ভ্রমণঃ ঐতিহ্যবাহী আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন ।

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)
আজ বৃহস্পতিবার

২রা মার্চ ২০২৩ ইং || ১৭ই ফাল্গুণ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ || ৯ই শাবান ১৪৪৪ হিজরি ।

আসসালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী বন্ধুরা আশা করি মহান আল্লাহ্‌ তালার অশেষ রহমতে ভালই সবাই অনেক ভাল আছেন । আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমিও বেশ ভাল আছি ।

বাংলাদেশের যে কয়েকটি জেলা রেললাইন বিহীন রয়ে গেছে এখনো আমাদের মেহেরপুর জেলা তার মাঝে একটি । অথচ আমাদের পার্শবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা এদিক থেকে অনেকটাই সমৃদ্ধ । দূরে কোথাও যেতে অথবা ইচ্ছেকৃত ট্রেন ভ্রমণে তাই আমাদের একমাত্র ভরসা পার্শবর্তী জেলার কোন এক রেলওয়ে স্টেশন । অতি প্রয়োজনীয় সময়ে যখন অনেকটা পথ যেতে হয় স্টেশন পর্যন্ত তখন যেমন বিরক্তির উদ্রেক হয় তেমনি অনেকটা সময় হাতে নিয়ে বের হলে দুই পাশের দৃশ্য দেখতে দেখতে যেতেও বেশ ভালো লাগে । কিছুদিন পুর্বে বড়ভাই এবং তার পরিবারকে স্টেশন অবধি রেখে আসার জন্য গিয়েছিলাম । বাড়ি থেকে একটু সময় হাতে নিয়েই বের হওয়ার দরুণ একটু তাড়াতাড়িই পৌঁছে গিয়েছিলাম তাই ভাবলাম প্রায় দুই বছর পর যেহেতু এলাম এখানে স্টেশনের চারিদিকটা একটু ঘুরে ফিরে দেখা যাক ।

IMG_২০২৩০২১৭_০৯৪৯১৬.jpg
অবস্থান

এই স্টেশনটি রাস্তা থেকে অনেকখনি উঁচা এবং বালাদেশের একমাত্র দ্বিতল রেলওয়ে স্টেশন নামেই যার পরিচিতি । মূল সড়ক থেকে স্টেশনের দিকে উঠতেই সর্বপ্রথম এই দ্বিতল ভবনটি চোখে পড়ে ।

IMG_২০২৩০২১৭_০৯৪১৩৪.jpg
অবস্থান

পুর্ব পশ্চিম দীর্ঘ এই স্টেশনটির দুই পার্শে দুটি প্লাটফর্ম । প্রথমটি সড়কপথ ঘেঁসে দক্ষিণ দিকে প্লাটফর্ম নং-০২ । অপরটি মাথভাঙ্গা নদীর পাশে প্লাটফর্ম নং- ০১ ।

IMG_২০২৩০২১৭_০৯৪৬০৩.jpg
অবস্থান

IMG_২০২৩০২১৭_০৯৪৭১৮.jpg
অবস্থান

IMG_২০২৩০২১৭_০৯৫০২০.jpg
অবস্থান

এই রেলওয়ে স্টেশনটি তৈরি সংলগ্ন সময়ে এর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ইউরোপ থেকে অনেক রকমের গাছ এনে রোপন করা হয়েছিল । কালের বিবর্তনে আজ সব গুলোই বিলিন হয়েগেছে । শুধু এর স্মৃতি কথায় রয়েগেছে এর সৌন্দর্য গাঁথা ।

IMG_২০২৩০২১৭_০৯৪৮১৯.jpg
অবস্থান

পুর্বেই লিখেছি বাড়ি থেকে রেলওয়ে স্টেশন অনেকটাই দূরে তাই এখান থেকে আমার ট্রেন যাত্রা খুবই কম করা হয়েছে । এর পুর্বে কখনো ট্রেনের সময় সূচীর দিকে নজর ই পড়েনি । আজ একবার চোখ বুলিয়ে নিলাম ।

IMG_২০২৩০২১৭_০৯৪৫২৪.jpg
অবস্থান

বেশ খানিকটা পূর্বেই পৌছানোর কারণে স্টেশন ঘুরাঘুরি শেষ করেই এর অদূরবর্তী একটা স্মৃতি সৌধে গিয়েছিলাম । সে সম্পর্কে অন্য আরেকদিন লিখবো । তবে সেখানে যাওয়ার কারণে আমি ট্রেন মিস করেছি । এসে দেখি ভাইয়া অলরেডি ট্রেনে উঠে পড়েছে এবং ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে ।

IMG_২০২৩০২১৭_০৯৫০০৯.jpg
অবস্থান

আজ আমার ভ্রমণ কাহিনি এখানেই শেষ করেছি । সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি ।

আল্লাহ্‌ হাফেজ
ধন্যবাদান্তে @maruffhh
ফটোগ্রাফি ডিভাইসঃ mobile
মোবাইল নেমঃ redmi 6a
ক্যামেরাঃ 8mp

আমার পরিচয়

IMG_20170303_142442.jpg

আমার নাম মারুফ হাসান । আমি বাংলাদেশী আমার প্রাণের আবেশ বাংলাদেশকে প্রাণের চেয়েও ভালবাসি । ভালবাসি বাংলা ভাষাকে । আমি পড়াশুনা করেছি তড়িৎ প্রোকৌশল বিদ্যায় । তবে বাংলা সাহিত্য পড়তে ভীষণ ভাল লাগে । আমার ভাললাগার মাঝে ভ্রমণ হলো অন্যতম । সময় সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ি ঘর ছেড়ে । দু চোখে খুজেফিরি প্রকৃতির সৌন্দর্য । আমি আমার সময় গুলো কাজে লাগায় বিভিন্ন সৃজনশীল কাজের মাঝে । নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে ভাল লাগে খুব । বিশ্ব জোড়া পাঠ শালা মোর সবার আমি ছাত্র ।

ধন্যবাদ সবাইকে

![zr7XQBzuvvkjgjjPxunUtP5k84gxgWc4mR8PqdBj5rx8AtXSSugGPwSy7JKyM3rgX4k3arRVPC2wT66DqiAYg2UuYrHpE94NCJsYEnjKP7Erbg.png](

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাইয়া ঐতিহ্যবাহী আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন ভ্রমণ দেখে অনেক ভালো লাগল। আসলে ভাইয়া মাঝে মাঝে এভাবে ভ্রমণ করলে অনেক ভালো লাগে। আর যদি হয় রেল ভ্রমণ তাহলে তো কথায় নেই। তবে ভাইয়া আপনার পোস্টটে নিচে একটু ঠিক করে নেবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

ঐতিহ্যবাহী আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন নিয়ে খুবই চমৎকার একটি পোস্ট করলেন। কিন্তু আপনার ভ্রমণ পোস্ট হিসেবে লেখা খুবই কম হয়ে গেল। চেষ্টা করুন পোষ্টের মধ্যে আরো কিছু লেখা তুলে ধরার জন্য। তাহলে আপনার পোস্টটি দেখতে আরো সুন্দর এবং আকর্ষণীয় লাগবে। এমনিতেই পোস্টের ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আবার আপনার পোষ্টের নিচেও কিছুটা ভুল রয়েছে। আশা করি ওটা শুধরে নেবেন।

শুনেছিলাম অনেকদিন আপনি ট্রেন দেখেননি, তাই ট্রেন দেখার জন্য আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে গিয়েছেন। তবে এই কথাটা আমার বিশ্বাস হয়েছিল না কিন্তু এখন এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝতে পারলাম কথাটা কিন্তু একদম সত্যি। যাইহোক শুধু স্টিশনের দেখা মিলেছে বুঝি ট্রেনের দেখা মিললে। হয়তো ট্রেনের দেখা মিললে আবার ট্রেনের ফটোগ্রাফিও থাকত। সত্যিই আফসোস!