গ্রামের মেলায় ঘুরতে গিয়ে ফোনের ক্যামেরায় ধারনকৃত কিছু স্থির চিত্র

in hive-129948 •  2 years ago 
আজ সোমবার

১৮ই নভেম্বর ২০২২ ইং || ১৩রা অগ্রহায়ণ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ || ৩ রা জমাদিউল আওয়াল ১৪৪৩ হিজরি ।

আসসালামু আলাইকুম
## প্রাণ প্রিয় বন্ধুগণ, আশাকরি মহান আল্লাহতালার অশেষ রহমতে সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন । আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি ।

গ্রামের মেলা, এক দুই দিনের জন্য কতশত খেলনার পশরা সাজিয়ে বসে পড়ে আবার রাতের আধার না কাটতেই তল্পি-তল্পা বেধে অন্য কোন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে পড়ে । বড়দের জন্য এটা তেমন কোন গুরুত্ব না রাখলেও ছোটদের জন্য যেন আকাশের চাঁদ উঠানে নেমে আসার মত । সাধারণত প্রত্যন্ত গ্রাম গুলোতে যেখানে কয়েক দশক আগেও জরুরী প্রয়োজনীয় মুদি দোকান ও দেখা যেত না, ঠিক সেই পরিবেশে হঠাৎ দুই দিনের জন্য আসা অস্থায়ী দোকান গুলোকে আর কিসের সাথে তুলনা করা যায় ?

আমার বংলা ব্লগ.jpg

প্রথমেই বলেছি এই মেলা গুলোতে সাধারণত বড়দের প্রয়োজনীয় সামগ্রী থাকে অপ্রতুল । ছোটদের খেলনা সামগ্রীই এখানকার মুল বিক্রয় সামগ্রী । একেবারে ১০ টাকা মুল্যের খেলনা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা মুল্যের খেলনা এখানে বিক্রয় করা হয়ে থাকে । তেমনি একটি দোকান ।

WhatsApp Image 2022-11-27 at 9.57.02 PM.jpeg

লোকেশন

ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃ mobile
মোবাইল নেমঃ redmi 6a
ক্যামেরাঃ 8mp

আমার যতটুকু মনে পড়ে সর্ব প্রথম এমনি এক মেলা থেকে আমার কেনা প্রথম খেলনা ছিল বেলুন । তখনকার সময় নিজের চেয়েও বড় বড় আকৃতির বেলুন কিনতে পারাটায় ছিল আমাদের চাওয়া এবং পাওয়া ।
WhatsApp Image 2022-11-27 at 9.57.01 PM.jpeg

লোকেশন

ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃ mobile
মোবাইল নেমঃ redmi 6a
ক্যামেরাঃ 8mp

একেবারে নিখুত হাতের কারুকার্যের দেখা পেলাম এই দোকানে এসে । ফল এবং সবজি গুলো এত সুনিপুণ ভাবে তৈরি করা হয়েছে । কেজি দরে বিক্রি করে দিলে কেউ সহজে ধরতেই পারবে না এটা আসল নাকি নকল ।
WhatsApp Image 2022-11-27 at 9.57.05 PM.jpeg

লোকেশন

ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃ mobile
মোবাইল নেমঃ redmi 6a
ক্যামেরাঃ 8mp

এত কিছুর মাঝে আমার নিকট সবচেয়ে অকৃত্তিম লেগেছে এই ছিম গুলো । মনে হয় সদ্য গাছ থেকে পেড়ে এনে এখানে রেখে দেওয়া হয়েছে ।

WhatsApp Image 2022-11-27 at 9.57.06 PM.jpeg

লোকেশন

ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃ mobile
মোবাইল নেমঃ redmi 6a
ক্যামেরাঃ 8mp

এত এত খেলনার ভিড়ে প্রতিবারই দেখি কয়েকটা বইয়ের দোকান থাকেই । এবার ও তার ব্যতিক্রম নয় । তবে এনাদের কাছে সব সময় শোভা পায় বড় বড় করে ছাপানো বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর মানচিত্র গুলো । তবে এনার কাছে এগুলো অনুপস্থিত ।

WhatsApp Image 2022-11-27 at 9.57.04 PM.jpeg

লোকেশন

ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃ mobile
মোবাইল নেমঃ redmi 6a
ক্যামেরাঃ 8mp

মেলা ছোট হোক কিংবা বড় তেলে ভাজা খাবার থাকবে না এটা যেন কল্পনাতীত, এখানেও তার ব্যতিক্রম নয় । পিয়াজু, ডিম চপ, বেগুনীর সাথে চিংড়ি চপ ও খাওয়ার সুযোগ ইদানিং হয়ে উঠেছে ।

