লাইফ স্টাইল- ভয় কে সাথে করেই অফিস করলাম আজ || lifestyle by @maksudakawsar ||

in hive-129948 •  2 months ago  (edited)

আসসালামু আলাইকুম

আজকাল যেন কোন লেখা আর হাতে উঠতে চায় না। কি করে উঠবে বলেন? চারদিকের যে অবস্থা তাতে তো আর স্বস্তি পাচ্ছি না। কখন যে কি হয় সেই আতঙ্কেই থাকতে হচ্ছে সারাটিক্ষন। কখন যে কি হয়। তাই তো দিন কাটছে উৎকন্ঠা আর ভয়ের মধ্য দিয়ে। যে ভয় নিয়ে কাটাচ্ছি আজ বেশ কিছুদিন। আসলে চারদিকের এই অবস্থায় আমার মনে হয় কেউ শান্তিতে নেই। সবার মনেই কেমন যেন একটি ভয় কাজ করছে।

আমি @maksudakawsar, বাংলাদেশ হতে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন নিয়মিত ইউজার। আমি মনে করি এমন একটি কমিউনিটির একজন নিয়মিত ইউজার হয়ে থাকাটাও গর্বের বিষয়। হাজারও ব্যস্ততার মাঝেও আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন নতুন এবং ভিন্ন কিছু পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হতে। তাই তো আজ আবার একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম।

কি জীবন আমাদের সারাক্ষন শুধু ভয়ে ভয়ে কাটাতে হচেছ।কিছুতেই যেন শান্তি পাচিছলাম না। আর এখনও শান্তি পাচ্ছি না। আসলে আমার মনে হয় শান্তির মা মরে গেছে। এখন আর শান্তি কে খুঁজে লাভ নেই। কিন্তু কি করবো আমারও যে একটু শান্তি শান্তি পেতে মনে চায়। আসলে এখন যে অবস্থা চলছে। তাতে কি আর শান্তির জোড় আছে? বন্ধুরা আপনারা জানেন চারদিকের অবস্থা। আর এমন চরম অবসস্থার মধ্যেও আজ অফিসে গেলাম। আর আজ তাই চলে এলাম কেমন গেল আমার অফিসে যাওয়া আসার সময়টুকু্ । আসা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

GridArt_20240805_000918755.jpg

ভয় কে সাথে করেই অফিস করলাম আজ

Polish_20240804_230808606 (1).jpg

Polish_20240804_230739464.jpg

picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s

দুনিয়া যা হোক হোক গিয়ে তাতে কি? যেহেতু সরকারি চাকরি করি সেহেতু দুনিয়া ধ্বংস হয়ে গেলেও আমাদের কে অফিস করতে হবে। কিন্তু গতকাল যখন চারদিকের অবস্থা খারাপ দেখেছিলাম তখনই ভেবে রেখেছিলাম যে আজ অফিসে যাবো না। যা হয় হোক গা যেয়ে। আগে তো জীবন। তারপর না চাকরি। তাই আজ আর সকাল সকাল অফিস যাওয়ার তাড়াছিল না। কিন্তু সকাল আটটা না বাজতেই কেন জানি নিজের ভিতর টেনশন কাজ করা শুরু করলো।ভাবলাম ছুটিতো আর নিয়ে আসিনি। তাহলে তো অফিসে না গেলেও বিপদ। হলো তো মহা জ্বালা। চিন্তুা আর চিন্তা। চিন্তা যেন নিতে পারছি না। এক সময় ভাবলাম আজ না হয় যাবো না। তো কাল কি করবো। আর ভাবতে ভাবতে রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম অফিসের উদ্দেশ্যে।

Polish_20240804_230648106.jpg

Polish_20240804_230449671.jpg

picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s

নামলাম রাস্তায়। ওমা রাস্তায় তো দেখি অটো সিএনজি ছাড়া আর কিছুই নেই। তাও আবার এরা দাম চায় আকাশ চড়া। কিছুটা সময় অপেক্ষা করে উঠে পড়লাম অটোতে। তাও আবার ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেতে হবে। কি আর করার উঠে পড়লাম। পুরো রাস্তায় থম থমে ভাব। কোথাও কোন মানুষ বা বাস নেই। খুব বেশী প্রয়োজন ছাড়া যেন কেউ বাহিরে বাহির হয়নি।যাই হোক ভয়ে ভয়ে বাংলা মটর পৌছালাম। সেখান থেকে আবার অটো নিয়ে রওনা দিলাম অফিসের দিকে। রাস্তা বেশ সুশান। থম থমে রাস্তা দেখে বেশ ভয়ই হচ্ছিলো। অবশেষে ভয়ে ভয়ে পৌঁছে গেলাম অফিসে। ওমা অফিসে যেয়ে তো দেখি তেমন কেউ আসেনি অফিসে। এবার নিজের প্রতি নিজের বেশ রাগ হলো। তারপর নিজের রাগ কে কন্ট্রোল করে কিছুটা সময় অফিস করলাম।

