মানুষের জীবনে আনন্দটা সবচেয়ে বড় বিষয়। কারন যতক্ষন শাশ ততক্ষন আশ। আনন্দ জীবন কে যতক্ষন সময় ছুঁয়ে যায় ততক্ষন সময় আমাদের জীবন হয় সজীব ও প্রাণবন্ত। কারন আনন্দগুলো মানুষের ব্রেণটাকে এমন করে মটিলাইজ করে যে সেখানে দুঃখ গুলো কোন রকম স্থানই পায় না। আর তাই তো আনন্দ ঘন সময়গুলোতে মানুষ বেশ সুন্দর কিছু সময়ের স্বাদ গ্রহণ করে।

বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন বলেন তো? আমি কিন্তু বেশ দারুন আছি। আর তাই তো প্রতিদিনের মত করে আজও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে। চলে আসলাম নতুন আরও একটি ট্রাভেল পোস্ট নিয়ে। মাঝে মাঝে এদিক সেদিক একটু ঘুরাঘুরি করতে বেশ ভালোই লাগে। আর তাই তো মাঝে মাঝে ছুটে যাই প্রকৃতির মাঝে। একটু সুখ অনুভব করার জন্য। আর আজ আমি আপনাদের মাঝে তেমনই একটি ভ্রমন পোস্ট নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করার জন্য চলে আসলাম।

পূর্বাচল ঢাকার বেশ সন্নিকটে। সবুজ শ্যামল প্রকৃতির মাঝে ঘেরা এই জায়গাটিতে যেতে আমার বেশ ভালোই লাগে। ভালো লাগে একটু নিজেকে প্রাণবন্ত করতে। আর তাই তো একটু সময় পেলেই চলে যাই সেই পূর্বাচলে ঘুরে আসতে। সেদিনও গিয়েছিলাম আমি কিছুটা সময় পূর্বাচলে। বিকেল বিকেল ঘুরতে যেয়ে প্রথমেই আমরা কিছুটা সময় বিকেলের সূর্যাস্ত উপভোগ করলাম। উপভোগ করলাম বিকেলের প্রাণবন্ত কিছু স্নিগ্ধ বাতাস।

তারপর লেকের পাশে কিছু সময় বসে রইলাম। লেকের মাঝে ভেসে বেড়ানো নৌকা গুলো এবং মানুষের আনন্দ উল্লাসের প্রতিছবি কিছু সময় অনুভব করার পর যেন মনটা বেশ জুড়িয়ে গেল। খুঁজে পেলাম নিজেকে নতুন করে। সত্যি বলতে লেকের পাশে বসলে যেন মনপ্রাণ জুড়িয়ে যায় অনায়াসে। জুড়ায় জড়ায় মানুষ লেকের পাশ দিয়ে হেটে বেড়াচেছ। সবার মনে কেমন যেন আনন্দ আর উচ্ছ্বাস।মানুষ যেন নিজেকে প্রাণবন্ত করার জন্যই সেদিন লেকের পাশে ঘুরতে গিয়েছিল।আমিও বেশ কিছু সময় সেই দৃশ্যগুলো উপভোগ করলাম।

তারপর ভাবলাম বড় বড় রসগোল্রা খেয়ে আসা যাক। গেলাম দুজনে মিলে বড় বড় রসগোল্লা খাওয়ার জন্য। হঠাৎ মাথায় আসলো যে দেখি তো আপনাদের ভাইয়া একত্রে কয় পিস রসগোল্লা খেতে পারে। তাই তার সাথে এক প্রকার বাজিই লাগলাম। হুম এক বসায় যদি আধা কেজি রসগোল্লা খেতে পারে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। না না পারলে আমাকে আমার বাসার জন্য কিছু জিনিস কিনে দিতে হবে। কিন্তু না সে আর পারলো না। পারলো না আধা কেজি রসগোল্লা নিজের পেটে ভরতে।

যাক এবার তো বাজিতে জিতলাম। তাই ভাবলাম যে একটু কেনাকাটা করে নেই । তাই দুজন মিলে কিছু কেনাকাটাও শেষ করলাম। এটা সেটা করতে করতে প্রায় দু হাজার টাকার জিনিস কিনে নিলাম বাসার জান্য। দুটো প্যান, একটি দেয়াল ঘড়ি আরও অনেক কিছু। একেবারে তিন হাজার টাকার । আমি তো মহা খুশি। ঘুরাও হলো সাথে সাথে কিছু উপহারও পাওয়া হলো । ইস্ কি যে ভালো হলো আমার জন্য।

তারপর দেখলাম এটা সেটা করতে করতে রাত্র হয়ে গেছে। তবে একটা কথা কি রাতের পূর্বাচল যেন আরও বেশী সুন্দর। আর তাই তো আমি সব সময়ই বিকেল বিকেল যাওয়ার চেষ্টা করি পূর্বাচলে। যাতে করে রাতের কিছুটা সময় পূর্বাচলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারি। তারপর তো সেই বিখ্যাত মামার দোকানের মালাই চা একবার না খেলেই নয়। হামতাম করে চলে গেলাম দুজন মিলে মালাই চা খাওয়ার জন্য। বেশ সুস্বাদু কিন্তু এই মামার মালাই চা। যদিও একটু দাম বেশী তবুও খাওয়া যে লাগবেই। দেখেন তো রসগোল্লা খেলাম, মালাই চা খেলাম, ঘুরাফিরা করলাম, আর সেই সাথে পছন্দের কিছু জিনিস উপহার হিসাবেও পেলাম। ভালো হলো না?

প্রকৃতি আমার বেশ প্রিয়। মাঝে মাঝে প্রকৃতির মাঝে একটু ঘুরে বেড়ালে খারাপ কিন্তু লাগে না। মনটা হয় বেশ ফুরফুরে। তাই তো আমিও মাঝে মাঝে চলে যাই ঘুরাফিরা করে নিজেকে একটু আনন্দ দেওয়ার জন্য।

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।