WhatsApp Image 2022-11-27 at 9.56.56 PM.jpeg

লোকেশন

ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃ mobile
মোবাইল নেমঃ redmi 6a
ক্যামেরাঃ 8mp

শীতের শুরু থেকে একেবারে বর্ষার আগ পর্যন্ত আমাদের অঞ্চলে বার্ষিক অথাবা প্রতিবছর কয়েকবার ১, ২ অথবা ৩দিন ব্যাপি ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করে থাকে । এই মেলা গুলো সাধারণত সেগুলোকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠে । এবারেও শুরু হয়েগেছে পালাক্রমে তার মাঝে একদিন পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পার্শবর্তী গ্রামের মেলায় দৃশ্যগুলো ক্যামেরা বন্দি করেছিলাম । আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে । আবার দেখা হবে কোন একদিন অতুন কোন পোস্ট নিয়ে । আপাতত বিদায় নিচ্ছি ।

আল্লাহ্‌ হাফেজ
ধন্যবাদান্তে @maruffhh

আমার পরিচয়

IMG_20170303_142442.jpg

আমার নাম মারুফ হাসান । আমি বাংলাদেশী আমার প্রাণের আবেশ বাংলাদেশকে প্রাণের চেয়েও ভালবাসি । ভালবাসি বাংলা ভাষাকে । আমি পড়াশুনা করেছি তড়িৎ প্রোকৌশল বিদ্যায় । তবে বাংলা সাহিত্য পড়তে ভীষণ ভাল লাগে । আমার ভাললাগার মাঝে ভ্রমণ হলো অন্যতম । সময় সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ি ঘর ছেড়ে । দু চোখে খুজেফিরি প্রকৃতির সৌন্দর্য । আমি আমার সময় গুলো কাজে লাগায় বিভিন্ন সৃজনশীল কাজের মাঝে । নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে ভাল লাগে খুব । বিশ্ব জোড়া পাঠ শালা মোর সবার আমি ছাত্র ।

ধন্যবাদ সবাইকে

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

গ্রামের মেলায় খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন । দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে মেলা মানে অন্যরকম আনন্দ অনুভূতি। তেলে ভাজা চিংড়ি দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। এত সুন্দর মুহূর্ত মেলা অতিবাহিত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। ‌

ভাইয়া প্রোফাইলে মে ছবি দিয়েছেন তা দেখে প্রথমে আমি মনে করেছিলাম শীতকালীন সবজি নিয়ে পোস্ট করেছেন। কিন্তু এরপর আপনার টাইটেল পরে অবাক হয়ে গেলাম। সত্যি অনেক সময় মাটির জিনিস গুলো দেখতে বাস্তবের মতো দেখায়। এই জিনিস সুন্দর জিনিস গুলো একমাত্র মেলাতে গেলেই মনের মতো দেখা যায় ও কেনা যায়। শীতের সময় গ্ৰামের এমন মেলায় যেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার গ্ৰামের মেলায় কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

আসলে এসকল মেলা গুলোতে অনেক সুন্দর মূহুর্ত কাটানো যায়।আপনি সত্যি বলেছেন এখানে বড়দের থেকে ছোটদের খেলার জিনিস অনেক। আসলে ফল গুলো দেখতে সত্যিকারের ফলের মতো লাগছে।ছিমটি সত্যিই অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে মেলায় কাটানো সুন্দর মূহুর্ত শেয়ার করার জন্য।

ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল এই মেলা দেখে। ঠিকই বলেছেন এরকম মেলাগুলোতে বাচ্চাদের জন্য বেশি আকর্ষণ থাকে। তাছাড়া এটা অবশ্য ভালো দিক ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকার খেলনা পর্যন্ত রয়েছে। যার যেটা সামর্থ্য সে সেরকম খেলনা কিনবে। তাছাড়া বিভিন্ন ফলের শেপে মাটির তৈরি এই জিনিসগুলো ছোটবেলা যে কত কিনেছি তার ঠিক নেই। আপনার মেলার ঘোরাঘুরি এবং ছবিগুলো দেখে একদম ছোটবেলায় ফিরে গেলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।

ব্যক্তিগতভাবে গ্রামগঞ্জের মেলা ঘুরতে আমার খুবই ভালো লাগে এর আগে আমাদের গ্রামে কয়েকদিনের মেলা হয়েছিল খুবই সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম সেই মেলায়। বিশেষ করে গ্রাম গঞ্জের মেলায় ছোট বাচ্চাদের খেলনা অনেক বেশি থাকে এবং অনেক সুন্দর সুন্দর দামেও সস্তা। আপনি গ্রাম বাংলার সুন্দর কিছু স্থিরচিত্র আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বোঝাই যাচ্ছে।