Polish_20240804_225757315 (1).jpg

Polish_20240804_230056517.jpg

picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s

বেশ কিছুক্ষণ অফিস করার পর শুরনতে পেলাম পিজি হাসপাতালে আগুন দিয়েছে। সেই সাথে পুড়িয়ে দিয়েছে বেশ কিছু গাড়ী। তাছাড়া রাজধানীর সাইন্স ল্যাব সহ বিভিন্ন জায়গায় সমস্যা বেড়েই চলেছে। এমন কথা শুনলে তো নিজের বুক কাঁপে। তাই আর দেরী না করে বাসার দিকে রওনা দিলাম। সেই একই পদ্ধতিতে। অটোতে ফার্মগেটে পর্যন্ত আসলাম। আসার পথে চারদিকের পরিবেশের কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে রাখলাম। যাই হোক বেশ ভয় নিয়ে পৌঁছে গেলাম ফার্মগেইট। কিন্তু কপাল আমার। যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত পোহায়।

Polish_20240804_225851407 (1).jpg

Polish_20240804_225721765.jpg

Polish_20240804_225757315.jpg

Polish_20240804_225610145.jpg

Polish_20240804_230028185.jpg

picture credit --@maksudakawsar
Camera-Vivo-Y22s

কিন্তু আমরা যতক্ষনে ফার্মগেইট পৌঁছালাম ততক্ষনে সেখানকার অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। ধাওয়া চলছে। এখন কি হবে। পড়ে গেলাম চিন্তায়। বেশ ভেবে চিন্তে অটো নিয়ে তেজগাঁও এর ভিতর দিয়ে মৌচাকের দিকে আসতে লাগলাম। আমাদের অটো যখন মগবাজার চৌরাস্তার দিকে যাচেছ তখন বাংলামটর দিয়ে ছাত্ররা তাদের মিছিল নিয়ে মৌচাকের দিকে আসছে। অবস্থা বেগতিক দেখে রিক্সাওয়ালা মামা কে বললাম মামা জোড়ে টান দেন। মামা বেশ জোড়ে টান দিলো। আর কিছুক্ষনের মধ্যে পৌঁছে গেলাম। অবশ্য বিকাাল টিভি লপ্রাগ্রামে দেখলাম যে কাওরান বাজারে বেশ ঝামেলা হয়েছে। তাহলে বুঝুন কেমন গেল আমার আজকের সারাটাদিন।< p>

শেষ কথা

জানিনা আবার কবে আমরা আমাদের দেশ কে আবার আগের মত শান্তির দেশ দেখতে পাবো। ভালো থাকবেন সবাই। শান্তিতে থাকবেন।

নিজেকে নিয়ে কিছু কথা

আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।

image.png

image.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

পুরো দেশে যে পরিস্থিতি আসলেই সবসময় আমাদের আতঙ্কে থাকতে হয়। এত কিছুর মধ্যেও অফিস করতে হয় আপনাদের। রাস্তায় দেখছি মানুষ একদমই কম। তবে ফার্মগেট পৌঁছাতে পৌঁছাতে ঝামেলার মধ্যে পড়ে গেলেন। গতকাল প্রত্যেকটা জায়গাতেই অনেক ঝামেলা ছিল। আমাদের এদিকেও এমন ছিল। বেশ ভয় এবং আতঙ্কের মধ্যেই কাটিয়েছেন সারাটা দিন।

ধন্যবাদ আপু এমন মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

দেশের এমন পরিস্থিতিতে মনের মধ্যে তো ভয় লেগেই থাকবে। আর বাইরে যেতে তো ভয় লাগবে স্বাভাবিক। এত কিছুর মধ্য থেকে আপনি যে অফিসে যেতে পেরেছেন এবং অফিস করেছেন এটাই কঠিন ব্যাপার। আমিও অনলাইনে দেখেছি দেশের বিভিন্ন জায়গায় সহিংসতা এবং হাসপাতালে আগুন দেওয়ার বিষয়টা। দিন দিন দেশের পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে।

ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।