শুভ সকাল প্রিয় বন্ধুরা আমার। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আমি কিন্তু বেশ ভালো আছি। তবে বর্তমান পরি্স্থিতিতে বেশ উৎকন্ঠার মধ্যে সময় পার করতে হচ্ছে।চারদিকের পরিবেশ মনে হয় দিন দিন কেমন যেন হয়ে যাচেছ। সকাল সকাল বেশ ভয় আর হতাশা নিয়ে বাহির হতে হয়। কিন্তু আমরা তো সাধারন মানুষ তাই আমাদের আর কিই বা করার আছে? শুধু ভয়ের মধ্য দিয়েই সময় পার করা ছাড়া তো আমাদের আর করার কিছুই নেই। তবুও এই আশাটুকু করি যেন খুব তাড়াতাড়ি আমরা এই অবস্থা হতে মুক্তি পেতে পারি। আর প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারি।

কিন্তু জীবন তো আর থেমে থাকার নয়। জীবনের প্রয়োজন প্রাণ চঞ্চলতা। আর এই প্রাণ চঞ্চলতা খুঁজে পেতে তো আমাদের কে প্রায় ছুটে যেতে হয় বাহিরে কোথাও নিজেকে একটু ফ্রেশ করতে। কিন্তু এই পরিবেশে তো আর দূরে কোথাও যাওয়া সম্ভব নয়। তাই বলে কি আর থেমে থাকবে জীবন? তাই তো মাঝে মাঝে বাসার কাছাকাছি একটু ঘুরে বেড়ানো এই আর কি। এই ঘুরতে বের হলে যে কত কিছু করতে মনে চায়। ইদানিং আবার ফটোগ্রাফি করাও যেন একটি অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে। তাই যেখানে যাই ফটোগ্রাফি না করে থাকতে পারি না। আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার সে সকল ফটোগ্রাফি থেকে কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের কাছে আজকের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লাগবে।

বাসা থেকে বেড় হলে কাছাকাছি বেশ কিছু জায়গায় ঘুরে আসা যায়। কিন্তু আমি বেশী দূরে না যেয়ে বেশীর ভাগ সময়ে চেষ্টা করি তালতলা সুপার মার্কেটে ঘুরে আসতে। এতে করে হাটাও হয় আবার কিছু ঘুরে ঘুরে অনেক ফটোগ্রাফি করাও যায়। কারন আমার বাসা হতে সোজা যে রাস্তা চলে গেছে মার্কেটের দিকে সেখানে দিয়ে গেলে আসে পাশে এমন কোন দোকান নেই যে চোখে পড়ে না। ফাস্ট ফুড হতে সব ধরনের দোকানই চোখে পড়ে। আর তাই তো প্রতিদিন বুড়া থেকে গুড়া মানুষে রাস্তা কানায় কানায় পূর্ণ থাকে।

হঠাৎ চোখে পড়লো একটি মাছের একুরিয়ামের দোকান। আর দূর হতে একুরিয়ামে রাখা মাছ গুলো কিন্তু দারুন লাগছিল। তাই ভাবলাম যে একটু দোকানে যেয়ে যদি কাছ থেকে সবগুলো মাছের ফটোগ্রাফি করা যায় তাহলে কিন্তু ভালোই হয়। কোন এক সময়ে আমার বাংলা ব্লগে শেয়ার করা যাবে। অবশ্য আমি যখন সেখানে যাই দোকানে কোন কাস্টমার ছিল না। কিন্তু সমস্যা হলো দোকানদার। বেশ বুঝিয়েও সে আমাকে ফটোগ্রাফি করতে দিতে নারাজ। বেশ মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। কিন্তু মেজাজ খারাপ করে তো লাভ নেই। তাই চেষ্টা করলাম লোকটার সাথে হাসি মুখে কথা বলে কনভেন্স করে যদি কয়েকটি ফটোগ্রাফি করা যায়। এক সময়ে ভদ্রলোক কনভেন্সও হয়ে গেল। আর আমি শুরু করে দিলাম আমার ফটোগ্রাফি।

দোকানে রাখা একুরিয়ামের মাছ গুলো কিন্তু সব বিদেশী। রং বে রং এর এই মাছ গুলো যখন একুরিয়ামে রাখা হয় এগুলো বেশ সুন্দর করে সাঁতরে বেড়ায়। এদের কে আবার একুরিয়ামে দেখতে কিন্তু বেশ দারুন লাগে। আর বাড়ির ড্রয়িং রুমে যদি এমন একটি একুরিয়াম রাখা যায় তাহলে তো ড্রয়িং রুমের সৌন্দর্য আরও অনেক গুন বেড়ে যায়। রং বে রং এর মাছ গুলো দিয়ে সাজানো একুরিয়ামের মধ্যে রাখা আছে আবার রং বে রং এর পাথর। আবার নাকি এসব মাছের খাবার ও আলাদা হয়। বেশ কিছু একুরিয়ামে হরেক রকমের রং বে রং এর মাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে একুরিয়াম গুলো।

এরপর লক্ষ্য করলাম দোকানের পাশেই আরও একটি দোকান রয়েছে। যেখানে ঘর সাজানোর আরও বেশ কিছু জিনিস কিনতে পাওয়া যায়। একবার ঢুকলাম সেই দোকানে। দোকানের মধ্যে নানা রকমের ঘর সাজানোর জিনিস রয়েছে। যার মধ্যে আর্টিফিসিয়াল ফুলও রয়েছে। সেখানেও বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।

যদিও আর্টিফিসিয়াল ফুলগুলোর নাম আমার জানা নেই। তবে আমার কাছে দেখতে কিন্তু দারুন লাগছিল। প্রতিটি ফুল যেন ঘরের সৌন্দর্য কে আরও বাড়িয়ে দিবে বহুগুন। আমি দাড়িঁয়ে দেখলাম যে অনেক মানুষ আসছে আর আর্টিফিসিয়াল ফুল কিনে নিয়ে যাচেছ। যদিও বেশ দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তবুও ঘরের সৌন্দর্য বলে কথা। তবে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগছিল আর্টিফিসিয়াল ফুল গুলো।

কমলা, নীল, লাল আর হলুদ রং এর আর্টিফিসিয়াল ফুলগুলো মনে হচিছলো প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি।আবার ক্ষনে মনে হচ্ছিলো যেন কাপড়ের তৈরি। যা দিয়েই তৈরি করা হউক না কেন দেখতে কিন্তু অপূর্ব। দামেও কিন্তু কম নয়। আমার যতটুকু মনে হয় ফুল গুলোর মধ্যে গোলাপ, শিমুল আর পাতাবাহারই বেশী। বাকীটা জানিনা। তবে আর একদিন গেলে জিজ্ঞেস করবো দোকানদার কে।