কেন দেখিস। বড়দের জিনিস দেখতে পারিস না। এর মধ্যে ফারহানের মা অফিস থেকে বাসায় এসে দেখে যে বাবা ফারহান কে বকাবকি করছে। তখন ফারহানের বাবা আর মা ঝগড়া করে। এক সময়ে ফারহানের বাবা বলে তোমার ছেলে আমার ডুবিয়ে দিছে। এ কথা শুনে ফারহান কান্না শুরু করে দেয়। সে তার মাকে বলে আম্মা আব্বা বলছে আমি তার নাম ধুলায় মিশিয়ে দিছি আমি ধুলায় খুজেছি। এখন আবার বলছে আমি তার নাম ডুবিয়ে দিয়েছি। আমি তো সাতার জানি না তাহলে বাবার নাম কি করে খুজবো।
(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)
এদিকে ফারহানের এ অবস্থার জন্য ফারহানের মা আর বাবা দুই জন দুই জনের সাথে ঝগড়া করে। একজন আর একজন দোষারোপ করেন। এদিকে ফারহান তার বাবার ডয়ার থেকে দুই লাখ টাকা চুরি করে এনে তার গার্ল ফ্রেন্ড কে দেয়। গার্ল ফ্রেন্ড ফারহান কে উল্টা পাল্টা বুঝিয়ে টাকা নিয়ে চলে যায়।
(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)
রাতে ফারহানের বাবা ফারহান কে টাকার জন্য অনেক মারধোর করে এবং বলে সে আর ফারহানের চেহারা দেখতে চায় না। তাকে বাসা হতে বের হয়ে যেতে বলে। তানাহলে তার মরা মুখ দেখবে। এসব কথা শুনে ফারহান অনেক কষ্ট পায়। তাই রাতে তার বাবা মা ঘুমালে সে একটি চিঠি লিখে রেখে বাবা মাকে সালাম করে চলে যায়। চিঠিতে ফারহান লেখে যে, আব্বা আমি তো সহজ সরল তাই সবাই আমাকে বোকা বানায়। মানুষ আমাকে বলদ বললে আমার কষ্ট লাগে না কিন্তু আপনি আমাকে বলদা বললে আমি কষ্ট পাই। আমাকে আপনারা ভুলবেন না। ফারহানের বাবা মা চিঠি পেয়ে অনেক কান্না কাটি করে । সেই থেকে ফারহানের বাবা মা ফারহান কে অনেক খুঁজ করে । কিন্তু কোথাও পায় না। ফারহানের বাবা মা তখন অনেক কান্নাকাটি করে ।
(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)
এদিকে ফারহান ঝালমুড়ি বেচেঁ, ইটা ভাঙ্গে চা এর দোকানে কাজ করে। আবার নিজের খাবার গুলো হতে কুকুর কে খাবার দেয়। হঠাৎ একদিন ফারহাননের বাবা টিভির নিউজে দেখতে পায় যে বাজারে আগুন লাগায় গর্ভবর্তী মা আর দুটি শিশু সন্তান কে বাঁচাতে যেয়ে ফারহান মারা গেছে। তখন তার বাবা মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। এলাকায় ফারহান কে নিয়ে মিছিল বের হয়।
(ইউটিউব হতে লাইট শর্টে স্কিনশর্ট)
নাটকটির রিভিউ করতে গেলে আমি প্রথমেই বলবো যে, নাটকটিতে একটি সহজ সরল ছেলের সরলতার বলিদানের কথা সুন্দর করে ফুটে উঠেছে। সমাজের একজন সরল মানুষ কে কি ভাবে ট্রিট করা হয়, তাই ফুটে উঠেছে। সরল মানুষ গুলো না পায় প্রেমিকার সত্যিকারের ভালবাসা। না তাকে তার বা মা বুঝে। আসলে মুশফিকে বলদা হতে কিন্তু তার বাবা মা সাহায্য করেছে বেশী । অনেক বাবা মা নিজের ব্যস্ততার কারনে সন্তান কে সময় দিতে পারে না। আর তখন সন্তানের জীবন হয়ে যায় অন্ধকার। কিন্তু এ সব সহজ সরল মানুষগুলো কিন্তু অন্যের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন বলিদান দিতে পিছ পা হয় না।
পরিচালনা | ১০ |
---|---|
কাহিনী | ১০ |
অভিনয়ে | ১০ |
ভাল থাকবেন , সুস্থ্য থাকবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নাটকটা বেশ ফানি নাটকের পটভূমি পড়ে যা বুঝলাম। তবে আপনার মতামত বা রিভিউটি চমৎকার ছিল। স্বল্প কথার মাধ্যমে নাটকের মূলভাব দারুণভাবে তুলে ধরেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি ভাইয়া নাটকটি বেশ ফানি কিন্তু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নাটকের গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। নাটকটি দেখবো ভাবলাম। এতো সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া আশা করি নাটকটি দেখলে বেশ মজাই পাবেন। ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুবই ভালো লাগলো আপনার নাটকের রিভিউ পোস্ট। নাটকের রিভিউ পড়তে এমনিতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। এই নাটকটি যদিও আমার এখনো পর্যন্ত দেখা হয়নি তাই ভাবছি সময় পেলে নাটকটি একবার দেখে নেবো। নাটকের মূল কথা ও আপনি খুবই সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রিভিউ টা বেশ ভালোভাবেই করলেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু সুযোগ করে একবার দেখে নিয়েন। হাসতে পারবেন অনেকক্ষন। ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit